![কবুল হজে মেলে জান্নাত](uploads/2024/05/23/hajj-1716454997.jpg)
হজ অর্থ ইচ্ছা করা। নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট জায়গায় নির্ধারিত কিছু বিধান পালন করা হলো হজ। ইসলামের মৌলিক পাঁচটি ভিত্তির অন্যতম হজ। এটি আর্থিক ও শারীরিক ইবাদত। এর জন্য প্রয়োজন সক্ষমতা; বিশেষ করে আর্থিক সক্ষমতা। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আল্লাহর জন্য এই ঘরের হজ করা লোকদের ওপর আবশ্যক, যার সেখানে পৌঁছার সামর্থ্য আছে। যে অস্বীকার করবে, (সে জেনে রাখুক) নিঃসন্দেহে আল্লাহ বিশ্ব জাহানের মুখাপেক্ষী নন।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ৯৭)
উল্লিখিত আয়াতে ‘যার সেখানে পৌঁছার সামর্থ্য আছে’ এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, বাইতুল্লাহ যাতায়াতে অর্থ ও পাথেয় যার কাছে আছে। একইভাবে রাস্তা ও জীবন-সম্পদের নিরাপত্তা এবং শারীরিক সুস্থতা ইত্যাদিও সামর্থ্যের অন্তর্ভুক্ত। নারীদের জন্য মাহরাম (স্বামী অথবা যার সঙ্গে তার বিয়ে চিরতরে হারাম এমন কোনো পুরুষ) থাকা জরুরি। (ফাতহুল কাদির)
কোরআনের আরেক আয়াতে আল্লাহতায়ালা ইবরাহিম (আ.)-কে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আর মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা দিন। তারা আপনার কাছে আসবে হেঁটে ও সর্বপ্রকার ক্ষীণকায় উটসমূহের পিঠে (আরোহণ করে), তারা আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে।’ (সুরা হজ, আয়াত: ২৭)
মক্কা নগরীর পাহাড়ের চূড়া থেকে উচ্চারিত সেই আহ্বান আজ পৃথিবীর কোণায় কোণায় পৌঁছে গেছে। প্রত্যেক হজ ও উমরা সম্পাদনকারী হজ ও উমরার সময় সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে আল্লাহর কাছে ‘লাব্বাইক’ (আমি উপস্থিত) বলেন।
ইসলামে অনেক আমল আছে সর্বোত্তম। এর মধ্যে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হজ অন্যতম। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান আনা। জিজ্ঞাসা করা হলো, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে (শত্রুর মোকাবিলায়) জিহাদ করা। জিজ্ঞাসা করা হলো, অতঃপর কোনটি? তিনি বললেন, কবুল হজ।’ (বুখারি, ১৫১৯)
গ্রহণযোগ্য হজের প্রতিদানে মেলে জান্নাত। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘এক উমরার পর আরেকটি উমরা পালন করা, উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের (গুনাহের) জন্য কাফফারা স্বরূপ। কবুল হজের প্রতিদান হলো জান্নাত।’ (বুখারি, ১৭৭৩)
আরবি জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ মোট ৫ দিনে হজ সম্পন্ন করতে হয়। এ বছর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন হজ অনুষ্ঠিত হবে।
লেখক: খতিব, ভবানীপুর মাইজপাড়া হক্কানি জামে মসজিদ, গাজীপুর