বিএনপির পর এবার উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ১২ দলীয় জোট। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হুদা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জোটের শীর্ষ নেতারা বলেন, ১২ দলীয় জোট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন, পুলিশের লেজুরবৃত্তি ও দলীয় ক্যাডার সুলভ আচরণের জন্য ইতোঃপূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে। এখনো সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি এবং বিদ্যমান অরাজক পরিস্থিতি আরও অবনতিশীল হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার যৌক্তিক কারণ রয়েছে। এই সরকারের অপরাজনীতি ও নির্বাচনি প্রহসনের অংশীদার না হওয়ার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ১২ দলীয় জোট।
তারা বলেন, বর্তমানে দেশে এক ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের অভ্যুদয় হয়েছে। আওয়ামী দখলদার শাসকগোষ্ঠী দেশের মসজিদ কমিটি থেকে শুরু করে যেকোনো পেশাজীবী সংগঠনের নির্বাচন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বার অ্যাসোসিয়েশনসহ সব জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে।
নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে জাতীয় ও স্থানীয় সরকার কোনো নির্বাচনই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদেরই আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেমসহ জোটের শীর্ষ নেতারা।
শফিকুল/সালমান/