ঢাকা ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ম্যালওয়্যার থেকে ডিভাইসের সুরক্ষা

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম
আপডেট: ০৯ জুন ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম
ম্যালওয়্যার থেকে ডিভাইসের সুরক্ষা
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে ডিজিটাল যুগে ম্যালওয়্যার সাইবার নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বড় থেকে ছোট সব প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিগত কম্পিউটার, এমনকি স্মার্টফোনও ম্যালওয়্যার আক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে। ম্যালওয়্যার মূলত ক্ষতিকর সফটওয়্যার, যা কম্পিউটার, সার্ভার ও নেটওয়ার্কের ক্ষতি করে থাকে। ম্যালওয়্যার থেকে রক্ষা করার জন্য সিকিউরিটি সফটওয়্যার ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। 

ম্যালওয়্যারের ঝুঁকি
ডেটা চুরি ও ক্ষতি: গোপনীয় তথ্য, যেমন ব্যক্তিগত, আর্থিক ও ব্যবসায়িক তথ্যের মতো গোপনীয় তথ্য চুরি হয়ে যেতে পারে ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে। এ ছাড়া এটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো মুছে ফেলতে বা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
সিস্টেম অকার্যকর: কম্পিউটার বা নেটওয়ার্ককে ধীর করে ফেলতে পারে, অথবা সিস্টেম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিতে পারে এটি।
অর্থনৈতিক ক্ষতি: ডেটা ফাঁস বা সিস্টেমের অকার্যকারিতার ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হতে পারে ম্যালওয়্যার।
সুনাম নষ্ট: ম্যালওয়্যারের আক্রমণে কোনো প্রতিষ্ঠানের সুনামও নষ্ট হতে পারে। 

প্রতিরোধের উপায়
অ্যান্টিভাইরাস, অ্যান্টিম্যালওয়্যার, ফায়ারওয়াল ইত্যাদি সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনার ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখুন। অপারেটিং সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন ও সিকিউরিটি সফটওয়্যারের নিয়মিত আপডেট ইনস্টল করুন। ইন্টারনেটে ব্রাউজিং করার সময়, ই-মেইল খোলার সময় ও অ্যাটাচমেন্ট ডাউনলোড করার সময় সতর্ক থাকুন। আপনার সমস্ত অ্যাকাউন্টের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। আপনার গুরুত্বপূর্ণ ডেটার নিয়মিত ব্যাকআপ নিন।
ম্যালওয়্যার থেকে রক্ষা পেতে সিকিউরিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাজারে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টিম্যালওয়্যার সফটওয়্যার পাওয়া যায়। ক্যাসপারস্কি, মাইক্রোসফট ডিফেন্ডার, অ্যাপল এক্সপ্রোটেক্ট, ম্যালওয়্যারবাইটস, বিটডিফেন্ডার, সার্ফশার্ক অ্যান্টিভাইরাসের মতো সিকিউরিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। 

সফটওয়্যার নির্বাচন
আপনার প্রয়োজন ও বাজেট অনুযায়ী সফটওয়্যার নির্বাচন করুন। সফটওয়্যারের রিভিউ ও রেটিং পরীক্ষা করে দেখুন। ফ্রি ট্রায়ালের অফার থাকলে, তা ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন, ম্যালওয়্যার থেকে রক্ষা শুধু সফটওয়্যার ব্যবহারেই সীমাবদ্ধ নয়। সচেতনতা ও সাবধানতা অবলম্বন করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

হুয়াওয়ের প্রথম ট্রাই-ফোল্ডিং ফোন আসতে পারে দুই মাসের মধ্যে

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম
হুয়াওয়ের প্রথম ট্রাই-ফোল্ডিং ফোন আসতে পারে দুই মাসের মধ্যে

চীনা প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে আবারও ফোল্ডেবল অর্থাৎ ভাঁজযোগ্য ডিসপ্লের স্মার্টফোনের বাজারে দাপট দেখাতে চলছে। গণমাধ্যমে গুঞ্জন রয়েছে বিশ্বের প্রথম ট্রাই-ফোল্ডিং বা তিন ভাঁজযোগ্য ডিসপ্লের স্মার্টফোন আনতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোর ‘ফিক্সড ফোকাস ডিজিটাল’ নামে পরিচিত এক টিপস্টারের বরাত দিয়ে প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম গিজমোচায়না জানিয়েছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে এই ফোন বাজারে আসতে পারে।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, এই আসন্ন ফোল্ডেবল ফোন ব্যয়বহুল হবে। সীমিত সংখ্যায় এ স্মার্টফোনট উৎপাদন করবে হুয়াওয়ে। সূত্রের তথ্যমতে, হুয়াওয়ে স্মার্টফোনের বাজার দখলের চেয়ে বরং উদ্ভাবনী পণ্যের শক্ত অবস্থান জানান দিতেই আনতে চলেছে এই ট্রাই-ফোল্ডিং।

নতুন ও উদ্ভাবনী পণ্যের দাম সাধারণত বেশি হয়ে থাকে। তবে প্রযুক্তির পরিপূর্ণ উন্নতি ও উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দাম কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ট্রাই-ফোল্ডিং ফোনটি আগামীতে আইপ্যাড ও বর্তমান ফোল্ডেবল ফোনের বিকল্প হতে পারে। তবে দেখার বিষয় এটি সেই জায়গা দখল করতে পারে কি না।
ফোনের স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে বেশি কিছু জানা যায়নি। তবে চলতি মাসের শুরুতে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জানা গেছে, ফোনটির মোট স্ক্রিনের আকার প্রায় ১০ ইঞ্চি হবে। এই ফোনে আলাদা তিনটি স্ক্রিন থাকবে। এ ছাড়া ফোল্ডেবল ফোনের স্ক্রিনে ভাঁজের সমস্যা থাকে, তবে এই ফোনে সেটির উন্নত হবে বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া আসন্ন ট্রাই-ফোল্ডিং ফোনের বিষয়ে আর কিছু জানা যায়নি। তবে হুয়াওয়ে অনেক দিন ধরেই ডিসপ্লে তিন ভাঁজ করা যায় এমন ফোন নিয়ে কাজ করছে। তারা ২০২১ সাল থেকে এই প্রযুক্তির জন্য পেটেন্ট করতে শুরু করে। এরপর ২০২২ সালে আরও কিছু পেটেন্ট করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে করা আরেকটি পেটেন্টে দেখা গেছে, একটি ট্রাই-ফোল্ডিং ফোনে দুটি হিঞ্জ ও একটি নমনীয় স্ক্রিন আছে, যা বাইরের দিকে ভাঁজ হয়।

চীনা প্রযুক্তি জায়ান্টটি প্রতিনিয়ত স্মার্টফোনের ডিজাইনসহ উদ্ভাবনী প্রযুক্তিতে যোগ করতে কাজ করেছে। এর ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানটি এবার ট্রাই-ফোল্ডিং বা ডিসপ্লে তিন ভাঁজ করা যায়- এমন স্মার্টফোন বাজারে আনতে চলেছে। ডিভাইসটি ভাঁজ করা অবস্থায় ইংরেজি ‘জেড’ অক্ষরের মতো দেখাবে। ভাঁজের জন্য ডিভাইসে আলাদা দুটি হিঞ্জ সিস্টেম থাকবে। এ ডিভাইসের অন্যতম একটি ফিচার হলো দ্বিতীয় হিঞ্জে থাকা ডিসপ্লেটি বাইরের দিকেও খোলা যাবে। ফলে ডিভাইস ভাঁজ করা থাকলেও ডিসপ্লের তৃতীয় অংশটি পুরোপুরি ব্যবহার করা যাবে।

 

নতুন স্পেসস্যুটে ৫ মিনিটে মূত্র পানযোগ্য পানিতে রূপান্তর

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৪, ০১:৩১ পিএম
আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৪, ০১:৩৬ পিএম
নতুন স্পেসস্যুটে ৫ মিনিটে মূত্র পানযোগ্য পানিতে রূপান্তর
ছবি: সংগৃহীত

মহাকাশযাত্রীদের পানির সমস্যা দূর হচ্ছে। আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মহাকাশে মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নতুন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। গবেষকরা মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে মূত্র থেকে পানযোগ্য পানি ফিল্টার করতে সক্ষম, এমন একটি প্রোটোটাইপ ফিল্টারেশন সিস্টেম উন্মোচন করেছেন। এর ফলে ভবিষ্যতে নাসার মিশনে অংশগ্রহণকারী মহাকাশচারীরা তাদের স্পেসস্যুটের ভেতরে রিসাইকেল করা মূত্র থেকে পানযোগ্য পানি পান করতে পারবেন।

জনপ্রিয় বিজ্ঞান কল্পকাহিনির সিরিজ ‘ডুন’-এর ‘স্টিলস্যুট’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই স্পেসস্যুট তৈরি করা হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর মানুষকে আবার চাঁদের মাটিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে নাসার আর্টেমিস প্রোগ্রামে স্পেসস্যুটটি ব্যবহার করা হতে পারে।

বর্তমানে স্পেসস্যুট পরে মহাকাশচারীদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য অস্বস্তিকর ও অস্বাস্থ্যকর ডায়াপারের মতো পোশাক পরতে হয়। তবে নতুন এই সিস্টেম অসমোসিস প্রক্রিয়া ব্যবহার করে মূত্র থেকে দূষিত পদার্থগুলো আলাদা করে তা পানযোগ্য পানিতে রূপান্তরিত করে।

ওয়েইল কর্নেল মেডিসিন ও কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কর্মকর্তা সোফিয়া এটলিন বলেন, ‘এই নকশায় একটি ভ্যাকুয়াম-ভিত্তিক বাহ্যিক ক্যাথেটার রয়েছে, যা একটি কম্বাইন্ড ফরোয়ার্ড-রিভার্স অসমোসিস ইউনিটের সঙ্গে সংযুক্ত। এটি মহাকাশচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য একাধিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ অবিরাম পানযোগ্য পানি সরবরাহ করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে মহাকাশচারীদের স্পেসস্যুটের পানীয় ব্যাগে মাত্র এক লিটার পানি থাকে। এটি পরিকল্পিত ও দীর্ঘস্থায়ী চন্দ্র অভিযানের জন্য যথেষ্ট নয়; যা দশ ঘণ্টা, এমনকি জরুরি পরিস্থিতিতে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।’ গবেষকরা এখন বাস্তব মহাকাশ মিশনে এটি ব্যবহার করার আগে সিমুলেটেড মাইক্রোগ্রাভিটি পরিস্থিতিতে ডিজাইনটি পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করছেন।

গত শুক্রবার সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন স্পেস টেকনোলজি’ জার্নালে নতুন স্পেসস্যুটের ডিজাইন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে এক গবেষণাপত্রে। গবেষকরা গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেছেন, ‘মহাকাশযানের বাইরে কার্যকলাপ চলাকালে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, কর্মক্ষমতা ও কাজের দক্ষতার ক্ষেত্রে মহাকাশযাত্রীদের সমস্যার সমাধানে, আমরা পরবর্তী প্রজন্মের স্পেসস্যুটের জন্য নতুনভাবে মূত্র সংগ্রহ এবং ফিল্টারেশন সিস্টেম ডিজাইন করেছি।’

 

কনটেন্ট খাতে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিচ্ছে ক্যাসপারস্কি সেফ কিডস

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৭:১৫ পিএম
আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৭:১৫ পিএম
কনটেন্ট খাতে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিচ্ছে ক্যাসপারস্কি সেফ কিডস
সংগৃহীত

আজকের ডিজিটাল যুগে শিশুদের অনলাইনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অভিভাবকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাদের ক্ষতিকর বিষয়বস্তু, সাইবার বুলিং ও অতিরিক্ত ডিভাইস ব্যবহারের মতো অনলাইন ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। ক্যাসপারস্কি সেফ কিডস এমন একটি প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সফটওয়্যার, যা তৈরি করেছে রুশ সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি ল্যাব। 

সম্প্রতি অনুপযুক্ত কনটেন্ট ব্লক করার ক্ষেত্রে অসাধারণ কার্যকারিতার জন্য টেস্টিং প্রতিষ্ঠান এভি-টেস্ট ও এভি-কম্পারেটিভস অনুমোদনপ্রাপ্তির সনদ পেয়েছে ক্যাসপারস্কি সেফ কিডস। উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্মে প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট সফলভাবে ব্লকিংয়ের ক্ষেত্রে এই সল্যুশন শতভাগ এবং ৯৮ দশমিক ১ শতাংশ সফল বলে প্রমাণিত হয়েছে। এটি বাচ্চাদের অনলাইনে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে। তা ছাড়া ক্যাসপারস্কি সেফ কিডস অনলাইনের বিপজ্জনক বিষয়গুলো ব্লক করে দেয় খুব সহজেই।

এভি-টেস্টের ইতিহাসে এটিই ২০১৫ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত একমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট ব্লক করার মতো কার্যকর সল্যুশন হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে। এ ছাড়া এভি-কম্পারেটিভসের গবেষণায় ২০১৯, ২০২১ এবং ২০২২ সালের ধারাবাহিকতায় এবারও ক্যাসপারস্কি সেফ কিডস পাঁচ প্রতিযোগীর মধ্যে শীর্ষ রয়েছে।  

উভয় প্রতিষ্ঠান নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা পরিচালনা করেছে। এভি-টেস্ট  প্রোডাক্টের ব্লকিং সক্ষমতা যাচাই করতে, বিশ্বের ছয়টি ভাষায় ৭ হাজার ৫০০টি ওয়েবসাইটে থাকা ১৩টি ক্যাটাগরির কনটেন্টের মাধ্যমে তাদের প্যারেন্টার কন্ট্রোল সল্যুশনকে যাচাই করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে সহিংসতামূলক, অস্ত্র ও প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট সম্পর্কিত ইত্যাদি ক্যাটাগরি। এভি-কম্পারেটিভস ১ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের ওয়েবসাইট ও ১০০টি শিশুর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সল্যুশনটি পরীক্ষা করেছে, যা ৯৮ শতাংশ ওয়েবসাইট শনাক্তকরণে সফল হয়েছে।

ক্যাসপারস্কি সেফ কিডস অ্যাডাল্ট কনটেন্ট ব্লক করার ক্ষেত্রে বিশেষ পারদর্শিতা দেখিয়েছে। উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্মে এর হার শতভাগ। ২০২১ ও ২০২৩ সালের মতো এবারও ক্যাসপারস্কি সেফ কিডস একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই সফলতা অর্জন করেছে। একই সঙ্গে এই সল্যুশন সহিংসতামূলক ও বেটিং ওয়েবসাইটের মতো অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ক্যাটাগরির কনটেন্ট ব্লকিংয়ের ক্ষেত্রেও গড়ে ৯২ দশমিক ২০ শতাংশ সফলতা দেখিয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে ক্যাসপারস্কি সেফ কিডস অ্যাডাল্ট কনটেন্টের ক্ষেত্রে ৯৯ দশমিক ০৯ শতাংশ ব্লকিং রেট প্রদর্শন করেছে।

সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলোতে ক্ষতিকর ওয়েবসাইট ব্লকিং, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ ও সময় সীমিতকরণসহ ক্যাসপারস্কি সল্যুশনের মূল কার্যকারিতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে।

দেশে অপোর এআই ফিচারের রেনো১২ সিরিজ

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৭:১৩ পিএম
আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৪, ০৭:১৩ পিএম
দেশে অপোর এআই ফিচারের রেনো১২ সিরিজ
ছবি: সংগৃহীত

চীনা স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অপো বাংলাদেশের বাজারে এনেছে ‘অপো রেনো১২’ সিরিজ। গত বুধবার রাজধানীর এক কনভেনশন সেন্টারে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই সিরিজের ঘোষণা করে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটি। এর আগে কোম্পানিটি চলতি বছরের মে মাসে চীনা স্মার্টফোন বাজারে এই সিরিজ উন্মোচন করেছে।

অপোর উন্মোচিত নতুন রেনো১২ সিরিজে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নির্ভর ফিচার। একই সঙ্গে ফোনটিতে রয়েছে অসাধারণ ইমেজিং প্রযুক্তি। ফোনটির উন্নত এআইয়ের সুবিধা ব্যবহার করে একজন ব্যবহারকারী সহজেই ফটোগ্রাফি করতে পারবেন। ধরুন আপনি হয়তো কোথাও একটি গ্রুপ ছবি তুলছেন। এর মধ্যে একজন পথচারীর ছবি উঠে গেল। রেনো১২ সিরিজের এআই ইরেজার ছবির অনাকাঙ্ক্ষিত অংশকে কয়েক ক্লিকেই মুছে দিতে পারে। কোনো ছবিতে আপনার চোখ বন্ধ অবস্থায় থাকলে ফোনটির এআই ম্যাজিক স্টুডিও ফিচারের মাধ্যমে তা খুলে দেওয়া যায় সহজেই। কোনো ছবিতে যদি একজন বন্ধু বা শিশুর ছবি যোগ করতে চাইলে, ফোনটির এআই ম্যাপিং ফিচারের মাধ্যমে সেটাও করা সম্ভব।

দুর্বল সিগন্যাল, নেটওয়ার্ক কনজেশন ও শব্দ আটকে যাওয়ার সমস্যাগুলো দূর করতে অপোর তৈরি এআই লিঙ্কবুস্ট ফুল-লিঙ্ক নেটওয়ার্ক ডেটা ট্রান্সমিশন ইঞ্জিনটি ইন্টেলিজেন্ট নেটওয়ার্ক সিলেকশন ও অন্যান্য প্রযুক্তিকে সমন্বয় করতে পারে। কোথাও মোবাইলের সিগন্যাল না থাকলেও ফোনটির বিকনলিঙ্ক ফিচার ভয়েস কলের নিশ্চয়তা দেবে। এতে রয়েছে আইপি৬৫ ওয়াটার রেজিস্ট্যান্ট সুবিধা। পাশাপাশি স্প্ল্যাশ টাচ ফিচারটি হাত ভেজা থাকলেও ফোনের স্ক্রিনকে রাখবে পুরোপুরি সক্রিয়।  ‘রেনো১২ এফ-এ’ ফোনে ৪৫ ওয়াট সুপারভুকসহ ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি রয়েছে। 

৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ সুবিধার ‘রেনো১২ এফ’ ফোনের দাম ৩৪ হাজার ৯৯০ টাকা, ১২ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজের রেনো১২ এফ ৫জি ফোনের দাম ৪২ হাজার ৯৯০ টাকা এবং ১২ জিবি র্যাম ও ৫১২ জিবি স্টোরেজের রেনো১২ ফোনের দাম পড়বে ৪৯ হাজার ৯৯০ টাকা।

গ্রাহকরা ১০ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত অপো রেনো১২ এফ (৮ জিবি+২৫৬ জিবি) প্রি-অর্ডার করতে পারবেন। ফোনটি ১৮ জুলাই থেকে বাজারে পাওয়া যাবে।

/আবরার জাহিন

 

গ্যালাক্সি ওয়াচ আল্ট্রায় থাকবে নতুন বায়োঅ্যাকটিভ সেন্সর

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৪, ১১:৩০ এএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৪, ১১:৩০ এএম
গ্যালাক্সি ওয়াচ আল্ট্রায় থাকবে নতুন বায়োঅ্যাকটিভ সেন্সর
ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ান প্রযুক্তি জায়ান্ট স্যামসাংয়ের দ্বিবার্ষিক ‘গ্যালাক্সি আনপ্যাকড ইভেন্ট’ আয়োজিত হচ্ছে আজ। প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টরা ধরণা করছেন, এই ইভেন্টে গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড সিক্স, জেড ফ্লিপ সিক্স, গ্যালাক্সি ওয়াচ রিং, গ্যালাক্সি ওয়াচ সেভেন, ওয়াচ আল্ট্রা ও গ্যালাক্সি বাডস থ্রি সিরিজ উন্মোচন করবে স্যামসাং। আয়োজনের ভিডিও টিজারেও ফোল্ডেবল ফোন উন্মোচনের ইঙ্গিত মিলেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার টেক জায়ান্টটি নিশ্চিত করেছে আসন্ন গ্যালাক্সি ওয়াচে নিজেদের বায়োঅ্যাকটিভ সেন্সরের সর্বশেষ সংস্করণ থাকবে। এই সেন্সর ডিজাইন করা হয়েছে সুস্থতার উন্নত পূর্বাভাস ও প্রতিরোধমূলক ফিচারের জন্য।

স্যামসাংয়ের তথ্যমতে, বায়োঅ্যাকটিভ সেন্সরের সর্বশেষ সংস্করণ স্বাস্থ্য পরিমাপের মান উন্নত করবে। এই সংস্করণে তিনটি প্রধান আপগ্রেড আসবে। এগুলো হলো, উন্নত ফটোডায়োড, অতিরিক্ত এলইডি রঙের অন্তর্ভুক্তি ও এই উপাদানগুলোর সর্বোত্তম বিন্যাস।

নতুন সেন্সরে রয়েছে নীল, হলুদ, বেগুনি ও অতিবেগুনি এলইডি রং। সেই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে সবুজ, লাল ও ইনফ্রারেড এলইডি রঙের সংখ্যা। এলইডি ও ফটোডায়োডগুলোর কৌশলগত সংযুক্তি এবং বিন্যাস স্বাস্থ্যের আরও সঠিক তথ্য দেবে।

নতুন বায়োঅ্যাকটিভ সেন্সরের উন্নত ফটোডায়োডসহ সবুজ, লাল এবং ইনফ্রারেড এলইডিগুলোর অবস্থান হৃদস্পন্দ, ঘুমের মান, রক্তচাপ, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ও মানসিক চাপসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যের মাপকাঠিতে নির্ভুল এবং কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এটি ব্যায়ামের সময় আগের সেন্সরের তুলনায় হৃদস্পন্দ ৩০ শতাংশ সঠিক পরিমাপ করবে।  এই উন্নতি ছাড়াও বিভিন্ন রঙের এলইডি ও পুনর্বিন্যাসকৃত ফটোডায়োড প্রতিরোধমূলক সুস্থতার জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করে। এই সেন্সর একটি উন্নত গ্লাইকেশন অ্যান্ড প্রোডাক্টস (এজিইএস) সূচক চালু করা যাবে।

/আবরার জাহিন