![দেশে মসজিদের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ : সংসদে ধর্মমন্ত্রী](uploads/2024/06/25/Foridul_Haque-1719317451.jpg)
দেশের ৬৪ জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মসজিদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্য মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
ধর্মমন্ত্রী জানান, দেশের ৬৪ জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মসজিদ রয়েছে। এসব মসজিদে প্রায় ১৭ লাখ ইমাম-মুয়াজ্জিন কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারম, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ এবং জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে তিনজন খতিব, ছয়জন পেশ ইমাম ও ছয়জন মুয়াজ্জিনের বেতন-ভাতা রাজস্ব খাতভুক্ত সরকারিভাবে দেওয়া হয়।
ফরিদুল হক খান জানান, প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬৪টি ‘মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় একজন ইমাম, একজন মুয়াজ্জিন ও একজন খাদেমকে বর্তমানে পর্যায়ক্রমে সম্মানির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ৫৬৪টি মডেল মসজিদের রাজস্ব খাতে পদ সৃজনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পদ সৃজনের পর তাদের বেতন ভাতা রাজস্ব খাতভুক্ত বেতন স্কেল থেকে দেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দেশে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পে ৪৯ হাজার ৭১৯ জন ইমাম ও মুয়াজ্জিন কর্মরত রয়েছেন। তাদের প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা হারে সম্মানি দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে এই প্রকল্পের পরিধি বাড়িয়ে দেশের অন্যান্য ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের পর্যায়ক্রমে সম্মানির আওতায় আনা হবে ইনশাআল্লাহ। ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় প্রতিবছর ন্যূনতম সাড়ে ৫ হাজার জনকে ৪ হাজার টাকা হারে মোট ২ কোটি ২০ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। তবে ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আর্থিক সাহায্য পাওয়াদের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সাহায্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়। এ ছাড়া ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় প্রতিবছর ৬০০ জনকে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার ও ২৫ হাজার-এই তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করে মোট ১ কোটি ২০ লাখ টাকা সুদবিহীন ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে।’
তিনি আরও জানান, ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের আয়বর্ধক কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। ট্রাস্ট্রের আয় বৃদ্ধি পেলে ভবিষ্যতে দেশের সব ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে অনুদানের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এই লক্ষ্যে দেশের সব মসজিদের ডেটাবেইস তৈরির কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
এলিস/সালমান/