ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘর থেকেই ব্যবস্থা চান আ.লীগ নেতা-কর্মীরা

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৫ এএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৩:১২ পিএম
ঘর থেকেই ব্যবস্থা চান আ.লীগ নেতা-কর্মীরা

আগে ঘর (দল) থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চান আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। কারণ হিসেবে দলটির তৃণমূল নেতারা বলছেন, অসৎ নেতারা বিদায় হলে সৎ ও যোগ্য নেতারা দায়িত্বশীল পদে আসবেন। এতে করে সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী হবে আওয়ামী লীগ।

কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার দুর্নীতির চিত্র গণমাধ্যমে উঠে আসায় সাম্প্রতিক কালে সরকারের মধ্যে কিছুটা অস্বস্তি তৈরি হয়। প্রধানমন্ত্রী নিজেই এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ পরিস্থিতিতে দুর্নীতির অভিযোগ বা আলোচনা আছে আওয়ামী লীগের, এমন নেতারাও চিন্তিত হয়ে পড়েন। কারণ অভিযান কোথা থেকে শুরু হবে, তা নিয়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা ও গুঞ্জন শুরু হয়। তবে ক্লিন ইমেজের নেতারা ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় একজন অন্যজনকে বলেন, দলের ভেতরে ঘাপটি মেরে বসে থাকা দুর্নীতিবাজ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। তারা বলেন, আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে কেউ কেউ অসৎ পথে অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছেন; যেটি জনগণের সামনে দৃশ্যমান হয়েছে। ওই নেতারাই আবার দায়িত্বশীল পদে থেকে পদ-বাণিজ্য করে অযোগ্যদের দলে টেনেছেন, এমন আলোচনাও আছে। 

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ খবরের কাগজকে বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানের বিষয়ে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন। দলের নেতারা দুর্নীতি করলে তাদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা হবে, তা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভালো বলতে পারবেন। তবে সব জায়গাতেই জিরো টলারেন্স নীতি থাকতে হবে।’

টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যে নির্বাচনি ইশতেহার দিয়েছিল, তাতে গুরুত্ব পেয়েছিল ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি’। 

গত শনিবার সংসদে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি, সে যেই হোক দুর্নীতি করলে কারও রক্ষা নেই। যারাই দুর্নীতি করবে, ধরব।’ 

গত বুধবার এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান পরিষ্কার, জিরো টলারেন্স। এ ক্ষেত্রে তিনি অটল। দুর্নীতি যেই করুক, সে ক্ষেত্রে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে থাকবে। দুর্নীতির তদন্ত করার অধিকার দুদকের রয়েছে। এখানে সরকার তাদের স্বাধীনতায় কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।

নেতাদের ক্ষেত্রে কী হবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুর্নীতি শুধু আমলারা করেন, রাজনীতিবিদরা করেন না- সেটা নয়। যখন আমরা কথা বলি, তখন আয়নায় নিজেদের চেহারাও দেখা উচিত যে আমি একজন পলিটিশিয়ান দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছি, কিন্তু আমাদের মধ্যেও তো করাপশন রয়েছে।’

দলীয় সূত্র বলছে, ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতের মাটিতে নৃশংসভাবে খুন হওয়ার কারণ হিসেবে দুর্নীতি-লুটপাটের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের বিষয়টি উঠে আসে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের পদ-বাণিজ্যের একটি ‘কল রেকর্ড’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের শীর্ষ পদ পেতে আকবর আলী নামের এক নেতা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের মোবাইলে ফোন করেন। সেখানে ওয়ার্ডের সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক পদে থাকার জন্য আকবর আলী বজলুর রহমানকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছেন বলে রেকর্ডটিতে শোনা গেছে। খোদ সভাপতির এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। 

এর আগে একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে নাম জড়িয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ। দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর অনুসারী হওয়ার সুবাদে তার নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলবাজি, দৃশ্যমান ব্যবসা না থাকলেও রাজধানীতে একাধিক ফ্ল্যাট-গাড়ির মালিক, নারীদের কুপ্রস্তাব দেওয়া, সিনিয়র নেতাদের অসম্মান করাসহ রিয়াজের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ করেন নগর নেতারা। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে দলীয় পদ থেকে রিয়াজকে বহিষ্কারও করে আওয়ামী লীগ। তার পরও ক্ষান্ত হননি রিয়াজ। দলের শীর্ষ নেতাদের ম্যানেজ করে পদে ফিরেছেন তিনি। সর্বশেষ দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী ও কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলে ফেরাবেন বলে ১০ লাখ টাকায় রফাদফা করতে চেয়েছিলেন রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ। এ ঘটনায় তাকে শোকজ করা হলে তিনি নেতাদের ম্যানেজ করে স্বপদে ফিরছেন বলে জানা গেছে। তাকে যারা প্রশ্রয় দিচ্ছেন, তাদেরও বিচার চেয়েছেন নগরের তিনজন নেতা। 

অন্যদিকে আলোচিত ছাগলকাণ্ডে উঠে আসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মো. মতিউর রহমানের দুর্নীতির খবর। তার দুই স্ত্রীর বিপুল সম্পদের খবর সারা দেশে আলোড়ন তৈরি করে। তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। যিনি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদেও রয়েছেন। তার নামে-বেনামে রয়েছে অঢেল সম্পদ। অবসরপ্রাপ্ত একজন শিক্ষক হয়ে কীভাবে লায়লা এত সম্পদের মালিক বনে গেলেন, তা নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নেতাদের মধ্যে বিস্তর আলাপ-আলোচনা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে কেনো দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, সে বিষয়ে কথা বলছেন নেতারা। 

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, লায়লা কানিজের এখনো দলীয় পদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আসীন থাকা নিয়ে দ্বিধা-বিভক্ত জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা এ জন্য একে অপরের ওপর দায় চাপাচ্ছেন। যদিও লায়লা বিএনপি এবং রাজাকার পরিবারের সন্তান বলে জানান নরসিংদী জেলার আওয়ামী লীগের নেতারা।

বিতর্কিত ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগকে কঠোর দেখতে চান দলের তৃণমূল নেতারা। চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল খবরের কাগজকে বলেন, ‘যাদের সুবিধার কারণে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক, সেটাই আমরা চাই।’ 

গত শনিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘আওয়ামী লীগে যদি কোনো আবর্জনা-আগাছা হাজির হয়, তবে তা আমরা উপড়ে ফেলব। আগাছামুক্ত আওয়ামী লীগ গড়ব।’

বাহাউদ্দিন নাছিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তো বলছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। যাকে বলা যেতে পারে শুভ জাগরণ। আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান তো সবার জন্যই হবে। কারণ আইন তো সবার ক্ষেত্রে সমান।’ দলীয়ভাবে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে নাছিম বলেন, ‘দলের কেউ দুর্নীতিবাজ প্রমাণিত হলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে বহিষ্কার করা হবে। আর সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার এগুলোও দুর্নীতির অংশ। দলীয়ভাবে কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।’ 

আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয়স্বজনকে নির্বাচনে না দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে। কিন্তু সেই আহ্বানেও সাড়া দেননি অনেক মন্ত্রী-এমপি। এখন দেখা হবে কোন কোন সংসদ সদস্য কোথায় কোথায় কী কী অপকর্মের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থার পাশাপাশি দলীয়ভাবেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

দলের মধ্যে দুর্নীতিবাজ থাকলে তার কোনো তালিকা তৈরি করবেন কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন খবরের কাগজকে বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ যে পেশার হোক, তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। এটি রাষ্ট্রীয় ম্যাকানিজমে হচ্ছে।’

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী দলের ভেতরে হোক, সরকারে, প্রশাসনে, অন্য পর্যায়ে- দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান জিরো টলারেন্স থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য বের হলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করতে হবে: গোলাম পরওয়ার

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:১২ পিএম
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করতে হবে: গোলাম পরওয়ার
ছবি : খবরের কাগজ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশবাসী ও দলের নেতাকর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। জননিরাপত্তা মারাত্মক সংকটে নিপতিত। পরিবারিক, সামাজিক ও ইসলামী মূল্যবোধ অবক্ষয়ের কারণে সামাজিক নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকারের কোনো মর্যাদা নেই বললেই চলে।

রবিবার (৭ জুলাই)  কক্সবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সদস্য (রুকন) শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

জেলা জামায়াতের আমির ও ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম ও মুহাম্মদ শাহজাহান। 

গোলাম মিয়া পরওয়ার বলেন, আওয়ামী সিন্ডিকেটের কারণে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সাধারণ জনগণ আজ দিশাহারা। দীর্ঘ ১৫ বছরে অধিক গণতন্ত্রহীনতার কারণে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি, নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য ক্ষমতাসীনরাই দায়ী। 

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জামায়াত দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে জনগণ থেকে জামায়াতকে বিচ্ছিন্ন করার অপকৌশল দেশবাসী রুখে দিয়েছে। তাই দেশের মানুষ, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় জামায়াতে ইসলামী ভবিষ্যতে আরও বলিষ্ঠ ও সাহসী ভূমিকা পালন করতে সচেষ্ট।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ইসলামের সোনালি অধ্যায় রচনায় একদল জিন্দাদীল, পরিচ্ছন্ন, সাহসী, আল্লাহভীরু মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও আত্মত্যাগের কারণে ইসলাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। জামায়াতে ইসলামীর রুকনদের আসহাবে রাসুলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অর্জন ও অনুসরণে ব্রতী হয়ে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা পালন করতে হবে।

জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী ও জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমির মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশন কক্সবাজার জেলা সভাপতি শামসুল আলম বাহাদুর প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/

ঢাকাসহ ৪ মহানগরে বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১১:৫৪ এএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
ঢাকাসহ ৪ মহানগরে বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি
বিএনপি

কমিটি ভেঙে দেওয়ার ২৩ দিন পর নতুন আংশিক আহ্বায়ক কমিটি পেল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগর বিএনপি।

রবিবার (৭ জুলাই) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চার মহানগরের নতুন আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরবকে আহ্বায়ক ও বিএনপির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক, ফুটবলার আমিনুল হককে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুকে আহ্বায়ক ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রবিনকে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এতে আরও জানানো হয়, বিএনপি নেতা এরশাদুল্লাহকে আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রদল নেতা নাজিমুর রহমানকে সদস্য সচিব করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দুই সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়েছে।

অন্যদিকে, বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুককে আহ্বায়ক, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়াকে সদস্য সচিব ও সাবেক ছাত্রদল নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিনকে ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক করে বরিশাল মহানগর বিএনপির তিন সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অভিনন্দন জানাই। তারা আমাকে যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মহানগরের দায়িত্ব দিয়েছেন, আমার জীবনের বিনিময়ে হলেও সে দায়িত্ব পালন করব। আগামী দিনে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলন আরও জোরদার করব।’
 
গত ১৩ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম মহানগর ও বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়। পাশাপাশি সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এবং মোনায়েম মুন্নার নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/

ছাত্রদলের কমিটি নিষ্ক্রিয়, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের ঠাঁই

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৬ এএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ পিএম
নিষ্ক্রিয়, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের ঠাঁই

ছাত্রদলের ২৫৭ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণার পর থেকেই সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ভেতর-বাইরে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়, চাকরিজীবী, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের ‘বন্ধু কোটা’য় অছাত্র এবং বিতর্কিতদের কমিটিতে পদায়ন করা হয়েছে।

পদায়নের ক্ষেত্রে মানা হয়নি সিনিয়র-জুনিয়র চেইন অব কমান্ড। কমিটিতে ঢাকার বাইরে থেকে কারও ঠাঁই হয়নি। পক্ষান্তরে মামলায় জর্জরিত এবং পরীক্ষিত প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে বিতর্কিত এসব নেতার একটি তালিকা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দপ্তরে জমা দিয়েছেন পদবঞ্চিত ছাত্রনেতারা। 

সংগঠনের অন্তত আটজন নেতার সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, ছাত্রদলের ঘোষিত কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৯০ জন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ জন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ জন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ জন। ঢাবিতে ৯০ জনের বাইরেও নেতা-কর্মী নেই বললেই চলে। কমিটিতে ২১ জন নারী থাকলেও শুধু ঢাবির ছাত্রী মাত্র একজন।

তিনি হলেন যুগ্ম আহ্বায়ক মানসুরা আলম। কেউ কেউ রাজপথে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করলেও তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। আবার কেউ অতিমূল্যায়িত হয়েছেন। পদায়নের ক্ষেত্রে সিনিয়র-জুনিয়র না মানায় চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ার শঙ্কাও রয়েছে। 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিচার-বিবেচনা করেই যথার্থ কমিটি দিয়েছে হাইকমান্ড। একটা পরিবারের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ থাকতে পারে, তা নিরসনও করবেন নেতারা।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ছাত্রদলের আংশিক কমিটি দেওয়া হয়েছে। এখনো ঢাকার বাইরের নেতাদের যুক্ত করার সুযোগ রয়েছে।’ 

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব খবরের কাগজকে বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা বিভিন্ন জনকে দিয়ে এসব অভিযোগ করাচ্ছেন। যারা অভিযোগ করছেন, সবাই আমাদের রাজনৈতিক সহকর্মী।’ 

জানা গেছে, ছাত্রদলের কমিটি গঠনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম নয়ন ও শীর্ষ দুই নেতার। এদের মধ্যে যুবদল নেতা হয়েও ছাত্রদল অনেকটাই নয়নের নিয়ন্ত্রণে; যা নিয়ে নেতাদের মাঝে রয়েছে চাপা ক্ষোভ। বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির ৭ নম্বর সহসভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। ওই কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন ২ নম্বর সহসভাপতি এ বি এম ইজাজুল কবির রুয়েল। ঠিক একইভাবে ঢাবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামকে ৪ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। ওই কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুমিনুল ইসলাম জিসানকে ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সোহেল ও আরিফুলের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অবমূল্যায়নের কারণে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছেন সহসাধারণ সম্পাদক আরিবা নিশি। সম্প্রতি পদবঞ্চিত ছাত্রদলের নেতাদের গ্রেপ্তারের পেছনেও সংগঠনের নেতাদের ইন্ধন রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। 

কমিটিতে নিষ্ক্রিয়, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও বিতর্কিত একাধিক নেতা 
ছাত্রদলের আট নেতার দেওয়া তথ্যমতে, ছাত্রদলের কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়া মির্জা মারুফ বর্তমানে ইউসিবি ব্যাংকের কর্মকর্তা। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান তাজ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক নরুজ্জামান রাসেল- দুজনই ঠিকাদার ব্যবসায়ী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসনাইন নাহিয়ান ওরফে সজীব কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সহসভাপতি আপেল মাহমুদ বিএনপির মিডিয়া সেলের ৩৫ হাজার টাকায় বেতনভুক্ত কর্মী। এ দুজনের জন্য তদবির করেছেন মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুম্মন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলম একজন ব্যবসায়ী। সহসাংগঠনিক সম্পাদক নাইমুল হোসেন রোমান ও হুমায়ূন কবির নয়ন- দুজনই বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। সহসভাপতি জকির উদ্দিন আবিরের নামে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে।

সহসভাপতি আনোয়ার পারভেজ ও হাবিবুল বাশার- তারা শিক্ষকতা পেশায় রয়েছেন। সহসভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম দিপু পাটোয়ারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানজিয়া আফরিন এলিনা, সহসাধারণ সম্পাদক মো. রাহাত হোসেন দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন চাঁদপুর মতলব উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামীম শেখ শেরেবাংলা নগর থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমবিষয়ক সম্পাদক আহমেদ কামরান রাশেদ সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। রাশেদের হয়ে লবিং করেছেন বিএনপির তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান অ্যাপোলো। 

সহসভাপতি মো. জুয়েল মৃধা ও আশরাফুল ইসলাম রবিন- দুই নেতার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জুয়েলের বয়স ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে। রবিনের এসএসসি সার্টিফিকেট নেই। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকরি করেন। যদিও ছাত্রদল বলছে, ভুল করে জুয়েল রানা বলা হচ্ছে, এটা হবে জুয়েল হোসেন। 

সহসভাপতি জুয়েল মৃধা খবরের কাগজকে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুয়া। তিনি ২০০৬-০৭ অনার্স ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং এসএসসি দিয়েছেন ২০০৩ সালে। তার নামে ২৬টি মামলা রয়েছে ও সাজাও হয়েছে। তার দাবি, আন্দোলনে তার মতো কেউ বেশি রাজপথে ছিল না।’

আর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলম বলেন, ‘যারা মাঠে ছিলেন না তারা এসব গুজব রটাচ্ছেন।’ হাসনাইন নাহিয়ান সজীব নামে আরেকজন খবরের কাগজকে বলেন, ‘২০২১ সালে যুবদলের কমিটিতে তার নাম ভুলক্রমে চলে আসে। পরে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।’ 

কমিটিতে অতিমূল্যায়িত হয়েছেন সহসাধারণ সম্পাদক জুবাইদা ইসলাম জেরিন ও জান্নাতুন নওরীন উর্মি। এ ছাড়া আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাকরি করার ও দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ রয়েছে। 

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ‘বন্ধু কোটা’
সংগঠনের একাধিক নেতা-কর্মীর অভিযোগ, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছিরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ায় ‘বন্ধু কোটায়’ কয়েকজনকে পদায়ন হয়েছে। এরা হলেন সভাপতির বন্ধু সহসভাপতি অলিউজ্জামান সোহেল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাব্বি হাসান। সাধারণ সম্পাদকের বন্ধু যুগ্ম সাধারণ ওমর ফারুক শাকিল চৌধুরী, সহসাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান তুফান। শাকিলের বনশ্রীতে মুদি দোকান রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। 

ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শিপন বিশ্বাস খবরের কাগজকে বলেন, ‘এত বড় কমিটি। আরও যাচাই-বাছাই করে নেতা সিলেক্টের প্রয়োজন ছিল। হামলা-মামলায় জর্জরিত এবং পরীক্ষিতদের বাদ দেওয়া হয়েছে। ২৮ অক্টোবরের পর যারা নিষ্ক্রিয় ছিলেন তারা এই কমিটিতে কীভাবে স্থান পেলেন?’

জানা গেছে, বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্দিষ্ট দুটি বলয় থেকে নেতা হয়েছেন। ‘পকেট কমিটি’ ‘মাইম্যান’ বলয়ের বাইরেও কাউকে কমিটি রাখা হয়নি। শীর্ষ দুই পদসহ নীতিনির্ধারণী ফোরামের ৩১ জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অন্যদের ভূমিকা রাখতে পারবে না। নেতাদের বয়সও ৩০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। বেশির ভাগই পড়াশোনায় অনিয়মিত। কেউ কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মিত কোর্সে ভর্তি আছেন। নারীদের মধ্যেও অনেকেই অনিয়মিত কিংবা ‘ড্রপ আউট’ শিক্ষার্থী। 

আক্ষেপ করে নেতা-কর্মীরা বলেন, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়- মোটাদাগে ঢাকার বাইরে কাউকে রাখা হয়নি। অথচ সারা দেশের ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা হামলা-মামলা-নির্যাতনের শিকার হন বেশি। বিগত আন্দোলনে ঢাবির অবদান কী? একসময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি রুহুল কবির রিজভী ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এভাবে চলতে থাকলে অনেকেই ছাত্ররাজনীতি ছেড়ে দেবেন। 

এসব অভিযোগের জবাবে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‘২৫০ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা শতভাগ যাচাই-বাছাই করে কমিটিতে পদায়ন করা হয়েছে। যারা অভিযোগ করছেন, তাদের কাছেও সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ নেই। গত বছরের ২৮ অক্টোবরের পর থেকে যারা রাজপথে বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন, তাদের দালিলিক প্রমাণসহ কমিটিতে পদায়ন করা হয়েছে। ঢালাওভাবে অভিযোগ করা হচ্ছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’ 

তিনি বলেন, ‘যারা কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন, তাদের আগামীতে আংশিক কমিটির আকার বাড়ালে সক্রিয়তা দেখে পদায়ন করা হবে। ঢাকার বাইরে থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’

ঢাবিতে কমছে নেতা-নেত্রী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর ‘হল কমিটি’ দেওয়ার জন্য নেতৃত্ব-সংকটে ভুগছে ছাত্রদল। ছেলেদের হল কমিটি দিতে নেতা পেলেও নারীনেত্রী খুঁজে পাচ্ছে না সংগঠনটি। কারণ হিসেবে নেতা-কর্মীরা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে ছাত্রদলকে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ঢুকতে দিচ্ছে না। ফলে নতুন কর্মী সংগ্রহের সুযোগ কম এবং নতুন কর্মীও তৈরি করতে পারছে না ছাত্রদল। এ ছাড়া ছাত্রলীগের হামলা-মামলা এবং ক্যাম্পাস ছাড়ার ভয়ে অনেকেই ছাত্রদল করলেও তারা পদ-পদবি নিতে চান না।

যুব মহিলা লীগের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম
আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম
যুব মহিলা লীগের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে যুব মহিলা লীগ। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আনন্দ শোভাযাত্রা, কেক কাটা এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেন সংগঠনের নেত্রীরা। 

দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (৬ জুলাই) যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলির নেতৃত্বে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় সংগঠনের কেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে সংগঠনের নেত্রীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে কেক কাটেন এবং আনন্দ শোভাযাত্রা বের করেন। এর আগে সকাল ৭টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে যুব মহিলা লীগের একটি প্রতিনিধিদল শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এদিকে সংগঠনের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ রবিবার সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন যুব মহিলা লীগ নেত্রীরা।

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ইউট্যাবের দোয়া মাহফিল

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩২ পিএম
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ইউট্যাবের দোয়া মাহফিল
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন- ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) এর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা।

শনিবার (৬ জুলাই) বাদ আসর সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারে এই দোয়া ও মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতে খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া করা হয়। 

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও ইউট্যাবের মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের উপস্থিতিতে দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, সিলেট সিটি করপোরেশেনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, নিবার্হী কমিটির সদস্য আবুল কাহের শামীম, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহম্মেদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, ইউট্যাব শাবিপ্রবি ইউনিটের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকবাল, অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলাম রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. রেজোয়ান আহমেদ, শাবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম, অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রশিদ, অধ্যাপক ড. ইফতেখার আহমেদ, অধ্যাপক ড. পাবেল শাহরিয়ার, অধ্যাপক ড. মাসুদ আলম, অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শাহাবুল হক, অধ্যাপক ড. আশরাফ সিদ্দিকী, অধ্যাপক ড. সাঈদ আহমেদ, ড. মনযুর উল হায়দার, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. সিদ্দিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. সামিউল আহসান তালুকদার তুষার, অধ্যাপক ড. মো. কাওছার হোসেন, ড. মো. জসিম উদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক খালেদ হোসেনসহ বিভিন্ন পেশার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সবুজ/এমএ/