![জনগণকে লাঠি-ভাতে মারার ষড়যন্ত্র করছে সরকার : ১২ দলীয় জোট](uploads/2024/01/27/1706346377.photo_2024-01-27_14-23-28.jpg)
জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জন করার নিদারুণ প্রতিশোধ নিতে ফ্যাসিবাদ সরকার এখন জনগণকে ভাতে ও লাঠিতে মারার ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।
তারা বলেন, ‘জনগণের ওপর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির নামে লাল ঘোড়া দাবড়ানো হচ্ছে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার দিল্লির দাসত্ব কায়েম করার জন্য বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্য বানাতে চায়। তবে জনগণ এই সরকারকে প্রত্যাখান করেছে।’
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে শেখ হাসিনার পদত্যাগ, দ্বাদশ নির্বাচন বাতিল, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে কালো পতাকা বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য এসব কথা বলেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
মিছিলটি বিজয়নগর থেকে প্রেস ক্লাবে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার এখন দেশের জন্য বিষফোঁড়া। একদলীয় সরকারের অধীনে সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে ভয়াবহ হাহাকার চলছে। জনগণ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ১২ দলীয় জোট এই ফ্যাসিবাদ হাসিনার সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।’
১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রীকে নতুন বছরে শুভেচ্ছা পুরস্কার হিসেবে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর লাশ পাঠিয়েছে। আজ আমাদের আফসোস হয় এই ফ্যাসিস্ট সরকার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির নামে দেশের জনগণকে পেটেও আঘাতে মারতে চায়। দেশ ও দেশের জনগণকে বাঁচাতে শেখ হাসিনার পতন এখন অনিবার্য।’
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, ‘এই প্রহসনের নির্বাচনে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের কাছে নষ্ট হয়েছে। আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের রাজনীতিকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করেছে। দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এখন পুরোপুরি ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হলো। অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।’
বিক্ষোভ মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশের এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে ইলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভাইস চেয়ারম্যান হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ জাতীয় দল ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোট মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল করিম প্রমুখ।
মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ এলডিপির তমিজউদদীন টিটু, ফরিদ উদ্দিন, জমিয়তে ইলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতি মাওলানা জাকির হোসেন, মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা এমএ কাশেম ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, মনসুর হোসেন, জাগপার আনোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ লেবার পার্টি মো. শরিফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ আবু হানিফ, মো. ইমরান, ইসলামী ঐক্যজোটের বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন, মোহাম্মদ ইলিয়াস রেজা প্রমুখ।
শফিকুল ইসলাম/ইসরাত চৈতি/অমিয়/