![বাজেটে মানুষের ঘাড়ে ট্যাক্সের বোঝা চাপানো হয়েছে: মির্জা ফখরুল](uploads/2024/06/07/78778-1717774324.jpg)
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ঘোষিত বাজেট কালো টাকার বাজেট। কীভাবে কালো টাকা সাদা করা যাবে, সেটির বাজেট। লুটপাটের বাজেট। মানুষের ঘাড়ে ট্যাক্সের বোঝা চাপানো হয়েছে। যন্ত্রপাতি আমদানি বাধাগ্রস্ত হলে তো কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান হবে না। সেজন্যই কিন্তু ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। কর্মসংস্থান কোথায়? মানুষ কাজ পায় না। ঢাকা শহর থেকে আমাদের এখানে যারা ছোট-খাটো ব্যবসা-বাণিজ্য করতো, চাকুরি করতো তারাও সব গ্রামে চলে যাচ্ছে। কিন্তু গ্রামে গিয়েও কোনো লাভ নাই, কাজ নাই। এ যেন ভয়াবহ অবস্থা।
শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার গৃহীত কর্মসূচি ও নীতি: বাংলাদেশের কৃষি বিপ্লব ও পল্লী উন্নয়নের মূলভিত্তি” শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন সোনালী দল।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ এর সভাপতি অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি'র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো: আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, সেমিনার বিষয়ক সহ-সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. সামিউল আহসান তালুকদার তুষার প্রমুখ।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যার ওপর টিকে আছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাদের (সরকার) যত পরিসংখ্যান সবই মিথ্যা ও বানানো। এই দানব সরকারকে সরাতে না পারলে আমাদের মুক্তি নেই। শুধু পুলিশের আইজিপি বেনজীর, বে-নজির নয়। এই সরকারের সবকিছুই হলো বে-নজির। এখান থেকে রক্ষা পেতে শহীদ জিয়াকে স্মরণ করে যার যার অবস্থান থেকে সবাইকে জেগে উঠতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে জাগিয়ে তুলতে হবে। এটি যত কঠিন কাজই হোক না কেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান দেশের সমৃদ্ধির জন্য নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বিদেশে কর্মী পাঠানো, গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠা, পিছিয়ে পড়া এলাকার জন্য ডেভেলপমেন্ট বোর্ড গঠন করেছিলেন। তিনি মাঠে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কৃষির সেচের জন্য খাল খনন করেছিলেন। গ্রামে, উপজেলায় তিনি রাত্রিযাপন করেছিলেন। জেলায় কেবিনেট মিটিং করেছিলেন। সংশ্লিষ্ট জেলার উন্নয়নের জন্য তিনি নতুন পরিকল্পনা নিতেন। এককথায় গোটা জাতিকে এক নতুন স্বপ্ন দেখিয়ে মাঠ পর্যায়ে উন্নয়ন করেছিলেন। তিনি ইরান-ইরাক যুদ্ধ নিরসনে গঠিত কুদস কমিটির সদস্য ছিলেন। সেজন্যই এই মানুষটিকে কেউ ভুলতে পারেনা। তার অবদানকে যারা অস্বীকার করে তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রের ন্যূনতম অবস্থান থাকলে যেটি হয়, সেটি ভারতের জনগণ দেখিয়ে দিয়েছে। মোদির একক বিজয় ঠেকিয়ে দিয়েছে। এটিই হলো প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্রের কারণে। আজকে আমাদের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। এজন্য আমাদের লড়াইয়ের বিকল্প নেই। আজকে লড়াই করতে গিয়েই কিন্তু আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে।
সবুজ/এমএ/