ঢাকা ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

লুটপাটের তথ্য প্রকাশের পর এখন তদন্তের নাটক করছে সরকার: মান্না

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ১০:১৬ পিএম
আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪, ১০:১৬ পিএম
লুটপাটের তথ্য প্রকাশের পর এখন তদন্তের নাটক করছে সরকার: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না

প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিদের নানা দুর্নীতির তথ্য প্রকাশের পর সরকার এখন তদন্তের নামে নাটক করছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘আজিজ, বেনজীর, মতিউরের অবিশ্বাস্য দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রীর দাসখত দেওয়ার ভারত সফরের বিরুদ্ধে নাগরিক ঐক্যের মানববন্ধন’ কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আজিজ, বেনজীর, মিয়া সাহেবরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করলেও তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয় নাই। গণমাধ্যমে লুটপাটের তথ্য প্রকাশের পর এখন তদন্তের নাটক করছে। একজন গরিব কৃষক ৩০ হাজার টাকা লোন নিয়ে পরিশোধ করতে না পারলে তাকে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু পুলিশ, সেনাপ্রধানরা হাজার কোটি টাকা লুট করল তা কেউ দেখল না?’

তিনি বলেন, ‘বেনজীর বিদেশে পালিয়ে গেছে, কবে কীভাবে কোন রাস্তা দিয়ে গেল? মতিউরও নাকি পালিয়েছে। সরকার মতিউরের দুর্নীতি খুঁজে পেল না। একটা ছাগল খুঁজে বের করল। ছাগলের কাছ থেকে সরকারের শিক্ষা নেওয়া উচিত। এরা যখন অন্যায় করে তখন সরকার দেখে না? মতিউর যেদিন গেল সেদিনের আগে পর্যন্ত তার নামে কোনো মামলা, নিষেধাজ্ঞা নেই। যাওয়ার পরে বিদেশ যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা দিল।’

সরকারের সমালোচনায় মান্না বলেন, ‘আমরা বিদেশে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশনে আটকে এসবি, ডিবি, এনএসআই, ডিজিএফআই সবার কাছে ফোন করে। আমার নামে মামলার চার্জশিট দিতে পারে নাই। কিন্তু আমার পাসপোর্ট ১০ বছর আটকে রেখেছে। আজিজ, বেনজীরের পাসপোর্ট আটকে রাখা হলো না কেন? কারণ সরকার এদের রক্ষা করছে।’ 

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে মান্না বলেন, ‘তিনি মোদির শপথ নেওয়ার আগে চলে গেছেন। আবার ১৫ দিন পরেই আবার গেলেন। অনেকে বলেন, তিনি হাজিরা দিতে গেছেন। গেলেন কেন? কিছু পাওয়ার জন্য? আমাদের প্রধান দাবি ছিল, ভারত আমাদের পানি দেয় না। এগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে? আমাদের প্রধানমন্ত্রী তিস্তার পানির দাবি ছেড়ে দিয়ে এসেছেন।  যে ট্রেন করিডোর দেওয়া হয়েছে সেখানে যদি অস্ত্র যায়? সেনাবাহিনী যায়? আপনি তল্লাশি করতে পারবেন?’ 

নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ারের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, দপ্তর সম্পাদক মহিদুজ্জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফেরদৌসী আক্তার। 

জয়ন্ত সাহা/সালমান/ 

বৃষ্টি উপেক্ষা করে খালেদা জিয়ার মুক্তির সমাবেশে আসছেন নেতাকর্মীরা

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০১:৫০ পিএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ০২:৪০ পিএম
বৃষ্টি উপেক্ষা করে খালেদা জিয়ার মুক্তির সমাবেশে আসছেন নেতাকর্মীরা
ছবি : খবরের কাগজ

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিএনপির সমাবেশে আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। সকাল থেকে থেমে থেমে চলা বৃষ্টি উপেক্ষা করে দলে দলে নেতাকর্মীরা আসছেন সমাবেশস্থলে। 

শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে এ সমাবেশ শুরু হবে।
ইতোমধ্যে সমাবেশের অস্থায়ী মঞ্চ প্রস্তুত করা হচ্ছে। 

সরেজমিন দেখা যায়, বৃষ্টির মধ্যেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছয়টি পিকআপের ওপর অস্থায়ীভাবে সমাবেশের মূল মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। টাঙানো হয়েছে ব্যানার। মূল মঞ্চ তৈরির পাশাপাশি নয়াপল্টন থেকে শুরু করে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত এবং অন্য পাশে কাকরাইল থেকে কর্ণফুলী মার্কেট পর্যন্ত লাগানো হচ্ছে মাইক। 

এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে বড় জমায়েতের প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। এতে ঢাকা মহানগর ছাড়াও এর আশাপাশের জেলা ও মহানগর থেকেও নেতাকর্মীদের অংশ নিতে বলা হয়েছে। বিএনপিপন্থি পেশাজীবী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরাও এতে অংশ নেবেন। 

ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি বিশাল নয়াপল্টনে সমাবেশস্থলে জড়ো হয়েছে। 
যুবদলের সাবেক নেতা গোলাম মাওলা শাহীনের নেতৃত্বে সহস্রাধিক নেতাকর্মী নয়াপল্টনে জড়ো হয়েছে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন।  

আজকের সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভাপতিত্ব করবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। 

গত ২৬ জুন এই সমাবেশের ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

সে সময় তিনি বলেছিলেন, বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে আরও বেগবান করা হবে। আমরা এই মুক্তির আন্দোলনকে একটা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই।

এ সময় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। আজকের সমাবেশ বাদেও ১ জুলাই সারা দেশে মহানগরগুলোতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ৩ জুলাই সারা দেশের জেলা সদরে তার মুক্তির দাবিতে সমাবেশ হবে।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/

হাসপাতালে খালেদা জিয়ার খোঁজ নিলেন ফখরুল

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:০০ পিএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:০০ পিএম
হাসপাতালে খালেদা জিয়ার খোঁজ নিলেন ফখরুল
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (২৭ জুন) রাত সোয়া ৯টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে ঘণ্টাখানেক সেখানে অবস্থান করেন তিনি।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

এদিকে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন তার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, সিসিইউ সুবিধাসম্বলিত কেবিনে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

গত ২৩ জুন খালেদা জিয়া পেসমেকার বসানো হয়। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে। গত ২১ জুন মধ্যরাতে খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়।

মিজানুর রহমান/অমিয়/

আন্দোলনমুখী বিএনপি, কর্মসূচি দিচ্ছে অন্যরাও

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১০:২০ এএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১০:২৫ এএম
আন্দোলনমুখী বিএনপি, কর্মসূচি দিচ্ছে অন্যরাও
বিএনপি

আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে আবারও মাঠে নামছে বিএনপি। এবার দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজপথে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলার কথা বলছে দলের হাইকমান্ড। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শনিবার (২৯ জুন) সমাবেশ করবে বিএনপি। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে আরও দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ধারাবাহিকভাবে নতুন কর্মসূচি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। 

এদিকে দেশে চলমান নানা ইস্যু সামনে রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করছেন সরকারবিরোধীরা। এরই মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণ অধিকার পরিষদও বিক্ষোভসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেবে বলে জানা গেছে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান খবরের কাগজকে বলেন, ‘তিন দিনের কর্মসূচি দেওয়া আছে। আবার প্রোগ্রাম দেওয়া হবে। সময় বুঝে ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। আন্দোলনের মধ্যেও ওঠানামা থাকে। অতীতে কী হয়েছে সেটা বিষয় নয়। আমরা আমাদের লক্ষ্যে কাজ করে যাব। আন্দোলন চালিয়ে যাব।’ 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বলেন, ‘এর আগে আমাদের আন্দোলনে অন্য দফাগুলোর মধ্যে বেগম জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার বিষয়টি ছিল। কিন্তু এটা আমাদের সর্বাধিক গুরুত্বের বিষয়। কারণ তিনি একজন ন্যাশনালিস্ট। দেশের প্রশ্নে কখনো আপোস করেননি। বর্তমান নানা বাস্তবতায় দেশের প্রয়োজনেই তাকে দরকার। তার মুক্তির মধ্য দিয়েই দেশের মুক্তি ঘটবে বলে আমরা মনে করি। তাই দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলন জোরদার হওয়া জরুরি। ধীরে ধীরে আন্দোলন বেগবান হবে।’

দলীয় সূত্রমতে, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে-পরে সারা দেশে মামলার জালে বন্দি ছিলেন বিএনপির বেশির ভাগ নেতা-কর্মী। খোদ মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে কারাগারে যেতে হয়েছে। এ ছাড়া একটি বড় অংশ ছিল আত্মগোপনে। দেশের বাইরেও অবস্থান করতে হচ্ছে অনেককে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের পর গত ছয় মাসে রাজপথে হাতে গোনা দু-একটি কর্মসূচি পালন করলেও সেটা ছিল দলের নেতা-কর্মীদের মনোবল ধরে রাখার জন্য। এরপর বিগত আন্দোলনের সময় দলের দায়িত্বপ্রাপ্তদের ভূমিকা মূল্যায়নের কাজে হাত দেন নীতিনির্ধারকরা। বিচার-বিশ্লেষণ শেষে কমিটির ব্যর্থতাসহ মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ায় একাধিক কমিটি ভেঙে দেয় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। পাশাপাশি শুরু হয় দল পুনর্গঠন। এরই মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, যা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে হাইকমান্ড। সব নেতা-কর্মীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে উদ্বেগ। সবকিছু পর্যালোচনা করে গত সোমবার স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় সবার আগে বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়ে জোর দেবে দল। এ লক্ষ্যে কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে, যা সংবাদ সম্মেলনে করে জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর যৌথ সভা শেষে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়। 

বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে আজ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিএনপির এ দফায় ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচির আওতায় প্রথম সমাবেশ। এটি সফল করতে একাধিক প্রস্তুতি সভা ও যৌথ সভায় অংশ নিয়েছেন দলের বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এবার যেহেতু দুই মহানগর কমিটি বিলুপ্ত- সে ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরে বিএনপির অন্যতম কাণ্ডারি ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে সমন্বয়ক করা হয়েছে। বিলুপ্ত ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটির নেতাদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা করেছেন। 
অতীতের ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে এবারের আন্দোলনে মাঠে শক্ত ভূমিকা রাখার কথা বলছে বিএনপির আন্দোলনের ‘ভ্যানগার্ড’ হিসেবে পরিচিত ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্ব। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‘দেশের মালিকানা দেশের মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আর এটা আমাদের মমতাময়ী মা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মধ্য দিয়েই সম্ভব হবে।’ 

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ও দেশটির সঙ্গে কয়েকটি ‘অসম চুক্তি ও সমঝোতা’র প্রতিবাদে তিন দিনের কর্মসূচি দিয়েছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে দলটি। এ ছাড়া চলমান পরিস্থিতিতে জাতীয় সংলাপ করবে ৩ জুলাই এবং ৫ জুলাই সব জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ-সমাবেশ এবং মিছিল করা হবে। দলটির নেতারা বলছেন, দেশ, ইসলাম ও মানবতা ধ্বংসের সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে বর্তমান সরকার। দেশ নিয়ে সব মানুষ শঙ্কিত। ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘সামনে আরও কর্মসূচি আসবে। জাতীয় সংলাপ থেকে যেসব পরামর্শ ও মতামত আসবে সেখান থেকে নতুন কিছু বের হয়ে আসবে। সবাইকে নিয়ে আন্দোলন করার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’ সবার মানসিকতা এক হলে এবার ভালো ফলাফল আসবে বলে আমার বিশ্বাস। 

ভারতের সঙ্গে সরকারের করা চুক্তি, দুর্নীতির নানা ঘটনায় দেশব্যাপী নানা প্রতিক্রিয়া বিবেচনায় মানুষকে আরও সংগঠিত করতে চায় সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে থাকা গণতন্ত্র মঞ্চ। এরই মধ্যে নিজেদের মধ্যে আলোচনার পর ৫ জুলাই রাজধানীতে বিক্ষোভ-মিছিল করবে গণতন্ত্র মঞ্চ। মঞ্চের অন্যতম নেতা জোনায়েদ সাকি খবরের কাগজকে বলেন, ‘আরও গুছিয়ে মাঠে নামছি আমরা। যদিও আন্দোলন অব্যাহত আছে। আমাদের বিজয়ী হতেই হবে। এর বিকল্প নেই।’

একইভাবে ক্ষমতাসীনদের ‘দেশবিরোধী’ নানা কর্মকাণ্ড ও সরকারসংশ্লিষ্টদের দুর্নীতি নিয়ে বরাবরই সরব গণ অধিকার পরিষদ। আরও জোরালোভাবে রাজপথে নামার পরিকল্পনা করছে দলটি। শক্তি বাড়াতে দলটির দুই অংশের একসঙ্গে কাজ করার কথাও শোনা যাচ্ছে। 

আর নতুনভাবে কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামার চিন্তা করছে জামায়াতে ইসলামী। আগামী রবি বা সোমবার দলটির শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে আলোচনা সাপেক্ষে কর্মসূচি চূড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামায়াতের এক নেতা বলেন, ‘ডামি সরকার নানা সংকটে আছে। এই সরকারের দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনগণ ঐক্যবদ্ধ। আমরাও শিগগিরই কর্মসূচি ঘোষণা করব।’ 

আ.লীগ ঢাকা মহানগর কমিটি ‘মাইম্যান’ তৈরি ও পদ নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১০:১৪ এএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১০:১৭ এএম
‘মাইম্যান’ তৈরি ও পদ নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ
আওয়ামী লীগ

প্রস্তাবিত ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের অন্তর্গত থানা ও ওয়ার্ড কমিটিতে ‘মাইম্যান’ তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দলের দুর্দিনের ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের বাদ দিয়ে পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে মহানগরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বিরুদ্ধে। 

সম্ভাব্য কমিটির বিষয়ে জানাজানি হলে ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয় খোদ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে। মহানগরের শীর্ষ নেতাদের এমন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের হস্তক্ষেপ চান পদবঞ্চিত নেতারা।

২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। সম্মেলনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি হন শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হন এস এম মান্নান কচি। অন্যদিকে দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির। মহানগরের বর্তমান এই কমিটির মেয়াদ ২০২২ সালে শেষ হয়েছে। মহানগরের নেতারা ২০২১ ও ২২ সালে উত্তরের ২৬টি থানা ও ৬৪টি ওয়ার্ড এবং দক্ষিণের ২৪টি থানা ও ৭৫টি ওয়ার্ডের সম্মেলন দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের চাপে পড়ে গত মে মাসে ঢাকা মহানগর উত্তর ও চলতি মাসে মহানগর দক্ষিণের অন্তর্গত থানা ও ওয়ার্ডের খসড়া কমিটি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে হস্তান্তর করেন নেতারা। কেন্দ্রের যাচাই-বাছাইয়ের পর খোদ দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের পর ওই কমিটিগুলো প্রকাশ করা হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। 

ঢাকা বিভাগের আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মির্জা আজম খবরের কাগজকে বলেন, বিতর্কিত কেউ কমিটিতে থাকলে নিশ্চয়ই তা যাচাই-বাছাই করা হবে। প্রমাণ মিললে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

মহানগর দক্ষিণ নেতাদের অভিযোগ, থানা ও ওয়ার্ড কমিটিতে দলের যোগ্য নেতাদের বাদ দিয়ে পছন্দের লোক কমিটিতে রাখা হয়েছে। মাইম্যান (নিজস্ব বলয়) তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। আবার কোথাও হচ্ছে কমিটি-বাণিজ্য। 

মহানগর দক্ষিণের থানা-ওয়ার্ড পদপ্রত্যাশীদের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, রাজধানীর মতিঝিল থানার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম প্রস্তাব করা হয়েছে ওয়াহিদুর রহমান চৌধুরী ওয়াহিদের। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মন্নাফীর ছেলে আহমেদ ইমতিয়াজ আহমেদ গৌরবের বাল্যবন্ধু ও ব্যবসায়ী অংশীদার। ওয়াহিদ মতিঝিল থানার অন্তর্গত ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। 

স্থানীয় নেতারা জানিয়েছেন, এই ওয়ার্ডে অনেক ত্যাগী এবং ক্লিন ইমেজের নেতা থাকা সত্ত্বেও ওয়াহিদকে বসানো হচ্ছে। আর এই ওয়াহিদের বিরুদ্ধে একাধিক জায়গা দখল ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। মতিঝিলসংলগ্ন দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকায় ক্যাফে সিদ্দিকী নামের একটি রেস্টুরেন্টের পেছনের কিছু অংশ বছরের পর বছর দখল করে রেখেছেন তিনি। তবে তিনি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। বিভিন্ন কারণে তিনি বিতর্কিত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি পদে প্রস্তাব করা হয়েছে শাহিনুর রহমান শাহীনের নাম। যিনি বিএনপি পরিবারের সন্তান। তার বড় দুই ভাই মজনু ও লাভলু বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। মহানগর আওয়ামী লীগের একজন সদস্যের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে মতিঝিলপাড়ার ঐতিহ্যবাহী দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বেশ কিছুদিন আগে। শাহিনের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে। ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গেও তার সম্পৃক্ততা ছিল। 

সূত্রে জানা গেছে, শাহবাগ থানার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রস্তাবিত কমিটিতে সভাপতি পদে মকবুল হোসেনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে সক্রিয় না থাকলেও এক কাউন্সিলরের ‘কাছের লোক’ বলে তাকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। একই ওয়ার্ডে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে শাওনের নাম। যার বিরুদ্ধে দলের নাম ভাঙিয়ে নানা ‘অপরাধ’ করার অভিযোগ রয়েছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টাকার বিনিময়ে বিএনপি পরিবারের সদস্য হলেও আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির জন্য নাম প্রস্তাব করা হয়েছে কয়েকজনের। এদের মধ্যে রয়েছেন ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের আরিফুল ইসলাম আরিফ। এ ছাড়া ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন গেসু আবারও সভাপতি হতে টাকা দিয়েছেন। 

প্রস্তাবিত কমিটিগুলোতে বিতর্কিতদের নাম রাখা হয়েছে- এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এসব প্রস্তাবিত কমিটি আমরা দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে জমা দিয়েছি। এসব প্রস্তাবিত কমিটি আমাদের দলের দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী যাচাই-বাছাই করে তারপর চূড়ান্ত করবেন। এতে বহু পরিবর্তন আসবে।’ অর্থ লেনদেনের বিষয়ে কিছু জানা নেই বলেও জানান হুমায়ুন। 

এদিকে মহানগর উত্তরের কমিটি জমা দেওয়ার পর পরই আওয়ামী লীগের উত্তরের তৃণমূল নেতারা দাবি করেছেন, থানা ও ওয়ার্ড কমিটিতে কারা আসছেন তা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ‘গ্রিন সিগন্যালের’ মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন। যোগ্য নেতাদের বাদ দিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত থানা ও ওয়ার্ড কমিটিতে মামলার আসামি, বিএনপিপন্থি এবং টাকার বিনিময়ে পদ দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগও রয়েছে। 

সম্প্রতি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে পদ-বাণিজ্যের একটি ‘কল রেকর্ড’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ‘আ.লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের কমিটি- সভাপতি বজলুর অর্থ লেনদেনের অডিও ফাঁস’ নামে খবরের কাগজ গত ২৬ জুন একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করে। কমিটির সভাপতির এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতারাও। ২ মিনিট ২০ সেকেন্ডের কল রেকর্ডটিতে দেখা যায়, ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের শীর্ষ পদ পেতে আকবর আলী নামের এক নেতা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের মোবাইলে ফোন করেন। সেখানে ওয়ার্ডের সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক পদে থাকার জন্য আকবর আলী নগর নেতা বজলুর রহমানকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছেন বলে শোনা গেছে। 

এ ছাড়া চলতি মাসের শুরুতে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের অন্তর্গত তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই নানা অভিযোগ তুলে ক্ষোভ জানিয়েছেন ওই থানার বাকি পদপ্রত্যাশী নেতারা। তারা কেন্দ্রীয় নেতা এবং মহানগর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে এ বিষয়ে ক্ষোভও জানিয়েছিলেন। পদপ্রত্যাশী একাধিক নেতা জানান, প্রস্তাবিত তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সভাপতি হিসেবে আছেন নুরুল ইসলাম মোল্লা সুরুজ ও সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন মুহিবুল হাসান। দুজন একই মহল্লায় থাকেন। তারা দুজন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির অনুসারী বলেও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে।

৫৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাসির উদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, “আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। এখানে ওয়ার্ড হওয়ার আগেই ‘ইউনিয়ন’ আমলে আওয়ামী লীগের নেতা ছিলাম। এখন আমাকে আউট করে থানা কমিটি দেওয়া হচ্ছে বলে শুনতে পেয়েছি। যাদের দেওয়া হচ্ছে, তারা অযোগ্য। স্থানীয় নেতাদের মাঝে গ্রহণযোগ্যতা তাদের একদমই নেই। থানা কমিটি সামলানোর সক্ষমতাও তাদের নেই।’ 

ওয়ার্ড ও থানার প্রস্তাবিত কমিটিতে বিতর্কিতদের বিষয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, এসব বিষয়ে অনেক অভিযোগ আছে। এ জন্য হয়তো আমাদের আগামীতে কেন্দ্র থেকে ডাকা হতে পারে। তবে এখনো ডাকা হয়নি। তখন হয়তো কমিটিতে সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা এসব প্রস্তাবিত কমিটি করেছি ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের আগে। আমরা সেখানে রাজপথের যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের রাখার চেষ্টা করেছি। এখন হয়তো অনেক এমপি সাহেবের সেই নামগুলো পছন্দ হচ্ছে না। কিন্তু যেহেতু দলীয় প্রধান নিজে খতিয়ে দেখে কমিটি করবেন, তাই এর পরই ওই কমিটিগুলো ঘোষণা করা হবে।”

এভারকেয়ারে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০১:০২ এএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ০১:০৫ এএম
এভারকেয়ারে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি'র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (২৮ জুন) রাত সোয়া ৯টার দিকে বসুন্ধরার এ হাসপাতালে যান তিনি। ঘণ্টাখানেক সেখানে অবস্থান শেষে রাত ১০টার পর হাসপাতাল ত্যাগ করেন মির্জা ফখরুল। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, সিসিইউ সুবিধাসম্বলিত কেবিনে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

গত ২৩ জুন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে। গত ২১ জুন মধ্যরাতে খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়।

সবুজ/এমএ/