![এইচএসসির প্রথম দিনে অনুপস্থিত ৯৯৭০, বহিষ্কার ২০](uploads/2024/06/30/HSC-1719761968.jpg)
এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত ছিল ৯ হাজার ৯৭০ জন। বহিষ্কার হয়েছে ২০ জন পরীক্ষার্থী।
রবিবার (৩০ জুন) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ১ হাজার ৪৭২ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট বোর্ডে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। আটটি সাধারণ বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮৯ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয় ৯ লাখ ২৩ হাজার ৭১৯ জন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ২ হাজার ৬০১ জন, রাজশাহী বোর্ডে ১ হাজার ৫০৮, কুমিল্লা বোর্ডে ১ হাজার ১৫৬, যশোর বোর্ডে ১ হাজার ৩২৮, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৯৭৫, বরিশাল বোর্ডে ৭২৭, দিনাজপুর বোর্ডে ১ হাজার ১৩ ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ৬৬২ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে অনুপস্থিত থাকে ৯৭৫ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার হয়েছে তিনজন। গত শনিবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি ও জলজটে পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। এর সঙ্গে যোগ হয় পরিবহনসংকট। অনেক পরীক্ষার্থীকে হেঁটে কেন্দ্রে উপস্থিত হতে দেখা যায়।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এম এম মুজিবুর রহমান বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে বোর্ড থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে ৩৮টি বিশেষ ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬০টি সাধারণ ভিজিল্যান্স টিম কাজ করছে। তবে বৃষ্টির কারণে কোনো কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পাঠাতে দেরি হলে সেই সময় পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হবে, সেই নির্দেশনা আমাদের আগে থেকে দেওয়া ছিল।’
অন্যদিকে ময়মনসিংহে পরীক্ষার্থীকে অসদুপায় অবলম্বনে সহযোগিতা করায় মো. সাদিকুর রহমান নামে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভাষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলিনূর খান বলেন, ‘পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনে সহযোগিতা করার অপরাধে প্রভাষক সাদিকুর রহমানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি এবং উপজেলার মেজরভিটা এলাকার মর্নিং সান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য নতুন পরিকল্পনা
২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা নতুন শিক্ষাক্রমে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
রবিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এইচএসসি পরীক্ষার ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করা নিয়ে আমরা তড়িঘড়ি করছি না। বিভিন্নভাবে বিশ্লেষণ করে আমরা সেটা ঠিক করতে চাচ্ছি। আমরা নতুন শিক্ষাক্রমে যে এসএসসি পরীক্ষা নেব, সেটা ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছি।’
পরীক্ষায় ফেল দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের লজ্জা দেওয়া হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আগের মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পাস-ফেল দেখিয়ে ওপরের শ্রেণিতে শিক্ষার্থীসংখ্যা কমিয়ে ফেলা হতো। এবার এসএসসি পরীক্ষায় প্রায় ২৩ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নিল, আমরা সাড়ে ১৬ লাখকে পাস দেখালাম। বাকি প্রায় ৬ লাখ শিক্ষার্থীকে আমরা ফেল বলে দিলাম। এটার মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীকে নিগৃহীত করলাম। এ পদ্ধতি আর রাখা যাবে না।’