১২-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে একটি করদ রাজ্যে পরিণত করতে চাইছে। আগ্রাসন ও গণতন্ত্র হত্যার বিরুদ্ধে দেশের মানুষ রুখে দাঁড়াচ্ছে। দেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই শুরু করেছে।
রবিবার (২ জুন) রাজশাহী মহানগরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বানে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তারা।
জোট নেতারা বলেন, ‘আমরা ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে নই, আমরা ভারতের বন্ধু হতে চাই। কিন্তু যে বন্ধু আমাদের শোষণ করবে, যে বন্ধু আমাদের ফারাক্কা, তিস্তা, টিপাইয়ের ন্যায্য হিস্যা দেয় না, সে কি বন্ধু হতে পারে? আপনার দেশে গণতন্ত্র থাকবে, আর আমার দেশে গণতন্ত্র যাতে না থাকে সেই ব্যবস্থা করবেন, বাংলার মানুষ তা কোনোদিন গ্রহণ করবে না। গত ১৬ বছরে সীমান্তে ১২০০-এর বেশি নিরীহ নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সমগ্র বাংলাদেশ আজকে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে আছে।’
তারা বলেন, ‘আমরা বিশ্ব সংবাদমাধ্যম ও দেশের সংবাদমাধ্যমে দেখছি, ভারতের ৫২৭টি পণ্যের মধ্যে বিষক্রিয়া পাওয়া গেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেগুলো নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। সর্বশেষ যুক্তরাজ্য, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাও ভারতের পণ্যগুলো বাজেয়াপ্ত করেছে। তাদের দুটি ওষুধে ক্যানসারের মিশ্র উপাদান পাওয়া গেছে। সিঙ্গাপুর, হংকং সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।’
জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিমের নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেন জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, জমিয়াতে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল মালেক চৌধুরী, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম, এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব চাষী এনামুল হক, জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম প্রমুখ।
শফিকুল/সালমান/