![ভাষাগত দক্ষতা উন্নত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা](uploads/2024/06/29/ai-1719664419.jpg)
ভাষা শিক্ষা সব সময় ব্যক্তিপর্যায়ে উন্নতি, কর্মজীবনের অগ্রগতি এবং সাংস্কৃতিক জ্ঞান বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে ভাষা শেখার গতানুগতিক পদ্ধতিগুলো সময় সাপেক্ষ ও সব সময় কার্যকর নাও হতে পারে। প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির কারণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মানুষের ভাষা শিক্ষার পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, বিশেষ করে নতুন ভাষা রপ্ত করার পদ্ধতিকে করে তুলেছে আরও সহজ, কার্যকর এবং আনন্দদায়ক।
ইন্টারনেট ও নতুন নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি হয়েছে ভাষা শেখার নতুন সুযোগ। অনলাইন কোর্স, ল্যাঙ্গুয়েজ এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্ম ও মোবাইল অ্যাপস ভাষা শিক্ষার প্রক্রিয়াকে আরও সহজলভ্য করেছে। ব্যক্তি পর্যায়ে ভাষা শিক্ষা উপভোগ্য করতে নতুন মাত্রা যোগ করছে এআই নির্ভর প্রযুক্তি। এআই এখন আর কোনো কল্পবিজ্ঞান বা ধারণা নয়, এটি ইতোমধ্যে মানুষের জীবনে বিভিন্ন পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। ভাষা শিক্ষাও এমন একটি ক্ষেত্র। ভাষা শিক্ষার প্রচলিত পদ্ধতির বাহিরে এসে অনেকে এআই নির্ভর উদ্ভাবনী পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন। পৃথিবী এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগের ওপর সব কিছুই নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এমন এক পৃথিবীতে ইংরেজি ভাষাসহ অন্যান্য ভাষায় দক্ষতা অর্জন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। আর এ জন্য প্রযুক্তিগত শিখন পদ্ধতি একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে।
ইংরেজি ভাষার ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের কারণে যাদের এটি মাতৃভাষা নয়, তাদের কাছে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম (আইইএলটিএস)’ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যেসব শিক্ষার্থী নিজের ইংরেজির দক্ষতা প্রমাণ অথবা উচ্চশিক্ষায় বিদেশ যেতে চান, তাদের জন্য এই পরীক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। যারা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে যেতে চান, তাদের জন্য আইইএলটিএস পরীক্ষার ফলাফল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এসব দেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও অভিবাসনের জন্য ইইএলটিএস পরীক্ষার ফলাফলকে মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর জন্য আইইএলটিএস পরীক্ষা বেশ চ্যালেঞ্জিং, কারণ এই পরীক্ষার প্রশ্নের ধরনের সঙ্গে পরিচিত নয় তারা। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় তাত্ত্বিক জ্ঞানের ওপর জোর দেওয়া হয়, যেখানে আইইএলটিএস ইংরেজি ভাষার ব্যবহারিক দিকের ওপর পরীক্ষা নেয়। এই মৌলিক পার্থক্যের কারণে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আইইএলটিএস পরীক্ষার পদ্ধতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কঠিন হয়। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এআইচালিত প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীর দুর্বলতা চিহ্নিত করে, তাদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এআই সিস্টেম উচ্চারণ, সাবলীলতা, ব্যাকরণ ও শব্দভাণ্ডারের ভুলগুলো চিহ্নিত করে এবং নির্ভুল ফিডব্যাক প্রদান করে। বিষয়ভিত্তিক অনুশীলনে পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করে এআই। মক টেস্ট-এর মতো বাস্তব পরীক্ষার পরিবেশ অনুকরণ করে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া স্কোর বিশ্লেষণ শিক্ষার্থীর দুর্বলতা চিহ্নিত করে উন্নতিতে ভূমিকা রাখে। এই আত্মবিশ্বাস কাঙ্ক্ষিত ব্যান্ড স্কোর পেতে সাহায্য করবে। ভালো স্কোর একাডেমিক এবং পেশাদার জীবনে সাফল্য অর্জনের জন্য খুবই সহায়ক।
/আবরার জাহিন