![বাজেটে রাঘববোয়ালদের খাবারের আরেক ব্যবস্থা হয়েছে: মির্জা ফখরুল](uploads/2024/06/08/mirza-fakhrul-1717841258.jpg)
সরকার কালো টাকাকে সাদা করার বাজেটের মাধ্যমে রাঘববোয়ালদের খাবারের আরেক ব্যবস্থা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আপনারা নিজেরাইতো এর সঙ্গে (দূর্নীতি) জড়িত। আপনারা বাজেটের মাধ্যমে রাঘববোয়ালদের খাওয়ার আরেক ব্যবস্থা করেছেন। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বাজেট ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই নয়।’
শনিবার (৮ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে সিরাজুল আলম খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘বাঙালির জাগরণে করণীয় ও সিরাজুল আলম খান’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘কালো টাকা’ হিসেবে অপ্রদর্শিত আয় সাদা বা বৈধ করার সুযোগ দেওয়াকে ‘বড়শিতে আধার গেঁথে মাছ শিকারের’ সঙ্গে তুলনা করে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য ‘ধুম্রজাল’ সৃষ্টির কৌশল’ হিসেবে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন ‘এটা (বড়শিতে আধার গেঁথে মাছ শিকার) হাস্যকর কথা। দ্রব্য-মূল্যের দাম এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যেটা এখন আর সহনীয় পর্যায়ে নেই।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে এই সমস্যার কথাগুলো বলে একটা ধুম্রজাল সৃষ্টি করে মানুষকে কতদিন প্রতারিত করে রাখা হবে। অল্প ট্যাক্স দিয়ে সেই টাকাটা তোমরা ব্যাংকে নিয়ে আস, সেই ব্যবস্থাটাই হয়েছে। এটা নিয়ে নানা জনে নানা কথা। কিন্তু তারপরেও যেগুলো মানুষের প্রয়োজন সেই ক্ষেত্রে ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছি।’
এ আলোচনাসভার আয়োজন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ আজকে মারাত্মক সংকটের মধ্যে পতিত হয়েছে। বাংলাদেশের অস্তিত্ব আজকে হুমকির মুখে। এমন একটি শাসকগোষ্ঠী জোর করে ক্ষমতাকে দখল করে বসে আছে, তারা সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষকে শোষণ-নিপীড়ন করছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করা হচ্ছে। এখানে একটি দল একজনের অবদান ছাড়া কারও অবদান স্বীকার করতে চায় না। স্বাধীনতার যুদ্ধে যারা কাজ করেছে তাদেরকে অবহেলায় অস্বীকার করে আসছে।’
সিরাজুল আলম খানের স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সিরাজুল আলম খানের অবদানকে অস্বীকার করা যাবে না। মুক্তিসংগ্রামের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছেন। স্বাধীনতার জন্য তিনি তার জায়গায় থেকে কাজ করেছেন। তার অবদানকে অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা।’
জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।
শফিকুল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/অমিয়/