লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে কারও দাসত্ব করার জন্য নয়। শুধু পণ্য বর্জন নয় আগ্রাসনের হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। প্রকৃত স্বাধীনতার দাবিতে জনগণ নীরবে ঘরে ঘরে প্রস্তুত হচ্ছেন বলে হুঁশিয়ারি দেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) ময়মনসিংহ মহানগরীর চরপাড়া ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ‘আগ্রাসন প্রতিরোধে রুখে দাঁড়ান’ শীর্ষক লিফলেট বিতরণকালে জোটের শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন। এ সময় তারা মার্কেটের দোকানদার, পথচারী ও সাধারণ মানুষের হাতে লিফলেট তুলে দেন।
জোট নেতারা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিদেশের কাছে দেশকে বিক্রি করে দিয়েছে। প্রতিবেশী দেশের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আজ বাংলাদেশের জনগণ ফুঁসে উঠেছে। বাংলাদেশের মানুষ দেশের গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। দেশের জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে একটি দলের পক্ষে অবস্থান, বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যা এবং আগ্রাসনের প্রতিবাদে পণ্য বর্জনের আন্দোলন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে।’
জোট নেতারা বলেন, ‘আমরা প্রতিবেশী দেশের জনগণের বিরুদ্ধে নই। আমরা সমতার ভিত্তিতে বন্ধুত্ব চাই। কিন্তু যে বন্ধু আমাদের হত্যা ও শোষণ করবে, নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করবে তার সঙ্গে কখনোই বন্ধুত্ব হতে পারে না। তাই আমরা তাদের পণ্য বর্জন করে বলতে চাই সীমান্তে হত্যা ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নগ্ন হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন। আপনার দেশে গণতন্ত্র থাকবে কিন্তু আমার দেশের গণতন্ত্র থাকবে না, সেটি বাংলার জনগণ মেনে নেবে না।’
লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ রওনক ইব্রাহিম, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এর সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটু, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম, লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম জোট নেতারা।
শফিক/এমএ/