ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

চাকরির প্রত্যাশায় পাঠের প্রতিযোগিতা

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১০:৩০ এএম
আপডেট: ১৫ মে ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
চাকরির প্রত্যাশায় পাঠের প্রতিযোগিতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে প্রবেশের জন্য শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সারি। ছবি : খবরের কাগজ

পড়ালেখা শেষ করে সবাই ছুটছে সরকারি চাকরির পেছনে। আর এটা সবচেয়ে বেশি বোঝা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে গেলে। সকাল ৭টা থেকেই শুরু হয়ে যায় লাইনে দাঁড়ানোর প্রতিযোগিতা। প্রথমে শুধু ব্যাগ রেখে জায়গা রাখা হয়। ঠিক ৮টায় লাইব্রেরির গেট খুলে দেওয়া হয়…সারি বেঁধে সুশৃঙ্খলভাবে শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরির ভেতরে প্রবেশ করেন…তবে বিসিএস পরীক্ষার আগে এই লাইন শুরু হয় ভোর ৬টা থেকে, লাইনও থাকে অনেক দীর্ঘ।    

সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে সকালের প্রতিদিনের দৃশ্য দেখে অনেকেই অবাক হতে পারেন, কিন্তু এটাই বাস্তবতা। বাংলাদেশে সরকারি চাকরি সবার অতি কাঙ্ক্ষিত। এ জন্য কঠিন এক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। কিন্তু চাকরিপ্রত্যাশীদের নিয়মিত পড়াশোনার জন্য নেই পর্যাপ্ত লাইব্রেরি। অন্যদিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ে আছে পাবলিক লাইব্রেরি, এমনকি বিজনেস ফ্যাকাল্টির একমাত্র লাইব্রেরিও বন্ধ করে রাখা হয়েছে, আর এসব চাপ এসে পড়েছে সেন্ট্রাল লাইব্রেরির ওপর।   

সাবেকদের কারণে লাইব্রেরিতে জায়গা পান না বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীরা। চাইলেও পড়ালেখা করার জন্য লাইব্রেরিতে জায়গা হয় না, আর সব কিছু বিবেচনা করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীদের পাঞ্চ কার্ডের মাধ্যমে প্রবেশ করানোর উদ্যোগ  নেওয়া হচ্ছে। এটি বাস্তাবায়ন হলে ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পরও যারা গ্রন্থাগারে পড়তে যান, বিশেষ করে বিভিন্ন চাকরি ও বিসিএস প্রস্তুতির জন্য পড়তে যাওয়ারা গ্রন্থাগারে প্রবেশ করতে পারবেন না। আগামী বছর থেকেই এই নিয়ম চালু হবে। ১০মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের দেওয়া এমন ঘোষণায় বেশ শঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনরা, যারা নিয়মিত লাইব্রেরিতে চাকরির পড়ালেখা করেন। অন্যদিকে পাঞ্চ কার্ডে বর্তমান শিক্ষার্থীরা সুবিধা পেলেও সাবেকরাও যাতে বিপদে না পড়েন সে ব্যবস্থা নেওয়ার আশা ব্যক্ত করেন তারা। 

শফিকুল ইসলাম, ঢাবির সমাজকল্যাণ গবেষণা বিভাগের একজন শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘পাঞ্চ কার্ড কার্যকর হলে ভালো হবে কিন্তু আসলেই হবে কি না সেটাই বড় কথা। কারণ আগেও এমন উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। নতুন ভিসি এসে বলেন, কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না। পাঞ্চ কার্ড চালু হলে প্রাক্তনরা লাইব্রেরিতে আসতে পারবেন না, সেক্ষেত্রে তাদের জন্য আলাদা একটা জায়গা নির্ধারণ করা উচিত। মাস্টার্স বা অনার্স শেষের দিকে সবাই চাকরির পড়া শুরু করেন। সেক্ষেত্রে তাদের কোথাও পড়ার সুযোগ না দিলে তারা পড়বেন কোথায়। সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে।’

সাব্বির হোসেন স্বাধীন, ঢাবির বিজনেস ফ্যাকাল্টির একজন সাবেক ছাত্র। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে ডিসিশন জানিয়ে দিলে তো হবে না, সময় দিতে হবে। লাইব্রেরিতে সাবেক যারা আসেন তাদের সংখ্যাও অনেক। তাই সময় নিয়ে যদি প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্ত জানায় তাহলে ভালো হয়। যারা সরকারি চাকরির জন্য পড়ছেন, তাদের কারণে বর্তমান শিক্ষার্থীরা অনেক সময় একাডেমিক পড়ালেখা করতেও আসতে পারেন না। বিজনেস ফ্যাকাল্টির লাইব্রেরি বন্ধ,পাবলিক লাইব্রেরি বন্ধ, সবাই সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতেই আসেন। এখানে চাপ পড়ে প্রচুর। প্রশাসন সিদ্ধান্ত যদি নিতেই চায় তাহলে অন্য লাইব্রেরিগুলো চালু করুক। সব জায়গা বন্ধ হয়ে গেলে চাকরিপ্রত্যাশীরা কোথায় পড়ালেখা করবে?’ 

তৌফিকুর রহমান ইসলামিক হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার ডিপার্টমেন্টে পড়াশোনা করছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পাঞ্চ কার্ডের ব্যবস্থা করলে অবশ্যই রানিং স্টুডেন্টদের জন্য ভালো হয়, তারা এসেই লাইব্রেরিতে বসতে পারবেন, পড়ালেখা করতে পারবেন। কিন্তু এর বিপরীতেও কথা আছে। বিশ্ববিদ্যালয় একজন ছাত্রকে হলে সিট দেয় সেকেন্ড ইয়ার বা থার্ড ইয়ারে গিয়ে। আবার একাডেমিক পড়া শেষ হওয়ার পরেই হল ছেড়ে দিতে হবে, লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারবে না, এটা কেমন যুক্তি। তাহলে ফার্স্ট ইয়ার থেকেই হলে সিটের ব্যবস্থা করুক। সেটা তো করছে না। আগে চিন্তা করতে হবে দেশের সার্বিক কাঠামো কেমন। এখানে শিক্ষার্থীদের স্বপ্নই থাকে একটা সরকারি চাকরি, এর জন্য একাডেমিক পড়ালেখা কাজে আসে না। সেক্ষেত্রে লাইব্রেরিতে তো সবাই এসে চাকরির পড়াই পড়বে। উদ্যোগ ভালো, বর্তমান শিক্ষার্থীরা অনেকেই লাভবান হবেন, কিন্তু সাবেক ছাত্ররা যে সময় প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে পার করেছেন, সেই সময় বিবেচনা করেও তাদের জন্য মিনিমাম দুই বছরের জন্য একটা কার্ডের ব্যবস্থা করে দেওয়া উচিত যাতে একাডেমিক পড়ালেখা শেষ হলেও তারা যেন লাইব্রেরিতে এসে পড়তে পারেন।’ 

ঢাবির দর্শন বিভাগের ছাত্র আব্দুল আলীম বলেন, ‘অনেকে আছেন যারা ঢাবিরও না, তারাও হলে থাকেন, লাইব্রেরিতে পড়েন। আবার যারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তারাও দীর্ঘসময় হলে থাকেন। সেক্ষেত্রে নতুনদের জন্য সমস্যা তৈরি হয়।’

এনআরবিসি ব্যাংকে নিয়োগ, বয়স ৪০ হলেও আবেদন

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৮ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৮ পিএম
এনআরবিসি ব্যাংকে নিয়োগ, বয়স ৪০ হলেও আবেদন

বেসরকারি এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই ব্যাংকে হিউম্যান রিসোর্স ডিভিশনে এইচআর অ্যাসোসিয়েট (অ্যাডমিন/অপারেশনস) পদে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

পদের নাম: এইচআর অ্যাসোসিয়েট (অ্যাডমিন/অপারেশনস)

পদসংখ্যা: অনির্ধারিত

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠান থেকে এইচআরএম বিষয়ে বিবিএ/এমবিএ ডিগ্রি থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনে কোনো তৃতীয় শ্রেণি/বিভাগ বা সমমানের জিপিএ/সিজিপিএ থাকা যাবে না। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অন্তত আট বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এমএস অফিস অ্যাপ্লিকেশনের কাজ জানতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগে সাবলীল হতে হবে। পোশাক খাত বা বহুজাতিক কোনো প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজারের বেশি কর্মী ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

বয়স: ৩১ মে ২০২৪ তারিখে সর্বোচ্চ ৪০ বছর

চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের https://hotjobs.bdjobs.com/jobs/nrbcbank/nrbcbank12.htm এই লিংক থেকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে Apply Online বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ১১ জুলাই, ২০২৪।

 কলি

 

সরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিতে চাকরি

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৫ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৫ পিএম
সরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিতে চাকরি

বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল) জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই প্রতিষ্ঠানে সহকারী প্রকৌশলী পদে ১৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

১. পদের নাম: সহকারী প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল)
পদসংখ্যা:
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। সব পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ অথবা সিজিপিএ-৪-এর স্কেলে ন্যূনতম ২.৫০ অথবা সিজিপিএ-৫-এর স্কেলে ন্যূনতম ৩.৫০ থাকতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অত্যাবশ্যক। কম্পিউটার চালনায় পারদর্শী ও অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্বের গুণ থাকতে হবে।
মূল বেতন: ৫২,০০০ টাকা
সুযোগ-সুবিধা: মূল বেতনের পাশাপাশি পাওয়ার স্টেশন ভাতা, নিয়মিত আবাসন (খালি থাকা সাপেক্ষে) বা সংস্থার বিধি অনুসারে বাড়িভাড়া ভাতা, দুটি উৎসব ভাতা, নববর্ষ ভাতা, মেডিকেল সুবিধা (প্রতিপূরণ), শিক্ষা ভাতা এবং কোম্পানির বিধি অনুসারে অন্যান্য ফ্রিঞ্জ বেনিফিট প্রাপ্য হবেন।

২. পদের নাম: সহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল)
পদসংখ্যা:
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। সব পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ অথবা সিজিপিএ-৪-এর স্কেলে ন্যূনতম ২.৫০ অথবা সিজিপিএ-৫-এর স্কেলে ন্যূনতম ৩.৫০ থাকতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অত্যাবশ্যক। কম্পিউটার চালনায় পারদর্শী ও অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্বের গুণ থাকতে হবে।
মূল বেতন: ৫২,০০০ টাকা
সুযোগ-সুবিধা: মূল বেতনের পাশাপাশি পাওয়ার স্টেশন ভাতা, নিয়মিত আবাসন (খালি থাকা সাপেক্ষে) বা সংস্থার বিধি অনুসারে বাড়িভাড়া ভাতা, দুটি উৎসব ভাতা, নববর্ষ ভাতা, মেডিকেল সুবিধা (প্রতিপূরণ), শিক্ষা ভাতা এবং কোম্পানির বিধি অনুসারে অন্যান্য ফ্রিঞ্জ বেনিফিট প্রাপ্য হবেন।

বয়সসীমা
১৫ জুন ২০২৪ তারিখে প্রার্থীর বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩০ বছর হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তাদের সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর।

চাকরির ধরন
প্রাথমিকভাবে শিক্ষানবিশ হিসেবে নিয়োগপত্র এক বছরের জন্য দেওয়া হবে এবং শিক্ষানবিশকালের সন্তোষজনক মূল্যায়নের ভিত্তিতে শিক্ষানবিশকাল এক বছরসহ তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিশ্চিত করা হবে। তিন বছর পরপর সন্তোষজনক মূল্যায়নের ভিত্তিতে চুক্তি নবায়ন করা হবে। অবসর গ্রহণের বয়স ৬০ বছর।

আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের http://apscl.teletalk.com.bd/ এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য http://apscl.teletalk.com.bd/docs/circular.pdf এই লিংকে পাওয়া যাবে।

আবেদন ফি
অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ৬০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬৯ টাকাসহ মোট ৬৬৯ টাকা টেলিটক প্রি-পেইড নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা: ১ থেকে ১৫ জুলাই ২০২৪, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

 কলি

 

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরির সুযোগ

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরির সুযোগ
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার রাজস্ব খাতভুক্ত একাধিক পদে জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই সংস্থায় পাঁচ ক্যাটাগরির পদে ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডে আটজনকে অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

১. পদের নাম: কার্টোগ্রাফার
পদসংখ্যা:
যোগ্যতা: পুরকৌশলে ডিপ্লোমাসহ কার্টোগ্রাফিতে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: ১৮ থেকে ৩০ বছর
বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা (গ্রেড-১০)

২. পদের নাম: ক্যাশিয়ার
পদসংখ্যা:
যোগ্যতা: বাণিজ্য বিভাগে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রিসহ করণিক হিসেবে সরকারি বা আধা সরকারি সংস্থায় পাঁচ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: ১৮ থেকে ৩০ বছর
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

৩. পদের নাম: গাড়িচালক
পদসংখ্যা:
যোগ্যতা: বৈধ লাইসেন্সসহ সংশ্লিষ্ট মোটরযান চালনায় তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: ১৮ থেকে ৩০ বছর
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৪. পদের নাম: নিরাপত্তা প্রহরী
পদসংখ্যা:
যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস।
বয়স: ১৮ থেকে ৩০ বছর
বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

৫. পদের নাম: অফিস সহায়ক
পদসংখ্যা:
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।
বয়স: ১৮ থেকে ৩০ বছর
বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের http://warpo.teletalk.com.bd/admitcard/index.php এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য একই ওয়েবসাইট বা ওয়ারপোর https://warpo.gov.bd/ ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। অনলাইনে আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে যেকোনো টেলিটক সিম থেকে ১২১ নম্বরে কল অথবা [email protected] ঠিকানায় ই-মেইলে যোগাযোগ করা যাবে। মেইলের সাবজেক্টে প্রতিষ্ঠান ও পদের নাম এবং ইউজার আইডি ও যোগাযোগের নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

আবেদন ফি
অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ নম্বর পদের জন্য ৪০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৪৮ টাকাসহ মোট ৪৪৮ টাকা; ২ ও ৩ নম্বর পদের জন্য ৩০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৩৬ টাকাসহ মোট ৩৩৬ টাকা এবং ৪ ও ৫ নম্বর পদের জন্য ২০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ২৪ টাকাসহ মোট ২২৪ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
আবেদনের সময়সীমা: ১ থেকে ২১ জুলাই ২০২৪, রাত ১২টা পর্যন্ত।

কলি

চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের কৌশল

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৩৭ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৩৭ পিএম
চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের কৌশল

সমাজের প্রতিটি চাকরিজীবী মানুষের আয়ই নির্দিষ্ট হয়ে থাকে। মাস শেষে একটা নির্দিষ্ট কিছু টাকা আসে অ্যাকাউন্টে। কিন্তু প্রতি মাসে ব্যয়ের পরিমাণটা কখনোই নির্দিষ্ট হয় না। শত হিসাব করে চলার পরও মাস শেষে নির্ধারিত টাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। নির্দিষ্ট টাকার বেতনে তো সংসার চালানো সম্ভব হয় না। এ জন্য চাকরির পাশাপাশি প্রয়োজন বাড়তি কিছু আয় করা।

আবার অনেক সময় চাকরির ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা চলে আসতে পারে। তখন আপনার বাড়তি আয়ের ওপর আস্থা রাখা যায়। আবার অনিশ্চয়তা না এলেও বাড়তি উপার্জন মানে আরেকটু বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে থাকা, নিজের আরও কিছু ইচ্ছা পূরণের সুযোগ পাওয়া। আপনি নিজের মেধা ও সময় খরচ করে আরও কিছু উপার্জন করতে পারেন। ফুল টাইম চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করার কিছু উপায় জেনে নিন-

অপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করুন
আমাদের প্রায় সবার বাড়িতেই অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থাকে। হয়তো বছরের পর বছর পড়ে আছে কিন্তু কোনো কাজে লাগছে না। হতে পারে, সেই জিনিসটিই অন্য কারও অনেক প্রয়োজন কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে কিনতে পারছে না। এমন অবস্থায় আপনার সেই পড়ে থাকা জিনিসটা যদি অনলাইনে বিক্রির বিজ্ঞাপন দেন, খুব দ্রুতই বিক্রি হয়ে যাবে। এতে আপনার বাড়ি থেকে জঞ্জাল কমবে, আবার বাড়তি আয়েরও সুযোগ হবে।

কোচিং করাতে পারেন
আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষ হন তবে অনলাইনে টিউটরিং বা কোচিং শুরু করতে পারেন। আপনি কারুশিল্প শেখাতে পারেন, কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সঙ্গেও যুক্ত হতে পারেন যেখানে আপনি যে ক্ষেত্রে ভালো সে বিষয়ে কোর্স শেখাতে পারেন। এভাবে আপনি আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে এবং আয়ের পথ তৈরি করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করুন
যদি আপনার কর্মক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং কোনো সমস্যা না হয় এবং এটি আপনাকে কোনো আইনি সমস্যায় না ফেলে, তবে আপনার অবসর সময়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। আপনি লিখতে পারেন, একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারেন, প্রোগ্রামিং বা ডিজিটাল মার্কেটিংয়েও কাজ করতে পারেন। এতে নিজের দক্ষতা প্রমাণের পাশাপাশি আপনি দ্রুতই অর্থশালী হয়ে উঠবেন।

রুম বা সম্পত্তি ভাড়া দিন
আপনার যদি একটি অতিরিক্ত রুম থাকে, তাহলে সেটি দিয়ে হতে পারে আপনার বাড়তি আয়ের সুযোগ। অতিরিক্ত রুমটি আপনি ভাড়া দিতে পারেন। এতে খালি পড়ে থাকা রুমটি দিয়ে আপনি খুব সহজেই উপার্জনের পথ তৈরি করে নিতে পারবেন। একইভাবে আপনার গাড়িটিও কাজে লাগাতে পারেন। ভাড়া দিয়ে খুব সহজেই বাড়তি উপার্জন করতে পারেন।

অনলাইন সার্ভে অংশগ্রহণ করুন
অনলাইন সার্ভে ও মার্কেট রিসার্চ স্টাডিতে অংশগ্রহণ আপনাকে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনে সহায়তা করতে পারে। হ্যাঁ, পেআউটগুলো ছোট, কিন্তু এটি আপনাকে কিছুটা হলেও বাড়তি আয়ের সুযোগ করে দেবে। তাই এই কাজে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারেন। অবসর সময়ে অনলাইন সার্ভে ও মার্কেট রিসার্চের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

সতর্কতা
চাকরির পাশাপাশি আয় করতে গিয়ে কখনোই অর্থের দিকে ঝুঁকে পড়া যাবে না। এমনটা হলে মূল পেশায় খুবই খারাপ প্রভাব পড়বে। একপর্যায়ে চাকরিতে সমস্যা হবে আপনার। এতে আপনিই বিপদে পড়বেন। এ জন্য সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে আপনাকে। আবার অতিরিক্ত অর্থের লোভে অনৈতিক কোনো ব্যবসায় বিনিয়োগ করা থেকেও দূরে থাকতে হবে। মনে রাখবেন, বাড়তি উপার্জনের আশায় অর্থের লোভে নিজেকে ভাসিয়ে দেওয়া যাবে না।

 কলি

কর্মস্থলে হাসিখুশি থাকুন

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম
কর্মস্থলে হাসিখুশি থাকুন

হাসিখুশি চেহারা মন ভালো করে দেয়। যিনি যতটা হাসিখুশি থাকেন, দিনশেষে তিনি ততটাই সুখী। হাসি মানুষকে একে অপরকে কাছাকাছি রাখতে সাহায্য করে। যেকোনো ধরনের রাগ দূর করতে সুন্দর একটি হাসি বেশ কার্যকর। হাসি মনের সব দুশ্চিন্তা দূর করে ও সম্পর্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ দূর করে হাসি।

কর্মক্ষেত্রে হাসিকে অনেক ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করা হয়। মনে করা হয়, কর্মীরা হাসিখুশি থাকলে কাজের পরিবেশ নষ্ট হবে! কিন্তু গবেষকরা বলছেন, হাসি কর্মীদের মনোবল এবং উৎপাদনশীলতার ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। হাসির ক্ষমতা আছে বাধা ভেঙে ফেলার। চাপের মাত্রা কমানো, ইতিবাচকতা ও সৃজনশীলতার পরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও এই হাসি কার্যকরী।

হাসির একটি প্রধান সুবিধা হলো এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। কাজ চাপযুক্ত হতে পারে এবং ক্রমাগত চাপের মধ্যে থাকা কর্মীদের বার্নআউট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, যা উৎপাদনশীলতা এবং কাজের মান কমিয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে, হাসি এন্ডোরফিন নিঃসরণকে ট্রিগার করে। এটি প্রাকৃতিকভাবে স্ট্রেস লেভেল কমাতে সাহায্য করে এবং সুখ ও বিশ্রামের অনুভূতি বাড়াতে পারে।

মানসিক চাপ কমানোর পাশাপাশি, হাসি সহকর্মীদের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতেও সাহায্য করে। মানুষ যখন একসঙ্গে হাসে, তখন তাদের মধ্যে বন্ধন এবং বন্ধুত্বের অনুভূতি তৈরি হয়। যা তাদের মধ্যে আরও ভালো যোগাযোগ ও সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরি করে। সেই সঙ্গে দলগতভাবে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করে দেয়। তাই কর্মক্ষেত্রে হাসিখুশি থাকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হাসিখুশি থাকার মাধ্যমে কর্মীদের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক তৈরি হয়, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়, সমস্যা সমাধান সহজ হয় এবং আরও ইতিবাচক কাজের পরিবেশ তৈরি হয়।

হাসির সঙ্গে সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনের সম্পর্ক রয়েছে। কর্মীর মানসিক অবস্থা ইতিবাচক এবং স্বস্তিদায়ক থাকলে বৃত্তের বাইরে চিন্তা করার এবং সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে। হাসি মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করতেও সাহায্য করে, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে এবং সামগ্রিক কাজের কর্মক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

নিয়োগকর্তারা কর্মক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক কাজের পরিবেশ তৈরি করে হাসিখুশি থাকাকে উৎসাহিত করতে পারে। সামাজিক ইভেন্ট, কর্মীদের কৃতিত্ব উদযাপন এবং কর্মীদের জোকস বা মজার গল্পগুলো ভাগাভাগি করে নেওয়ার অভ্যাস তৈরি করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে দলনেতাকেও হাসিখুশি থাকতে হবে। তাহলে কর্মীরাও মন খুলে হাসতে ভয় পাবেন না।

অফিসে কাজের চাপ থাকবে, এটা স্বাভাবিক। তাই বলে সারাক্ষণ কাজ নিয়েই থাকলেন, এটা ঠিক নয়। এতে কাজের চাপের পাশাপাশি মনের ওপর চাপ পড়বে। কর্মক্ষেত্রে যিনি সবচেয়ে বেশি হাসিখুশি তাকেই সবাই পছন্দ করেন বেশি। তাই বলে কেবল হাসলেই হবে না। সঙ্গে অফিসের কাজটাকেও গুছিয়ে করতে হবে। আর কর্মক্ষেত্রে হাসিখুশি থাকার কিছু কায়দাও আছে। কাজের ফাঁকে সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলুন, হাসুন, চা-কফি খান। পারলে একটু হাঁটাহাঁটি করুন। এতে মন যেমন ভালো থাকবে, তেমনি কাজও দ্রুত শেষ হবে।

 কলি