![বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণা, কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট](uploads/2024/06/30/High_Court-1719765031.jpg)
৩০ হাজারেরও বেশি শ্রমিককে মালয়েশিয়া পাঠানোর নামে প্রতারণার করে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা লুটে নেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আগামী ৭ দিনের মধ্যে আদালতকে জানাতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রবিবার (৩০ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। শুনানিতে রিটের পক্ষে বক্তব্য উস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ।
একটি জাতীয় দৈনিকে গত ২ জুন ‘৩০ হাজার যুবকের স্বপ্ন ভেঙে ২০ হাজার কোটি টাকা লুট’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ।
প্রতিবেদনের একটি অংশে বলা হয়, ‘আদনান রহমান (২৮)। বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর। মায়ের গয়না আর মাঠের ২০ শতক জমি বিক্রি করে ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন এক এজেন্সিকে। এর মধ্যে কিছু ধারও আছে। স্বপ্ন ছিল মালয়েশিয়ায় গিয়ে পরিবারের ভাগ্য ফেরাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এজেন্সির প্রতারণায় যাওয়া হয়নি তার। স্বপ্ন ভেঙেছে, পথে বসেছেন। এখনো বিমানবন্দরে বসে আছেন। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। কোন মুখ নিয়ে বাড়িতে ফিরবেন? সামনে শুধুই হতাশা। শুধু আদনান নয়, তার মতো ৩০ হাজারেরও বেশি যুবকের স্বপ্ন ভেঙে গেছে। তারা পথে বসেছেন। আর এজেন্সির নামে হাতেগোনা কয়েকজন লুটে নিয়েছেন অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা।’