![বাংলাদেশের শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ](uploads/2024/02/02/1706856855.saff.jpg)
নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ মানেই বাংলাদেশের রাজত্ব। অনূর্ধ্ব- ১৮, ১৯ এবং ২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ৪ আসরে বিজয় কেতন উড়িয়েছে লাল-সবুজ মেয়েরা। গত বছর দেশের মাটিতে শিরোপা উল্লাস করেছে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফে। সেই মেয়েরা আজ (২ ফেব্রুয়ারি) মাঠে ফিরছে শিরোপা ধরে রাখা চ্যালেঞ্জ নিয়ে। এ বছর খেলা হবে অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে। কমলাপুরে বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী দিনে স্বাগতিকদের প্রতিপক্ষ নেপাল। ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়। এর আগে, বিকেল ৩টায় উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত এবং ভুটান।
গত বছর চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের ডাগআউটে ছিলেন গোলাম রব্বানী ছোটন এবং মাঠে নেতৃত্বে ছিলেন শামসুন্নাহার। নতুন মিশনে দুজনের কেউ নেই। তবে ডাগআউটে থাকবেন দেশের অন্যতম সফল এবং অভিজ্ঞ কোচ সাইফুল বারী টিটু, যিনি এখন জাতীয় নারী দলের প্রধান কোচ। নেতৃত্বে আছেন আফিফা খন্দকার এবং তার ডেপুটি স্বপ্না রানী। দুজনই সবশেষ বয়সভিত্তিক সাফ জয়ী দলে অবিচ্ছিন্ন অংশ ছিলেন। অর্থাৎ পরিবর্তন এলেও শক্তি-সামর্থ্যের কমতি নেই বাংলাদেশ শিবিরে। তাই শিরোপা ধরে রাখাই প্রধান কোচ এবং অধিনায়কের।
গতকাল ট্রফি নিয়ে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনে অংশ নেন টুর্নামেন্টের চার দলের অধিনায়ক। ছিলেন কোচরাও। ছবি তোলার পাশাপাশি দলের প্রত্যাশার কথা জানান তারা। চার কোচের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ছিলেন টিটু। এটা দলকে কতটা সাহায্য করবে- এমনটা জানতে চাইলে বাংলাদেশ কোচ বলেছেন, ‘খেলোয়াড় পরিবর্তন, ম্যাচের অবস্থা বুঝে কৌশল নির্ধারণে কোচের ভূমিকা থাকে। হয়তো আমার অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগতে পারে। তবে কাজটা মূলত ফুটবলারদের। তাদের খেলার ওপরই নির্ভর করে কোচ সফল হবে কি না।’
দেশের নাগরিক হিসেবে দেশকে উপহার দিতে হবে- এমনটা উল্লেখ করে টিটু বলেছেন, ‘আমরা এ দেশের নাগরিক সে হিসেবে আমাদের দেশকে কিছু দেয়া দরকার। দেশ আমাদের থাকতে দিয়েছে। দেশকে আমাদের কিছু দিতে হবে। এটা খেলোয়াড়দের মনে রাখলেই হবে।’
টিটুর পাশে থাকা অধিনায়ক আফিফা জানালেন, আপাতত ম্যাচ ধরে এগোতে চান তারা এবং চোখ রাখছেন ফাইনালে। তার ভাষ্য ছিল ঠিক এমন, ‘(নেপালের) বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। নেপালের সঙ্গে জিতে আমরা ফাইনালের পথে থাকতে চাই।’
টুর্নামেন্টের নামে কিছুটা পরিবর্তন এলেও ফরম্যাটে নেই কোনো ভিন্নতা। গত বছরের ন্যায় এবারও হবে এক লেগের রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে। অর্থাৎ চার দলের প্রত্যেকে একে অন্যের বিপক্ষে একবার করে খেলবে। লিগপর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের সেরা দুই দল ৮ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে মুখোমুখি হবে। টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচ হবে কমলাপুরে।