ঢাকা ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

আগামী বছর চালু হবে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:২৫ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:৪৮ পিএম
আগামী বছর চালু হবে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে
ছবি : সংগৃহীত

আগামী বছরের মধ্যে ঢাকা বাইপাস রোডের অবকাঠামোর কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে সড়ক নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এখন পর্যন্ত সড়কটির ৬০ শতাংশের বেশি নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাইপাসটির কাজ শেষ হলে ঢাকায় প্রবেশ না করে জয়দেবপুর থেকে মদনপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে যাওয়া যাবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) গাজীপুরের মিরের বাজার এলাকায় সিক্লাব রিসোর্টে মিডিয়া পাবলিক ডেতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে বাইপাসটির বিভিন্ন অংশের চলমান কার্যক্রম সরেজমিনে দেখানো হয় গণমাধ্যমকর্মীদের। ওই সময় প্রকল্পটির কে-১২ রেলওয়ে ওভারপাস (মিরের বাজার ফ্লাইওভার) ও ফুটপাত নির্মাণকাজ পরিদর্শন করানো হয়। পরে চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি) এবং চীন ও বাংলাদেশি মিডিয়ার আগ্রহের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রথম পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পের অধীনে বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে এ এক্সপেসওয়ে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সিচুয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ (গ্রুপ) করপোরেশন লিমিটেড (এসআরবিজি), শামীম এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড (এসইএল) এবং ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের (ইউডিসি) কনসোর্টিয়াম নামের তিন প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এই প্রকল্পের আর্থিক পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।

জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-মদনপুর সড়ক (ঢাকা বাইপাস) পিপিপি প্রকল্পটিতে আগের দুই লেনের সড়ক নতুন করে চার লেন করা হচ্ছে। এ ছাড়া পাশে দুটি সার্ভিস লেন থাকবে ওইসব এলাকার যানবাহন চলাচলের জন্য। এ পুরো সড়কে আগে যেখানে দুই ঘণ্টা সময় লাগতো, সেটা আধাঘণ্টায় নেমে আসবে।  

প্রকল্পের ব্যয় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। ২০২৫ সালের জুলাইয়ের মধ্যে সড়কটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকা শহরে প্রবেশ না করেই বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন সহজেই দেশের উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে চলাচল করতে পারবে।

মিডিয়া ডেতে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) সিইও জিয়াও ঝিমিং বলেন, ‘এ এক্সপ্রেসওয়ে বাংলাদেশের মহাসড়কে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে। এটি নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দেবে। পাশাপাশি এ সড়ক ঢাকার ট্রাফিক নেটওয়ার্কের উন্নতি, যানজট নিরসন এবং প্রকল্পটি সম্পন্ন হওয়ার পরে স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।’

জিয়াও বলেন, ‘প্রকল্পটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য তৃতীয় বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামে একটি বাস্তব সহযোগিতা প্রকল্প হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। যা চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে উচ্চমানের সহযোগিতার উদাহরণ।’

অনুষ্ঠানে সিইএবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াং জিয়ানশি বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ এবং চীন-বাংলাদেশ-ভারত-মায়ানমার অর্থনৈতিক করিডোরের আওতায় চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে এমন সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রেখে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করতে থাকবে। দুই দেশের এই প্রচেষ্টার বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে এবং পারস্পরিক সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে মনে করি।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিইএবির আরেক ভাইস প্রেসিডেন্ট উ কিডং, ডিপিডিসির সিওও মো. শফিকুল ইসলাম আকন্দ এবং প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার শি বো এবং ইয়াং জু।

সালমান/

মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন জুনে নির্বাচনি সহিংসতার শিকার ৪৯৪ জন

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ১২:২৩ এএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ১২:২৭ এএম
জুনে নির্বাচনি সহিংসতার শিকার ৪৯৪ জন
প্রতীকী ছবি

জুন মাসে নির্বাচনের আগে ও পরে সহিংসতায় হতাহতের সংখ্যা উদ্বেগজনক। সব মিলিয়ে জুন মাসে নির্বাচনকে ঘিরে ৪৭টি সহিংস ঘটনা ঘটেছে। যে সব ঘটনার শিকার হয়েছেন ৪৯৪ জন মানুষ। এদের মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বেসরকারি সংস্থা মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) জুন মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদনে রবিবার (৩০ জুন) এ সব তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি মনে করে, এক পাক্ষিক নির্বাচন সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। পাশাপাশি জনজীবনকে আতঙ্কের মধ্যে রেখে সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করেছে সে বিষয়টি জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

এমএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড জুন মাসে পরিলক্ষিত না হলেও সরকারদলীয় অভ্যন্তরীণ অন্তর্দ্বন্দের কারণে রাজনৈতিক সহিংসতা উদ্বেগজনক পর্যায়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের কোন্দলের ২০টি ঘটনায় সহিংসতার শিকার হয়েছেন ১৮৯ জন। এর মধ্যে ৪ জন নিহত  ও ১৮৫ জন আহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক বন্দুকযুদ্ধ, হেফাজতে মৃত্যু, পুলিশি নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে। স্বাধীন মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকেরা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও অবিরত হুমকির সম্মুখিন হচ্ছেন। অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার অব্যাহত রয়েছে। সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক হতাহতের মতো ঘটনা বন্ধ হয়নি, সংখ্যালঘু নির্যাতন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা  বিগত মাসের তুলনায় কিছুটা কমলেও এখনো উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়ে গেছে। অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার ও গণপিটুনির মত ঘটনায় হতাহতের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে যা মানবাধিকারের চরম লংঘন।

এমএসএফ মনে করে, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও আইনি পরিবেশ উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সব ধরনের সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা ও ভীতিকর পরিবেশ বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ত্বরিত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। 

এমএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বা সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী, বিজিবি ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) কর্তৃক গোলাগুলির ৫টি ঘটনা ঘটেছে। পাঁচটি গোলাগুলির ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ মাসে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে একজন নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ মাসে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে কমপক্ষে ১০টি নির্যাতন ও অপতৎপরতার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। পুলিশের গুলিতে ৩ জন আহত, পুলিশি নির্যাতনে আহত হয়েছেন ৪ জন, হেফাজতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ২ জন ও পুলিশ কর্তৃক শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটেছে একটি।

এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, জুন মাসে কারা হেফাজতে একজন কয়েদি আত্মহত্যাসহ মোট ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত মাসে এর সংখ্যা ছিল ১০ জন। 

এমএসএফ বলছে, জুন মাসে ১৬টি ঘটনায় ২৩ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আহত ও আক্রমণের শিকার হয়েছেন ৮ জন, হুমকির সম্মুখীন ২ জন, লাঞ্ছিত হয়েছেন ৪ জন এবং সংবাদ প্রকাশের জেরে ৩টি মামলা হয়েছে ৯ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। 

এমএসএফ এর সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, এ মাসে সাইবার নিরাপত্তা আইনে ৯টি মামলায় অভিযুক্ত ২০ জন ব্যক্তির মধ্যে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৪ জন হিন্দু ধর্মাম্বলী যুবক যাদেরকে ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া, ১ জন এনজিও কর্মীকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি, ১ জন যুবককে ফেসবুকে অশ্লীল ছবি পোস্ট করার এবং ২ জন যুবককে দিনাজপুরে এসপির নামে ফেসবুক আইডি খুলে প্রতারণা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এমএসএফের সীমান্তে হত্যা ও পরিস্থিতি বিষয়ক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, সীমান্তে হত্যা ও নির্যাতন বন্ধ করতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না বরং বেড়েই চলেছে। অপরদিকে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তাদের অভ্যন্তরে ও বাংলাদেশ সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে ভয়াবহ অবস্থার তৈরি করে চলেছে। এমএসএফ কর্তৃক সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী জুন ২০২৪ মাসে সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক গুলিতে ২ জন নিহত, বাংলাদেশের অভ্যান্তরে ঢুকে ৩ জনসহ মোট ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন, বিএসএফ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে এক বাংলাদেশি কৃষককে শারীরিক নির্যাতন করে গুরুতর আহত করেছে। এছাড়া ভারতীয় খাসিয়াদের নির্যাতনে এক বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে একজনের পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। মিয়ানমার সীমান্তেরক্ষী বাহিনীর এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনা ঘটেই চলেছে ফলে সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকেরা উৎকন্ঠা ও আতংকে জীবনযাপন করছে।

এমএসএফ বলছে, এ মাসে বিভিন্ন পর্যায়ে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতনের ৪টি ঘটনা ঘটেছে। এ মাসে ২৯৬টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে যা গত মাসের তুলনায় ৩৩টি কম। এ মাসে ধর্ষণের ঘটনা ৪১টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১১টি, ধর্ষণ ও হত্যা ৩টি। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬ জন প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরী।

তিথি/এমএ/

সাংবাদিকদের নিয়ে লায়লা কানিজের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি ডিইউজের

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ১১:৪৩ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ১১:৪৩ পিএম
সাংবাদিকদের নিয়ে লায়লা কানিজের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি ডিইউজের
ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিকদের নিয়ে ছাগলকাণ্ডে বিতর্কিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমানের স্ত্রী লায়লা কানিজের উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য প্রত্যাহার এবং হীন বক্তব্যের জন্য তাকে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

রবিবার (৩০ জুন) এক বিবৃতিতে ডিইউজে এ আহ্বান জানায়।

সংগঠনটির সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী সাংবাদিকদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ ও হীন উদ্দেশ্যমূলক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বড় বড় সাংবাদিকদের কিনেই তারপর এসেছি। সব থেমে যাবে।’ তার এ হীন বক্তব্য সাংবাদিক সমাজকে মর্মাহত করেছে। এ ধরনের উদ্দেশ্যমূলক হীন বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং একই সঙ্গে তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।

নেতারা বলেন, এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে পারবেন না’ লায়লা কানিজ। মতিউর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সেগুলো সাংবাদিকরা প্রকাশ করবেনই। উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাজে মন্তব্য করে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ থেকে সাংবাদিকদের বিরত রাখা যাবে না।

বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে প্রকাশ্যে ও ঢালাওভাবে এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য সাংবাদিকদের নীতি-নৈতিকতার ওপর চরম আঘাত করেছে ও সমাজের কাছে সাংবাদিকদের হেয় প্রতিপন্ন করেছে। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এ ধরনের ঔদ্ধত্যমূলক বক্তব্য দিয়ে তিনি যে অন্যায় করেছেন তা ক্ষমাহীন। 

নেতারা বলেন, একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিকের কাজ অপরাধের শেকড় খুঁজে বের করা। তার প্রকাশিত প্রতিবেদনে তথ্য ও সত্যে গরমিল থাকলে যে কেউ প্রমাণ সাপেক্ষে সেটি নিয়ে অভিযোগ তুলতে পারেন। তবে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থেকে সাংবাদিকদের সম্পর্কে উদ্দেশ্যমূলক হীন বক্তব্য দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

ছাঁটাই প্রস্তাবে আলোচনা শিক্ষাব্যবস্থায় অনিয়ম-দুর্নীতি, এমপিদের কড়া সমালোচনা

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ১১:১৮ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ১১:১৮ পিএম
শিক্ষাব্যবস্থায় অনিয়ম-দুর্নীতি, এমপিদের কড়া সমালোচনা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। তারা বলেন, ‘শিক্ষাব্যবস্থায় বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও বৈষম্য লেগেই আছে। শিক্ষার দুর্নীতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। টাকা ছাড়া কিছুই হয় না। এমপিওভুক্তির জন্য টেবিলে টেবিলে টাকা দিতে হয়।’ তবে এমপিদের দুর্নীতির অভিযোগের কোনো সদুত্তর দেননি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

রবিবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের মঞ্জুরি দাবির বিরুদ্ধে ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় তারা এসব অভিযোগ করেন। 

বরিশাল-৪ আসনের এমপি পংকজ নাথ বলেন, ‘এনটিআরসিএর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ প্রশংসনীয়। তবে কুড়িগ্রামের চিলমারীর কেউ যদি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে নিয়োগ পান, তাহলে তিনি যোগদান করেন না। পার্বত্য এলাকায় তো আরও সমস্যা। এ কারণে শিক্ষক নিয়োগের পরেও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এই নিয়োগটি অঞ্চলভিত্তিক করার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। শিক্ষক ও শিক্ষা অফিসারদের শূন্য পদগুলোতে দ্রুত নিয়োগ দিতে হবে।’

নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম বলেন, ‘সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি। এটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। টাকা ছাড়া কোনো শিক্ষক অবসর ভাতা পাচ্ছেন না। আমার শ্যালক শিক্ষক ছিল, মারা গেছে। আমি নিজে তিন বছর তদবির করলেও অবসর ভাতা পাইনি। টাকা ছাড়া কিছুই হয় না। এটা সর্বগ্রাসী দুর্নীতি। এই দুর্নীতির কারণে গোটা জাতি গ্রাস হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষিত বেকার যুবকরা আত্মহত্যা করছে।’

শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে, কিন্তু শিক্ষার মানের পরিবর্তন হয়নি। আমার নির্বাচনি এলাকায় একটি সরকারি বিদ্যালয়ে ৪৩টি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। পাঠদান হয়নি পাঁচটিতে। সেখানকার ৪৩টি রুমের মধ্যে ১৫ থেকে ২০টি ব্যবহার হয়। বিষয়টা এমন- আমার পাকা বাড়ি, পাকা পায়খানা কিন্তু খাবার নেই। এই হচ্ছে আজকের শিক্ষার অবস্থা।’

সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘দূরবর্তী জায়গায় অনেকে যোগদান করে না, এটা ঠিক। তারপরও বিগত ছয় মাসে ৯৯ হাজার শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এনটিআরসিএর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। আমরা আইন সংশোধনের মাধ্যমে তা নিরসনের চেষ্টা করছি।’ 

এলিস/এমএ/

ঢাকা-রিয়াদ রাজনৈতিক সংলাপ সোমবার

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ১১:২০ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ১১:২০ পিএম
ঢাকা-রিয়াদ রাজনৈতিক সংলাপ সোমবার

ঢাকা-রিয়াদ দ্বিতীয় রাজনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল সোমবার (১ জুলাই)। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। সংলাপে রিজার্ভ সংকট কাটাতে সৌদি আরবের সহযোগিতা চাইতে পারে বাংলাদেশ।

যদিও সংলাপের লিখিত এজেন্ডায় রিজার্ভ সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে সহায়তা চাওয়ার প্রসঙ্গটি নেই। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টির ইঙ্গিত দিয়েছেন। লিখিত এজেন্ডায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের চলতি বছরের মধ্যে বাংলাদেশ সফরের বিষয়টির উল্লেখ আছে। এ ছাড়া আছে বাণিজ্য ও বিনিয়োগবিষয়ক নানা ইস্যু।

সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অন্যদিকে সৌদি আরবের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ। সংলাপে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে থাকছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের মধ্যে দুই দেশের সম্পর্ক, যুবরাজের বাংলাদেশ সফর, জনশক্তি রপ্তানি, বিনিয়োগ, সৌদি উন্নয়ন তহবিলের (এসএফডি) মাধ্যমে বাংলাদেশে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, যৌথ বিনিয়োগের প্রকল্প রয়েছে। দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের বাইরে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুও যেমন ফিলিস্তিন সংকট, মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতি, ইয়েমেন পরিস্থিতি, পবিত্র মক্কা-মদিনাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হুতিদের হামলা, রোহিঙ্গা সংকট, ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

সোমবার থেকে অভিযান শুরু গ্রাহকের কল ড্রপের ক্ষতিপূরণ আদায়ে কঠোর হব: পলক

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ১০:১৮ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ১০:১৮ পিএম
গ্রাহকের কল ড্রপের ক্ষতিপূরণ আদায়ে কঠোর হব: পলক
ছবি: সংগৃহীত

কল ড্রপের জন্য গ্রাহকের যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেটা আদায়ে আরও কঠোর হবেন বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরগুলো যদি প্রতিশ্রুত সেবা না দেয় তা হলে তাদের গ্রাহককে আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আমরা মনিটরিং এবং অডিট নিয়মিত করব। পাশাপাশি কল ড্রপ নিয়ে ঢাকার কয়েকটি এলাকার ড্রাইভ টেস্টের ফলাফল পর্যালোচনা শেষে জুলাই থেকে অভিযান পরিচালনার কথা বলেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শহর বা গ্রাম যেখানেই হোক আমরা মিডিয়ার যে রিপোর্ট, সেগুলো আমলে নেব এবং সেখানে আমরা ড্রাইভ দেব।’

রবিবার (৩০ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহকসেবার মানসংক্রান্ত বিটিআরসি আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অ্যামটব সভাপতি ও গ্রামীণফোন সিইও ইয়াসির আজমানসহ মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

কোভিডকালে মোবাইল অপারেটরের ভূমিকার প্রশংসা করে পলক বলেন, ‘মোবাইল ফোন এখন জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা দেখছি যে, আমাদের গ্রাহকরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। কল ড্রপ একটা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মোবাইল গ্রাহকরা যেমন এ বিষয় নিয়ে অসন্তুষ্ট। তেমনি বিটিআরসি যে পরীক্ষাগুলো করেছে সে রিপোর্ট অনুসারে কোয়ালিটি অব সার্ভিস খুব একটা সন্তোষজনক নয়।’

এ ছাড়া ফাইন্যানসিয়াল অডিট এবং টেকনিক্যাল অডিটের ওপর জোর দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেটের গতি কেন কম হচ্ছে, গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া কী সেগুলো আমলে নিয়ে ড্রাইভ দেব। আমরা কারিগরি পরিদর্শন দল গঠন করেছি, তারা সেগুলো টেস্ট করছে।’ 

পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল সেবা নিয়ে পলক বলেন, ‘ফাইভজি রোল আউটেরও (সক্রিয় করা) একটা নির্দিষ্ট টার্গেট বিটিআরসি এবং চারটি মোবাইল অপারেটরকে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এয়ারপোর্ট, সি পোর্ট এবং কিছু বিজনেস ডিস্ট্রিক্টস, কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক-শিল্পাঞ্চলে ফাইভজি রোল আউট করা। তারপর গ্র্যাজুয়ালি রোল আউট করা।’

তিথি/এমএ/