![ঋণ থাকলে কোরবানি দেওয়া যাবে?](uploads/2024/06/11/11-01-1718079619.jpg)
পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘বলুন, নিশ্চয়ই আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মৃত্যু আল্লাহর জন্য, যিনি সব সৃষ্টির রব। তাঁর কোনো শরিক নেই এবং আমাকে এরই নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। আর আমি মুসলমানদের মধ্যে প্রথম।’ (সুরা আনয়াম, আয়াত: ১৬২-১৬৩)
আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘প্রত্যেক জাতির জন্য আমি কোরবানির নিয়ম করে দিয়েছি; যাতে তারা আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে, যেসব জন্তু তিনি রিজিক হিসেবে দিয়েছেন তার ওপর। তোমাদের উপাসক তো এক উপাসক; অতএব তারই কাছে আত্মসমর্পণ করো; আর অনুগতদের সুসংবাদ দাও, যাদের কাছে আল্লাহর কথা উল্লেখ করা হলে তাদের অন্তর কেঁপে ওঠে, যারা তাদের বিপদ-আপদে ধৈর্যধারণ করে, যারা নামাজ প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি তাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে।’ (সুরা হজ, আয়াত: ৩৪-৩৫)
কোরবানির দিনগুলোতে যদি কারও কাছে ঋণ ও বার্ষিক খরচ মেটানোর পর অতিরিক্ত অর্থ থাকে; আর তা সাড়ে ৭ ভরি/তোলা সোনা বা সাড়ে ৫২ তোলা/ভরি রুপা কিংবা এর সমপরিমাণ অর্থ থাকে, তবে তাকে কোরবানি দিতে হবে। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় ১০ বছর অবস্থানকালে প্রতিবছরই কোরবানি করতেন।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৫০৭)
নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি ঋণগ্রস্ত হয়, এই ঋণ পরিশোধ করলে কোরবানির দিনগুলোতে যদি তার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদ না থাকে, তা হলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে না। তার জন্য কোরবানি দিতে হবে না। তবে যদি ঋণ আদায় করে দিলেও নেসাব পরিমাণ সম্পদ বাকি থাকে, তা হলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে। (বাদায়েউস সানায়ে, ৪/১৯৬)
কোরবানির নেসাব জাকাতের মতো সারা বছর জমা থাকা আবশ্যক নয়; বরং কোরবানির দিনগুলোতে অর্থাৎ ‘১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলেই কোরবানি ওয়াজিব হবে।
লেখক: আলেম ও সাংবাদিক