মুমিন বান্দাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেয়ামত ফজর নামাজ। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘জোহরের নামাজে যাওয়ার কী সওয়াব, তা যদি মানুষ জানত, তাহলে এর জন্য তারা অবশ্যই সবার আগে যেত। এশা ও ফজর নামাজ (জামাতে) আদায়ে কী ফজিলত, তা যদি তারা জানত তাহলে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও উপস্থিত হতো।’ (বুখারি, হাদিস: ৬৫৪)
ফজর নামাজের সময় শুরু হওয়ার পর থেকে সূর্য উদয় হওয়ার আগ পর্যন্ত যেকোনো সময় ফজর নামাজ পড়া যাবে। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘কয়েকজন আস্থাভাজন ব্যক্তি; যাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলেন উমর (রা.) আমাকে বলেছেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) ফজরের পর সূর্য উজ্জ্বল হয়ে না ওঠা পর্যন্ত এবং আসরের পর সূর্য অস্তমিত না হওয়া পর্যন্ত নামাজ আদায় করতে নিষেধ করেছেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৮১)
ফজরের নামাজ অন্ধকারে নয়; কিছুটা আলোতে পড়া উত্তম। জায়দ ইবনে সাবিত (রা.) বলেন, ‘তারা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে সাহরি খেয়ে ফজরের নামাজে দাঁড়িয়েছেন। আনাস (রা.) বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, এ দুইয়ের মাঝে কতটুকু সময়ের ব্যবধান ছিল? তিনি বললেন, পঞ্চাশ বা ষাট আয়াত তেলাওয়াত করা যায়।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৭৫)
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে সূর্য ওঠার আগে ফজর নামাজের এক রাকাত পায়, সে ফজর নামাজ পেল। যে সূর্য ডুবার আগে আসরের নামাজের এক রাকাত পেল, সে আসরের নামাজ পেল।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৭৯)
মোটকথা, ফজরের নামাজের জন্য এমন সময়ে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, যাতে করে ফজরের সুন্নত সুন্দরভাবে আদায় করা যায়। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) কোনো নফল নামাজকে ফজরের দুই রাকাত সুন্নতের চেয়ে অধিক গুরুত্ব প্রদান করতেন না।’ (বুখারি, হাদিস: ১১৬৯)
লেখক: আলেম ও গবেষক