![লিংকডইন প্রোফাইল যেভাবে সাজাবেন](uploads/2023/11/20/1700457181.d.jpg)
Linkedin হলো পেশাদারদের আন্তঃযোগাযোগ, শেয়ার এবং শেখার জন্য একটি ভিন্ন ধরনের সামাজিক নেটওয়ার্ক প্ল্যাটফর্ম। এটিকে বলা চলে আপনার ক্যারিয়ারের জন্য ফেসবুকের মতো। লিংকডইন হলো পেশাদারদের জন্য একটি সামাজিক যোগাযোগের (Social Media Website) জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। নিজের করপোরেট প্রোফাইল তৈরি, কোম্পানি ও ইন্ডাস্ট্রি প্রফেশনালদের সঙ্গে নেটওয়ার্কিং ও চাকরির আবেদন করার জন্য এর ব্যবহার রয়েছে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন গাজী তাহির।
প্রফেশনাল ছবি ব্যবহার করুন
প্রথমে দর্শনধারী, তারপর গুণবিচারী – বাংলা ভাষার পুরোনো প্রবচন এটি। লিংকডইনের প্রোফাইল ছবি ফেসবুক বা অন্যান্য ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল ছবির মতো না হওয়া বাঞ্ছনীয়।
সাধারণত ফর্মাল বা সেমিফর্মাল ছবি ভালো দেখায় লিংকডইনে। তাই বলে পাসপোর্ট সাইজের ছবি কাঠখোট্টা চেহারার ছবি দেবেন না যেন। এ ধরনের ছবি পাসপোর্ট, ইমিগ্রেশন ও ন্যাশনাল আইডি কার্ডের মতো গুরুগম্ভীর বিষয়ের জন্য তোলা হয়।
স্মিত হাসির ছবি ব্যবহার করুন। বিকল্পভাবে আপনার স্বাচ্ছন্দ্যময় কর্মজীবনকে তুলে ধরে, এমন ছবিও দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অন্যরাও আপনার সঙ্গে পেশাগত কারণে যোগাযোগ করতে কম দ্বিধাবোধ করবে।
মাথায় ফ্যাশনের টুপি, চোখে সানগ্লাস, গায়ে অত্যন্ত উজ্জ্বল রঙের জামা বা উদ্ভট ব্যাকগ্রাউন্ডের ছবি দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
যথাযথ প্রোফাইল হেডলাইন লিখুন
আপনার প্রোফাইল হেডলাইন এমনভাবে লিখুন যেন যে কেউ তা বুঝতে পারে। এটি হতে পারে আপনার কাজ বিষয়ক বা কাজের ক্ষেত্র সম্পর্কিত। আপনি চাকরিপ্রার্থী হলে সেটা স্পষ্টভাবে জানান।
হেডলাইন মাত্র ১২০ কারেক্টারের মধ্যে লিখতে হয়। অর্থাৎ প্রতিটি অক্ষর, স্পেস, দাড়ি ও কমার সদ্ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ এখানে। সংক্ষিপ্ত ও আকর্ষণীয় হেডলাইন অন্যদের আপনার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আগ্রহী করে তুলবে।
সামারিতে (Summary) নিজেকে তুলে ধরুন
এ অংশের জন্য বরাদ্দ কারেক্টার সংখ্যা ২০০০। কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম না থাকলেও নিজের কাজ ও পরিচয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো উল্লেখ করা বাঞ্ছনীয়।
আপনার প্রোফাইল দেখে অনেকে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে আগ্রহী হলেও যোগাযোগের কোনো মেইল আইডি বা অন্য মাধ্যম না থাকায় ব্যাপারটা কষ্টসাধ্য হয় উঠে। বহু ক্ষেত্রে লিংকডইনে নিজের নেটওয়ার্কের বাইরে মেসেজ করা সম্ভব হয় না। তাই কীভাবে আপনার সঙ্গে পেশাগত কারণে যোগাযোগ করা যায়, সে ব্যাপারে সামারিতে লিখতে পারেন। তবে ব্যক্তিগত ফোন/মোবাইল নাম্বার ব্যবহার না করাটাই শ্রেয়। কাজের জন্য নিয়মিত যে ই-মেইল ব্যবহার করেন, সে আইডি শেয়ার করুন।
কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানান সংক্ষেপে
অনেকে খুব বড় আকারে নিজেদের কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে লিখে রাখেন। নিজেকে একজন প্রোফাইল ভিউয়ারের অবস্থান থেকে দেখুন। আপনি কি বড় বর্ণনা আদৌ পড়তে চান বা পড়লেও আগ্রহ ধরে রাখতে পারবেন কি? ভিউয়ারের মনোযোগ বাড়াতে দুটি বিষয়ের উপর সংক্ষেপে লিখুন –
আপনার পেশাগত দায়িত্ব ও অর্জন;
যে প্রতিষ্ঠানে জড়িত আছেন বা ছিলেন, তার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কীভাবে ভূমিকা রেখেছেন।
আগের প্রতিষ্ঠানে আপনার ভূমিকা চাকরিদাতাদের কাছে আপনাকে আকর্ষণীয় করে তুলবে।
পড়াশোনা, স্কিল ও অর্জন – যেকোনো ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সময়কে আগে রাখুন
দশ বছর আগে আপনি কোন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো দশ মাস আগে আপনি কী শিখেছেন বা সাফল্য পেয়েছেন। তাই সাম্প্রতিক সময়ের পড়াশোনা, স্কিল ও অর্জন নিয়ে সবার আগে লিখুন। এরপর পেছনের টাইমলাইনে যান। ঠিক যে সময় পর্যন্ত তথ্যগুলো প্রাসঙ্গিক, সে সময় পর্যন্ত উল্লেখ করুন।
জাহ্নবী