ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

সুবিধা কাজে লাগিয়ে অসুবিধা দূর করতে ‘এআই আইন’ দ্রুত প্রয়োজন

প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৫ পিএম
আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম
সুবিধা কাজে লাগিয়ে অসুবিধা দূর করতে ‘এআই আইন’ দ্রুত প্রয়োজন
ছবি : সংগৃহীত

ফেইক ছবি, ডিপফেইক ভিডিও ও ভয়েস ক্লোনিং এর মতো ঝুঁকি মোকাবেলা করতে আগেভাগেই ব্যবস্থা নিতে চায় সরকার। তারই অংশ হিসেবে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ‘কনস্টিটিউশন জিপিটি’র মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় সেবায় এআই টুল ব্যবহার করে জাতীয় নিরাত্তা নিশ্চিত করতে চায় সরকার।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনের সম্মেলন কেন্দ্রে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইন ২০২৪’ প্রণয়নের জন্য বহুপক্ষীয় অংশীজনের উপস্থিতিতে সংলাপ অনুষ্ঠানে এমনটাই জানানো হয়েছে। 

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন, আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সারওয়ার ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে এআই-কে উদ্ভাবন, অনুশাসন ও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে’ বলে জানান জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, আমরা এআই এর অসৎ ব্যবহার রোধ করতে চাই। ইথিক্যাল চার্চার মাধ্যমে এআই দিয়ে স্বয়ংক্রিয় সেবার বহর বাড়াতে চাই। সে জন্য এরই মধ্যে আমরা এআই ব্যবহার করে কিছু দিন হলো একটি কনস্টিটিউশন জিপিটি তৈরি করেছি। রেগুলেটরের মাধ্যমে আমরা সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেব।

প্রধান অতিথি আনিসুল হক বললেন, সুবিধা কাজে লাগিয়ে অসুবিধা দূর করতে এই আইন করতে হচ্ছে। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট প্রজন্ম গড়ে তুলতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অত্যন্ত প্রয়োজন। অংশীজনদের নিয়েই আমরা এই খসড়া চূড়ান্ত করবো। এআই আইন তৈরি করতে পলিসির সঙ্গে আইনের সমন্বয়ে আমি আপনাদের সঙ্গে থাকবো। শিগগরিই একটি ড্রাফট আউটলাইন করবো। এরপর আবার অংশীজন সভা হবে। সেই ড্রাফটে মতামত কতটা অন্তর্ভূক্ত হলো তা দেখা যাবে।

অংশীজন সভায় নৈতিকতা, সাংস্কৃতি, ধর্মীয় ও জাতীয় মূল্যবোধে ভিত্তিতে ‘এআই আইন’ প্রণয়ণের পরামর্শ দেন বিটিআরসি মহাপরিচালক খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, এআই আমার কাছে ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’। তাই, নৈতিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও জাতীয় মূল্যবোধ বিবেচনায় নিয়ে এআই আইন করা দরকার।

মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুপ ফারুক বলেন, আমাদের শিল্পের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে এআই আইন করা উচিত হবে। বৈশ্বিক বিবেচনায় দায়িত্বশীল এআই জরুরি। ফান্ডামেন্টাল জেনারেল ইউজের ক্ষেত্রে সুযোগ রাখতে হবে। বৈশ্বিক যে ৬টি প্রিন্সিপাল রয়েছে সে বিষয়টি নিশ্চিত করে এআই আইন করতে হবে। পাঠ্যক্রমেও এআই অন্তর্ভূক্ত করা দরকার।

টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদী বলেন, এআই একটি কম্পোজিট বিষয়। তাই এই আইন অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইন বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা দরকার। বেশিরভাগ ডিপফেইক হয় করপোরেট লেভেলে। এক্ষেত্রে নির্দেশ দাতা না কোডার- দায় কার হবে প্রশ্ন রাখেন তিনি। তাই আইন করার আগে ইউজ কেইস ও অপরাধকে আগে চিহ্নিত করে এর অপপ্রোয়গ না হওয়ার বিষয়ে যুক্ত করেন এই গণমাধ্যম কর্মী।

বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, আইন করার আগে এর দর্শনটা ঠিক করা জরুরি। এআই এখন আস্ত একটা সফটওয়্যার বানিয়ে দেয়। ১০ জন সফটওয়্যারের ৩০ দিনের কাজ ৩ দিনে করে দেয় এআই। এটা আমাদের চিন্তার বিষয়। এআই এর অগ্রগতি দৌড়ের সঙ্গে আমরা কতটা এগিয়েছি তা ভাবতে হবে। তাই আশঙ্কা না সম্ভাবনা তা নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা দরকার। সাধারণ মানুষের কাছে স্পষ্ট করা প্রয়োজন। বিশ্বজুড়েই তাই যেমন ভাবে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে তা নির্ণয় বন্ধ আছে ঠিক তেমই এআই নিয়ন্ত্রণ করার কথা এখন ভাবা হচ্ছে।

সভায় ‘এআই এর জন্য চাকরি হারানো ব্যক্তিদের জন্য সরকারি ভাতার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান বিটিআরসি’র সাবেক মহাপরিচালক মো. রাকিবুল হাসান। তিনি বলেন, এআই এর কারণে যখন কেউ চাকরি হারাবে তখন পরবর্তী চাকরি না পাওয়ার আগ পর্যন্ত সরকারকে তাকে ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও ডেটা লিক হলে ব্যাড অ্যাক্টররা অ্যাক্টিভ হয়। তাই তথ্য সুরক্ষায় বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। একইসঙ্গে বিদ্যমান আইনের সঙ্গে নতুন এআই আইন যেন সাংঘর্ষিক না হয় সে বিষয়টি এখনই নিশ্চিত করা দরকার।

ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার বলেন, কৃ্ত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থার করছে শিক্ষার্থীরা। তাই এটা আমাদেরকে গ্রহণ করতেই হবে। একইসঙ্গে এর ঝুঁকিকে বিবেচনায় নিয়ে সেখানে আগাম ব্যবস্থা থাকতে হবে।

ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইম রেজা বলেন, নতুন এআই আইন আসন্ন ওটিটি’র মতো আইনের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া দরকার। শিক্ষার ক্ষেত্রে সমন্বয় জরুরি।

ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ডস কমিশন সদস্য সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, এআই এর ইথিক্যাল ইস্যু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই ইউজিসি-তে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

এটুআই নীতি উপদেষ্টা আনীর চৌধুরী বলেন, ওভার রেগুলেশন করতে গিয়ে যেনো আমরা এআই এর সুযোগ হাতছাড়া না করি। এটা কোনো দেশের সরকারের অধীনে নেই। এটা বিগ টেকের হাতে। তাই তাদের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব বাড়াতে হবে।

সভায় ২৬ জনের মতো সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী নেতারা এআই আইন নিয়ে নিজেদের মত তুলে ধরেন।

সময় এবং প্রয়োজনে যেনো দ্রুত আইনটি পরিবর্তন রাখা যায় সেই সুযোগ খসড়া আইনে রাখার আহ্বান জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রতিটি প্রযুক্তির গুড অ্যান্ড ব্যাড সাইড রয়েছে। তাই ভালোটি গ্রহণ করে খারাপটি মোকাবেলার সক্ষমতা আমাদের অর্জন করতে হবে।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ইডিজি প্রকল্প পরিচালক আব্দুল বারী জানান, দুই মাসের মধ্যে এই আইনের খসড়া তৈরি করা হয়। এসময় দেশে-বিদেশের এআই অনুশাসন ও আইনের ওপর আলোকপাত করেন তিনি। জানালেন, এ বছরের মার্চে পাশ হয় ইইউ এআই আইন। এরই মধ্যে ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ করেছে। জুন-জুলাই মাসে ভারতে এআই আইন পাশ হতে পারে। বাংলাদেশের আইনে আমরা ডিজিটাল ডেটা, ডিপফেইক, বায়োমেট্রিক, নৃগোষ্ঠী ইত্যাদি বিষয় সংবিধানের আলোকে করা হচ্ছে। আইনে নাগরিকের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করাও ওপর গুরুত্ব দিয়েছি।

তিথি/এমএ/

মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম
মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বোয়িং না এয়ারবাস কোন কোম্পানি থেকে উড়োজাহাজ কেনা হবে তা নির্ভর করছে মূল্যায়ন প্রতিবেদনের উপর। মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

রবিবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এর সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।

তিনি আরও বলেন, আমরা নতুন উড়োজাহাজ কিনতে চাই। কারণ আমাদের বহর সম্প্রসারণের জন্য উড়োজাহাজ প্রয়োজন। বোয়িং এবং এয়ারবাস দুটি কোম্পানিই এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করছে। তারা তাদের প্রস্তাব বিমানের কাছে জমা দিয়েছে। প্রস্তাবটি বর্তমানে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি মূল্যায়ন করছে। মূল্যায়ন এখনো শেষ হয়নি। মূল্যায়ন শেষ হলে মূল্যায়ন কমিটি যে কোম্পানিকে সুপারিশ করবে আমরা সেখান থেকেই উড়োজাহাজ কিনব। 

মন্ত্রী বলেন, দুটি কোম্পানিই ভালো প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাব যাচাই বাছাই শেষে যেটি আমাদের জন্য ভালো হবে, যাতে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হবে তার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

ফারুক খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে ক্যাটাগরি-১ এ উন্নীতকরণ ও  ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর বিষয়েও কথা হয়েছে। আমি বলেছি এটা আমাদের একটি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি। সুতরাং এটির গুরুত্ব আমাদের কাছে অপরিসীম। আমরা দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আশা করছি। তার জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেছেন তারা আন্তর্জাতিক এভিয়েশন আইন ও তাদের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নিয়ম মেনে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। 

এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বন্ধুত্ব, অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আগামীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোম্পানি এখানে ব্যবসায়িক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চায়। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন শিল্পের অংশীদার হওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলির আগ্রহ রয়েছে। 

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কোন কারণ দেখছি না। আমাদের দিক থেকেও কোন কারণ নেই, যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকেও কোন কারণ নেই‌। আগেও দেশের বিভিন্ন কেনাকাটায় যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। তখন হয়তো তারা কাজ পায়নি, হয়তো অন্য দেশের কোন কোম্পানি কাজ পেয়েছে। তাতে তো সম্পর্কে কোন প্রভাব পড়েনি। পণ্য কেনার ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান, দেশের আইন মেনে দেশের স্বার্থ যাতে রক্ষিত হয় তার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

তিথি/এমএ/

পঁচা ডিম মেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা: তদন্ত কমিটি গঠন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫০ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম
পঁচা ডিম মেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা: তদন্ত কমিটি  গঠন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের
ছবি : সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে পঁচা ডিম মেরে শিক্ষককে লাঞ্ছনার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। 

রবিবার (৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনকে প্রধান করে গঠিত কমিটিকে আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পরীক্ষায় অনৈতিক সুবিধা নিতে বাধা দেওয়ায় গোপালগঞ্জে শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মৃণাল বিশ্বাসকে গত পহেলা জুলাই পঁচা ডিম মেরে লাঞ্চিত করা হয়।

গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত গোপালগঞ্জের সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের বিএ অনার্স পরীক্ষা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্রের ইতিহাস পরীক্ষা চলাকালে ৩-৪ জন শিক্ষার্থী দেখাদেখি ও কথা বলছিলেন। তখন ৪০৮নং কক্ষের দায়িত্বে ছিলেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ, গোপালগঞ্জের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৃণাল বিশ্বাস। তিনি তাদের বারবার সতর্ক করেন। এ সময় তারা শিক্ষকের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে শিক্ষক খাতা নিয়ে নেওয়া হবে বলে জানান। এ ঘটনায় তারা ক্ষিপ্ত হয়। অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার পরে কলেজের কাজ শেষ করে শহরের উদয়ন রোডের বাসায় যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু ক্যাম্পাসের অডিটরিয়াম সড়কে পৌঁছালে তার মাথায় পেছন থেকে পঁচা ডিম ছুঁড়ে মারা হয়। ১ জুলাই এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতে থানায় অভিযোগ করা হয়।

কবির/এমএ/

অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে সায়মা ওয়াজেদ-রাসিক মেয়র আলোচনা

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২০ পিএম
অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে সায়মা ওয়াজেদ-রাসিক মেয়র আলোচনা
ডব্লিউএইচও'র আঞ্চলিক পরিচালক অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদ'কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ছবি: খবরের কাগজ

রাজশাহীতে আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস সম্প্রসারণ, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচালক অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে ঢাকায় ডব্লিউএইচও-এর কার্যালয়ে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নগর প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণ, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও বিশেষ করে অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে রাসিক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ ও সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদ।

এ ব্যাপারে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, ডব্লিউএইচও-এর আঞ্চলিক পরিচালক ও প্রখ্যাত অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তিনি রাজশাহীবাসীর প্রাথমিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এবং অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে ডব্লিউএইচও-এর পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন। আমরা আশা করছি ডব্লিউএইচও'র সহায়তায় রাজশাহীর স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি ও আলোচিত ক্ষেত্রসমূহে উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে পারবো। এতে মহানগরবাসীসহ এই অঞ্চলের মানুষেরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। ফলে স্বাস্থ্যখাতে রাজশাহী অনেক এগিয়ে যাবে।

সভার শুরুতে ডব্লিউএইচও-এর আঞ্চলিক পরিচালক অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদ'কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

সভায় ডব্লিউএইচও-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এনায়েত করিম/এমএ/

শিক্ষক ও কোটা আন্দোলন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
শিক্ষক ও কোটা আন্দোলন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কোটা আন্দোলন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রবিবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মাঝে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কোটা আন্দোলন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সময় মতো সমাধান হয়ে যাবে। আই হোপ সো অ্যান্ড আই বিলিভ সো।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে ইস্যুতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে, সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত নয়। আদালত রায় দিয়েছেন। এখন আলতের ব্যপারটি যখন চলমান, সেখানে যেটি আপিল বিভাগে আছে। এই বিষয় নিয়ে তো কথা বলা উচিত নয়। তবে এটি দেশের ব্যপার, তাই আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

শিক্ষকদের সঙ্গে দ্রুত বসবেন কি-না; জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বসাবসিটাতো বিষয় না, তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। বসাবসিটা কখন হবে- সেটা বলতে পারছি না। তবে সময় মতো সমাধান হয়ে যাবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সম্পদ মাথায় রেখে সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই শ্রীলঙ্কার দৃষ্টান্তের পুনরাবৃত্তি কিংবা ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়- সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
 
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ভালো কাজের যেমন পুরস্কার, সেভাবে খারাপ কাজের জন্য নিন্দা শাস্তির ব্যবস্থা থাকা দরকার। দুর্নীতি, কমিশন পারসেন্টেজ, প্রমোশন ট্রান্সফার এসব নিয়ে আগে অনেক কথা ছিল। এ প্র্যাকটিস বন্ধ করা হয়েছে, বিশেষ করে বিআরটিএ ও সড়ক বিভাগে।

সরকার নাকি মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি করছে- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাস্তবে সরকার মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি নয়, মেগা সাশ্রয় করছে। তিন সেতু- মেঘনা, গোমতী ও কাঁচপুুর সেতুতে ১১ শ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। আর পদ্মা সেতুতে সাশ্রয় হয়েছে এক হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রত্যেক তিন মাস পরপরই আমরা প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয় এই ঋণ ফেরত দিচ্ছে সরকারকে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আমরা ঋণ নিয়েছি, সে অর্থ মন্ত্রণালয়কে আমরা আবার দিয়ে দিচ্ছি। যেভাবে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হচ্ছে, এতে আমি তো মনে করি, ২৫ বছর লাগবে না, ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমরা ঋণ ফেরত দিতে পারব। সূত্র: বাসস

অমিয়/

৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজের তথ্য গুজব: ডিএমপি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৯ পিএম
৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজের তথ্য গুজব: ডিএমপি
ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ৩৫ শিশু নিখোঁজের যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে তা ‘ভিত্তিহীন গুজব’ বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যাণ্ড অপারেশন) খন্দকার মহিদ উদ্দিন।

রবিবার (৭ জুলাই) এ প্রসঙ্গে ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যাণ্ড অপারেশন) সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে এমন কোনো তথ্য ডিএমপির কাছে নেই। তদন্তে দেখা গেছে, একের পর এক শিশু নিখোঁজ হওয়ার এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। পোস্টে যাদের নিখোঁজ হওয়া কথা বলা হয়েছিল তাদের অনেককে পরে পাওয়া গেছে।’

তিনি বলেন, ‘গত ৪ থেকে ৬ মে পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় বিভিন্নভাবে শিশু নিখোঁজের ঘটনায় বিভিন্ন থানায় ৩৩টি জিডি করা হয়েছে। জুন মাসে, ৪ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় ৩৬টি জিডি করা হয়েছে। ৪ থেকে ৬ জুলাই ৭২ ঘণ্টায় ৩২টি জিডি করা হয়।’

আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কোনো তথ্য পাইনি।’

একই বক্তব্য দেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলমও।

শনিবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ ও ব্যক্তিগত আইডি থেকে বিভিন্ন পোস্টে বলা হয়, ‘ব্রেকিং নিউজ, গত ৪৮ ঘণ্টায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে।’ ফেসবুকে ব্যাপকভাবে এই তথ্য ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

খাজা/পপি/অমিয়/