![এখনই আসছে না মাইক্রোসফটের রিকল এআই ফিচার](uploads/2024/06/27/recall-1719491495.jpg)
বিশ্বখ্যাত টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি নির্ভর ‘রিকল’ ফিচার প্রকাশ স্থগিত করেছে। তবে উইন্ডোজ ইনসাইডার প্রোগ্রামের পরীক্ষকদের কাছ থেকে এ ফিচার সম্পর্কে মতামত নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। উইন্ডোজ ব্লগে দেওয়া আপডেটে তারা জানিয়েছে, মাইক্রোসফটের রিকল এআই ফিচারটি আগামী সপ্তাহে বাজারে আসা প্রথম ব্যাচের ‘কোপাইলট প্লাস পিসি’ ল্যাপটপের সঙ্গে আসছে না। ইনসাইডার প্রোগ্রামের পরীক্ষকদের কাছ থেকে মতামত নেওয়ার পরেই সকল কোপাইলট প্লাস পিসির জন্য এই ফিচারটি প্রকাশ করা হবে।
সম্প্রতি টেক জায়ান্টটি জানায়, ১৮ জুন থেকে মাইক্রোসফটের ‘কোপাইলট প্লাস পিসি’ ল্যাপটপগুলোয় এআই প্রযুক্তিনির্ভর রিকল ফিচার ব্যবহার করা যাবে। তবে গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগের কারণে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে মাইক্রোসফট।
রিকল ফিচারটি ওয়েব ব্রাউজিং থেকে ভয়েস চ্যাট পর্যন্ত সবকিছু ট্র্যাক করে, ল্যাপটপ ব্যবহারের ইতিহাস তৈরি করে। এটি ব্যবহারকারীর কার্যকলাপের প্রতি কয়েক সেকেন্ডে স্ক্রিনশট নিয়ে ‘রিকল টাইমলাইনে’ সংরক্ষণ করে। এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারী চাইলেই ল্যাপটপ ব্যবহারের সব ইতিহাস জানতে পারবেন।
মে মাসে এক অনুষ্ঠানে এই ফিচারের ঘোষণা করার পর থেকে রিকল ফিচার সম্পর্কে অনেক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে মাইক্রোসফট। মার্কিন ধনকুবের ও প্রযুক্তিবিদ ইলন মাস্ক এটিকে ‘ব্ল্যাক মিরর এপিসোড’ বলে অভিহিত করেছেন। এআই চ্যাটবট যুক্ত থাকায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে ল্যাপটপগুলোয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন কাজ করা গেলেও রিকল ফিচারটি ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলবে বলে দাবি করেছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা রিকলকে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ক্ষেত্রে দুঃস্বপ্ন বলে অভিহিত করেছেন। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের তথ্য কমিশনারের কার্যালয় রিকল সুবিধার নিরাপত্তাব্যবস্থা জানতে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে। তবে মাইক্রোসফট জানিয়েছে, রিকলের সংগ্রহ করা স্ক্রিনশট শুধু ব্যবহারকারীর ডিভাইসে সংরক্ষণ করা হয়। রিকল সুবিধা চাইলে বন্ধও রাখতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।