![‘৩১ দফার ভিত্তিতে দেশ রক্ষায় লড়ছে গণতন্ত্র মঞ্চ’](uploads/2023/12/23/1703341604.Gonotranto_moncho.jpg)
৭ জানুয়ারির নির্বাচন স্থগিত, তফসিল বাতিল এবং আন্দোলনকারী শক্তির সঙ্গে বসে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তারা বলেছেন, একদিকে দেশকে রক্ষা করার জন্য গণতন্ত্র মঞ্চ যেমনি লড়ছে তেমনি সেই রক্ষার ভিত্তি হবে ৩১ দফা। এই ৩১ দফায় রাষ্ট্র ও শাসনব্যবস্থা সংস্কারের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। দেশকে ভয়ংকর সংঘাতময় পরিস্থিতি এবং গণতন্ত্রহীনতা থেকে উদ্ধার করতে হলে নতুন এই বন্দোবস্তের বিকল্প নেই।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ এ আহ্বানে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও গণসংযোগপূর্ব সমাবেশ করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুয়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী।
সমাবেশ পরিচালনা করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সদস্য সাইফুল্লাহ হায়দার। সমাবেশের পর গণসংযোগের উদ্দেশে মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে পল্টন হয়ে কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, দেশ একটা ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী নিজেও সেকথা জানেন। সেজন্যই তিনি দুর্ভিক্ষের কথা বলছেন। দেশে যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হতে যাচ্ছে তা সামাল দিতে তিনি পারবেন না, সেটা জানেন। এরই মধ্যে লোপাট করা ৯২ হাজার কোটি টাকার গরমিল সামনে এসেছে।
তারা বলেন, সংবিধানের কথা বলে যারা ভুয়া নির্বাচন ও প্রহসনের নির্বাচন করছেন তারা জনগণের চোখে ধুলা দিতে পারবেন না। কেননা সংবিধানের ১২৩নং আর্টিকেলের খ-তে এখনো সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন করার পরিস্থিতি আছে। নতুন অধিবেশন ডেকে সেসময় থেকে ৯০ দিন পর নতুন নির্বাচন দেওয়া যাবে। কাজেই সংবিধানের দোহাই খাটে না।
নেতারা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে যা খুশি তাই করছে। নির্বাচন নিয়ে নাটক ও তামাশা চলছে। নির্বাচনি নাটকে কে কে অভিনয় করবে সেটা শেখ হাসিনা একাই ঠিক করেছেন। ডামি প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিদ্রোহী ও নৌকার প্রার্থী এরপর নাটকটা হবে। এরকম খেলা খেলতে যদি এভাবেই একতরফা ভোট সম্পন্ন করেন তাহলে জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না।