![বেনজীরের ফ্ল্যাটে ঢুকতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশ](uploads/2024/06/30/Benzir_Ahmed-1719759239.jpg)
রাজধানীর গুলশানে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমেদের পরিবারের মালিকানাধীন চারটি ফ্ল্যাটে ঢোকার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার জেলা প্রশাসককে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাবেক এই পুলিশপ্রধানের ফ্ল্যাটে পুলিশের উপস্থিতিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রবেশ করবেন বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনারকেও (ডিসি) নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
আদেশে বলা হয়েছে, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের উপস্থিতিতে ওই সব ফ্ল্যাটে ঢুকবেন। গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী ফ্ল্যাটগুলো পরিমাপ করে ভাড়া নির্ধারণ করবেন বলেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৩০ জুন) ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আস্সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিটের পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদের আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আদালত। সংস্থাটির সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আবেদনের বরাত দিয়ে পিপি বলেন, ফ্ল্যাটগুলো ভাড়া দেওয়ার জন্য গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে দায়িত্ব দেওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া ফ্ল্যাট চারটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিলসহ আনুষঙ্গিক খরচের বিষয় রয়েছে। ফ্ল্যাটগুলোর মালামালের তালিকা করার জন্যও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া জরুরি। এসব বিষয়ের ওপর শুনানি নিয়ে আদেশ দেন আদালত।
দুদকের এই আবেদনের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানা গেছে, আদালত এর আগে ফ্ল্যাট চারটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কমিশনের সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের কর্মকর্তারা সরেজমিনে সেখানে যান। কিন্তু বেনজীর আহমেদের পরিবারের কোনো সদস্য ফ্ল্যাটগুলোতে থাকেন না, তারা কোথায় আছেন, তাও কেউ বলতে পারেন না। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের দ্বারস্থ হয় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
উল্লেখ্য, বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা বাড্ডা ও আদাবরের আটটি ফ্ল্যাট রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও ইতোমধ্যে দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত বৃহস্পতিবার দেওয়া ওই আদেশে বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা আরও ২৫ একর ২৭ কাঠা জমি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দেন আদালত।
এর আগে দুই দফায় বেনজীর ও তার পরিবারের নামে গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে ৬২১ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট জব্দ করার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। সেই সঙ্গে আদালত ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ৩টি বিও অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।