![সমুদ্রের অংশ হয়ে যেতে পারে চার জেলার কিছু অঞ্চল: আইনুন নিশাত](uploads/2024/03/31/1711822046.dr.jpg)
আগামী ১০০ বছরের মধ্যে যশোর থেকে গোপালগঞ্জ, গোপালগঞ্জ থেকে চাঁদপুর এবং চাঁদপুর থেকে ফেনী এসব জেলার দক্ষিণাংশ সমুদ্রের অংশ হয়ে যাবে বলে অভিমত দিয়েছেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত।
শনিবার (৩০ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘উপকূলের জীবন ও জীবিকা: সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে তিনি এ অভিমত দেন।
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন ধরার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও রোমান ক্যাথলিক চার্চ ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় নিসফরাস ডি ক্রুজ।
সংলাপে অংশ নিয়ে লবণাক্ততা বাড়ার আশাঙ্কা করে অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, বাংলাদেশ ভারতকে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের সম্মতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে লবণাক্ততা সমস্যার শুরু। উজান থেকে পানি আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে লবণাক্ততা বাড়া শুরু হয়েছে। রাজশাহী থেকে সিরাজগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ থেকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব এই সারির মধ্যাঞ্চল লবণাক্ত হয়ে যাবে। ঢাকা শহর খুব উঁচু। তবে ঢাকা শহরের চারপাশ লবণাক্ত হয়ে যাবে। কামরাঙ্গীরচর বা জিঞ্জিরার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা মাত্র পাঁচ থেকে ছয় ফুট। এসব এলাকা পানির তলায় চলে যেতে পারে। এসময় পলি এসে পুনরায় ভরাট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকায় খাল খননে সরকারের কোটি টাকা খরচ কোন কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী এবং বেসরকারি সংস্থা ব্লু প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভের গবেষণা ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল ফারুক। এছাড়া জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার, ধরার সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, সহ আহ্বায়ক শারমীন মুরশিদ, এম এস সিদ্দিকী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কবির/এমএ/