বড় স্বপ্ন দেখেছিলেন নাসের আল-খেলাইফি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে লিওনেল মেসি, নেইমার এবং কিলিয়ান এমবাপ্পে ছাড়াও একঝাঁক তারকা নিয়েছিলেন পিএসজিতে। কাতারি মালিকের সাজানো টাইটানিক এখন আর নেই। এমবাপ্পে বাদে বাকি দুই তারকা ফুটবলার চলে গেছেন ভিন্ন দুই দেশে। বলা হচ্ছিল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা এনে না দেওয়ায় নেইমারকে ছেড়ে দিয়েছেন খেলাইফি। কিন্তু না, ভিতরের গল্প অবশেষে ফাঁস করল এল ইকুইপ। ফরাসি সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন মতে, নেইমারের পিএসজি ছাড়ার নেপথ্যে মদ!
ফরাসি জায়ান্টদের সঙ্গে ছয় বছর থাকার পর, নেইমার গত গ্রীষ্মে পার্ক দেস প্রিন্সেস ছেড়ে চলে যান। লাভজনক চুক্তিতে নাম লেখান সৌদি ক্লাব আল হিলালে। কেউ কেউ যুক্তি দিয়েছেন যে ব্রাজিলিয়ান পিএসজিতে থাকাকালীন প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই সমঝোতার মাধ্যমে এই বিদায়। এল ইকুইপ জানালো পুরোপুরি ভিন্ন কথা। আউটলেটের মতে, বেশ কিছু ঘটনা ঘটিয়ে নিজের অবস্থান খারাপ করেছিলেন নেইমার।
সংবাদমাধ্যমটি পিএসজির সাবেক খেলোয়াড় এবং স্টাফদের সঙ্গে কথা বলেছে, যারা দাবি করেছে ‘নেইমার প্রায়শই মাতাল হয়ে অনুশীলনে দুঃসাহসিক কাজ করতেন’। ২০২২ সালে, একজন ফরাসি সাংবাদিক দাবি করেছিলেন যে ‘ব্রাজিলিয়ান কমই ট্রেনিং করেন, মাতাল বেশি থাকেন’। এদিকে এল ইকুইপকে সূত্রটি একটি ঘটনা প্রকাশ করেছে। সেটা হলো- নেইমার ক্লাবে ক্রিস্টোফ গালতিয়েরের মেয়াদকালে একজন সহকারী কোচের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন।
ওই ঘটনার পর, সেশন চলাকালীন নেইমার ইয়ুথ টিমের এক সদস্য ইসমায়েল ঘারবির মাথায় আঘাত করেছিলেন। এটা জানান এক প্রত্যক্ষদর্শী। তারা বলেছেন, ‘নেইমার তাকে (ইসমায়েলকে) ধরেছিলেন এবং মাটিতে থাকা অবস্থায় তাকে মাথায় আঘাত করেছিলেন। সবাই হতবাক হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত, তিনি (নেইমার) সত্যিই ভালো ছিলেন না।’ আউটলেটটি আরও দাবি করেছে যে মেসি, আশরাফ হাকিমি এবং সার্জিও রামোসের মধ্যে ট্রেনিং গ্রাউন্ডে এক লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন নেইমার।
সূত্রটি এল ইকুইপকে বলেছে, মেসি এবং হাকিমি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিলেন। ব্রাজিলিয়ান তার সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থকে সমর্থন জানিয়ে হস্তক্ষেপ করতে চেয়েছিলেন। তখন রামোস দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেন এবং নেইমারকে সতর্ক করেছিলেন এভাবে, ‘আপনি যদি উঠে যান, তাহলে আমিও আসব।’ সূত্রটি আরও জানিয়েছে কীভাবে, এমবাপ্পের সঙ্গে নেইমারের সম্পর্ক অবনতি হয়েছিল।
পিএসজির এক কর্মী বলেছেন, ‘শুরুতে কিলিয়ান নেইমারকে পছন্দ করতেন কিন্তু প্রতিদিন তার সঙ্গে কাজ করার পর, তিনি তার প্রতি সম্মান হারিয়ে ফেলেন। উল্টোদিকে, নেইমার এবং মেসি এটা দেখে বিরক্ত হয়েছিলেন যে ক্লাব এমবাপ্পেকে ট্রাকের চাবি দিয়েছে। মেসি অন্তর্মুখী হলেও আপনাকে হ্যালো বলবে। নেইমার নয়। তিনি এমবাপ্পের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অস্বীকার করেন। আমি তাকে কখনই ভালো দেখিনি। যদিও তিনি ফরাসি ভাষা বুঝতেন, কিন্তু কখনো এটি বলার চেষ্টা করেননি।’