ঢাকা ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

এনআরবিসি ব্যাংকে নিয়োগ, বয়স ৪০ হলেও আবেদন

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৮ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৮ পিএম
এনআরবিসি ব্যাংকে নিয়োগ, বয়স ৪০ হলেও আবেদন

বেসরকারি এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই ব্যাংকে হিউম্যান রিসোর্স ডিভিশনে এইচআর অ্যাসোসিয়েট (অ্যাডমিন/অপারেশনস) পদে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

পদের নাম: এইচআর অ্যাসোসিয়েট (অ্যাডমিন/অপারেশনস)

পদসংখ্যা: অনির্ধারিত

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠান থেকে এইচআরএম বিষয়ে বিবিএ/এমবিএ ডিগ্রি থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনে কোনো তৃতীয় শ্রেণি/বিভাগ বা সমমানের জিপিএ/সিজিপিএ থাকা যাবে না। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অন্তত আট বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এমএস অফিস অ্যাপ্লিকেশনের কাজ জানতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগে সাবলীল হতে হবে। পোশাক খাত বা বহুজাতিক কোনো প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজারের বেশি কর্মী ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

বয়স: ৩১ মে ২০২৪ তারিখে সর্বোচ্চ ৪০ বছর

চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের https://hotjobs.bdjobs.com/jobs/nrbcbank/nrbcbank12.htm এই লিংক থেকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে Apply Online বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ১১ জুলাই, ২০২৪।

 কলি

 

সরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিতে চাকরি

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৫ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৫ পিএম
সরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিতে চাকরি

বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল) জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই প্রতিষ্ঠানে সহকারী প্রকৌশলী পদে ১৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

১. পদের নাম: সহকারী প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল)
পদসংখ্যা:
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। সব পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ অথবা সিজিপিএ-৪-এর স্কেলে ন্যূনতম ২.৫০ অথবা সিজিপিএ-৫-এর স্কেলে ন্যূনতম ৩.৫০ থাকতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অত্যাবশ্যক। কম্পিউটার চালনায় পারদর্শী ও অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্বের গুণ থাকতে হবে।
মূল বেতন: ৫২,০০০ টাকা
সুযোগ-সুবিধা: মূল বেতনের পাশাপাশি পাওয়ার স্টেশন ভাতা, নিয়মিত আবাসন (খালি থাকা সাপেক্ষে) বা সংস্থার বিধি অনুসারে বাড়িভাড়া ভাতা, দুটি উৎসব ভাতা, নববর্ষ ভাতা, মেডিকেল সুবিধা (প্রতিপূরণ), শিক্ষা ভাতা এবং কোম্পানির বিধি অনুসারে অন্যান্য ফ্রিঞ্জ বেনিফিট প্রাপ্য হবেন।

২. পদের নাম: সহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল)
পদসংখ্যা:
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। সব পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ অথবা সিজিপিএ-৪-এর স্কেলে ন্যূনতম ২.৫০ অথবা সিজিপিএ-৫-এর স্কেলে ন্যূনতম ৩.৫০ থাকতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অত্যাবশ্যক। কম্পিউটার চালনায় পারদর্শী ও অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্বের গুণ থাকতে হবে।
মূল বেতন: ৫২,০০০ টাকা
সুযোগ-সুবিধা: মূল বেতনের পাশাপাশি পাওয়ার স্টেশন ভাতা, নিয়মিত আবাসন (খালি থাকা সাপেক্ষে) বা সংস্থার বিধি অনুসারে বাড়িভাড়া ভাতা, দুটি উৎসব ভাতা, নববর্ষ ভাতা, মেডিকেল সুবিধা (প্রতিপূরণ), শিক্ষা ভাতা এবং কোম্পানির বিধি অনুসারে অন্যান্য ফ্রিঞ্জ বেনিফিট প্রাপ্য হবেন।

বয়সসীমা
১৫ জুন ২০২৪ তারিখে প্রার্থীর বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩০ বছর হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তাদের সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর।

চাকরির ধরন
প্রাথমিকভাবে শিক্ষানবিশ হিসেবে নিয়োগপত্র এক বছরের জন্য দেওয়া হবে এবং শিক্ষানবিশকালের সন্তোষজনক মূল্যায়নের ভিত্তিতে শিক্ষানবিশকাল এক বছরসহ তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিশ্চিত করা হবে। তিন বছর পরপর সন্তোষজনক মূল্যায়নের ভিত্তিতে চুক্তি নবায়ন করা হবে। অবসর গ্রহণের বয়স ৬০ বছর।

আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের http://apscl.teletalk.com.bd/ এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য http://apscl.teletalk.com.bd/docs/circular.pdf এই লিংকে পাওয়া যাবে।

আবেদন ফি
অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ৬০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬৯ টাকাসহ মোট ৬৬৯ টাকা টেলিটক প্রি-পেইড নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা: ১ থেকে ১৫ জুলাই ২০২৪, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

 কলি

 

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরির সুযোগ

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরির সুযোগ
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার রাজস্ব খাতভুক্ত একাধিক পদে জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই সংস্থায় পাঁচ ক্যাটাগরির পদে ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডে আটজনকে অস্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

১. পদের নাম: কার্টোগ্রাফার
পদসংখ্যা:
যোগ্যতা: পুরকৌশলে ডিপ্লোমাসহ কার্টোগ্রাফিতে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: ১৮ থেকে ৩০ বছর
বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা (গ্রেড-১০)

২. পদের নাম: ক্যাশিয়ার
পদসংখ্যা:
যোগ্যতা: বাণিজ্য বিভাগে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রিসহ করণিক হিসেবে সরকারি বা আধা সরকারি সংস্থায় পাঁচ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: ১৮ থেকে ৩০ বছর
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

৩. পদের নাম: গাড়িচালক
পদসংখ্যা:
যোগ্যতা: বৈধ লাইসেন্সসহ সংশ্লিষ্ট মোটরযান চালনায় তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: ১৮ থেকে ৩০ বছর
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৪. পদের নাম: নিরাপত্তা প্রহরী
পদসংখ্যা:
যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস।
বয়স: ১৮ থেকে ৩০ বছর
বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

৫. পদের নাম: অফিস সহায়ক
পদসংখ্যা:
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।
বয়স: ১৮ থেকে ৩০ বছর
বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের http://warpo.teletalk.com.bd/admitcard/index.php এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য একই ওয়েবসাইট বা ওয়ারপোর https://warpo.gov.bd/ ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। অনলাইনে আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে যেকোনো টেলিটক সিম থেকে ১২১ নম্বরে কল অথবা [email protected] ঠিকানায় ই-মেইলে যোগাযোগ করা যাবে। মেইলের সাবজেক্টে প্রতিষ্ঠান ও পদের নাম এবং ইউজার আইডি ও যোগাযোগের নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

আবেদন ফি
অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ নম্বর পদের জন্য ৪০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৪৮ টাকাসহ মোট ৪৪৮ টাকা; ২ ও ৩ নম্বর পদের জন্য ৩০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৩৬ টাকাসহ মোট ৩৩৬ টাকা এবং ৪ ও ৫ নম্বর পদের জন্য ২০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ২৪ টাকাসহ মোট ২২৪ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
আবেদনের সময়সীমা: ১ থেকে ২১ জুলাই ২০২৪, রাত ১২টা পর্যন্ত।

কলি

চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের কৌশল

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৩৭ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৩৭ পিএম
চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের কৌশল

সমাজের প্রতিটি চাকরিজীবী মানুষের আয়ই নির্দিষ্ট হয়ে থাকে। মাস শেষে একটা নির্দিষ্ট কিছু টাকা আসে অ্যাকাউন্টে। কিন্তু প্রতি মাসে ব্যয়ের পরিমাণটা কখনোই নির্দিষ্ট হয় না। শত হিসাব করে চলার পরও মাস শেষে নির্ধারিত টাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। নির্দিষ্ট টাকার বেতনে তো সংসার চালানো সম্ভব হয় না। এ জন্য চাকরির পাশাপাশি প্রয়োজন বাড়তি কিছু আয় করা।

আবার অনেক সময় চাকরির ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা চলে আসতে পারে। তখন আপনার বাড়তি আয়ের ওপর আস্থা রাখা যায়। আবার অনিশ্চয়তা না এলেও বাড়তি উপার্জন মানে আরেকটু বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে থাকা, নিজের আরও কিছু ইচ্ছা পূরণের সুযোগ পাওয়া। আপনি নিজের মেধা ও সময় খরচ করে আরও কিছু উপার্জন করতে পারেন। ফুল টাইম চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করার কিছু উপায় জেনে নিন-

অপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করুন
আমাদের প্রায় সবার বাড়িতেই অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থাকে। হয়তো বছরের পর বছর পড়ে আছে কিন্তু কোনো কাজে লাগছে না। হতে পারে, সেই জিনিসটিই অন্য কারও অনেক প্রয়োজন কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে কিনতে পারছে না। এমন অবস্থায় আপনার সেই পড়ে থাকা জিনিসটা যদি অনলাইনে বিক্রির বিজ্ঞাপন দেন, খুব দ্রুতই বিক্রি হয়ে যাবে। এতে আপনার বাড়ি থেকে জঞ্জাল কমবে, আবার বাড়তি আয়েরও সুযোগ হবে।

কোচিং করাতে পারেন
আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষ হন তবে অনলাইনে টিউটরিং বা কোচিং শুরু করতে পারেন। আপনি কারুশিল্প শেখাতে পারেন, কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সঙ্গেও যুক্ত হতে পারেন যেখানে আপনি যে ক্ষেত্রে ভালো সে বিষয়ে কোর্স শেখাতে পারেন। এভাবে আপনি আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে এবং আয়ের পথ তৈরি করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করুন
যদি আপনার কর্মক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং কোনো সমস্যা না হয় এবং এটি আপনাকে কোনো আইনি সমস্যায় না ফেলে, তবে আপনার অবসর সময়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। আপনি লিখতে পারেন, একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারেন, প্রোগ্রামিং বা ডিজিটাল মার্কেটিংয়েও কাজ করতে পারেন। এতে নিজের দক্ষতা প্রমাণের পাশাপাশি আপনি দ্রুতই অর্থশালী হয়ে উঠবেন।

রুম বা সম্পত্তি ভাড়া দিন
আপনার যদি একটি অতিরিক্ত রুম থাকে, তাহলে সেটি দিয়ে হতে পারে আপনার বাড়তি আয়ের সুযোগ। অতিরিক্ত রুমটি আপনি ভাড়া দিতে পারেন। এতে খালি পড়ে থাকা রুমটি দিয়ে আপনি খুব সহজেই উপার্জনের পথ তৈরি করে নিতে পারবেন। একইভাবে আপনার গাড়িটিও কাজে লাগাতে পারেন। ভাড়া দিয়ে খুব সহজেই বাড়তি উপার্জন করতে পারেন।

অনলাইন সার্ভে অংশগ্রহণ করুন
অনলাইন সার্ভে ও মার্কেট রিসার্চ স্টাডিতে অংশগ্রহণ আপনাকে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনে সহায়তা করতে পারে। হ্যাঁ, পেআউটগুলো ছোট, কিন্তু এটি আপনাকে কিছুটা হলেও বাড়তি আয়ের সুযোগ করে দেবে। তাই এই কাজে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারেন। অবসর সময়ে অনলাইন সার্ভে ও মার্কেট রিসার্চের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

সতর্কতা
চাকরির পাশাপাশি আয় করতে গিয়ে কখনোই অর্থের দিকে ঝুঁকে পড়া যাবে না। এমনটা হলে মূল পেশায় খুবই খারাপ প্রভাব পড়বে। একপর্যায়ে চাকরিতে সমস্যা হবে আপনার। এতে আপনিই বিপদে পড়বেন। এ জন্য সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে আপনাকে। আবার অতিরিক্ত অর্থের লোভে অনৈতিক কোনো ব্যবসায় বিনিয়োগ করা থেকেও দূরে থাকতে হবে। মনে রাখবেন, বাড়তি উপার্জনের আশায় অর্থের লোভে নিজেকে ভাসিয়ে দেওয়া যাবে না।

 কলি

কর্মস্থলে হাসিখুশি থাকুন

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম
কর্মস্থলে হাসিখুশি থাকুন

হাসিখুশি চেহারা মন ভালো করে দেয়। যিনি যতটা হাসিখুশি থাকেন, দিনশেষে তিনি ততটাই সুখী। হাসি মানুষকে একে অপরকে কাছাকাছি রাখতে সাহায্য করে। যেকোনো ধরনের রাগ দূর করতে সুন্দর একটি হাসি বেশ কার্যকর। হাসি মনের সব দুশ্চিন্তা দূর করে ও সম্পর্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ দূর করে হাসি।

কর্মক্ষেত্রে হাসিকে অনেক ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করা হয়। মনে করা হয়, কর্মীরা হাসিখুশি থাকলে কাজের পরিবেশ নষ্ট হবে! কিন্তু গবেষকরা বলছেন, হাসি কর্মীদের মনোবল এবং উৎপাদনশীলতার ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। হাসির ক্ষমতা আছে বাধা ভেঙে ফেলার। চাপের মাত্রা কমানো, ইতিবাচকতা ও সৃজনশীলতার পরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও এই হাসি কার্যকরী।

হাসির একটি প্রধান সুবিধা হলো এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। কাজ চাপযুক্ত হতে পারে এবং ক্রমাগত চাপের মধ্যে থাকা কর্মীদের বার্নআউট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, যা উৎপাদনশীলতা এবং কাজের মান কমিয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে, হাসি এন্ডোরফিন নিঃসরণকে ট্রিগার করে। এটি প্রাকৃতিকভাবে স্ট্রেস লেভেল কমাতে সাহায্য করে এবং সুখ ও বিশ্রামের অনুভূতি বাড়াতে পারে।

মানসিক চাপ কমানোর পাশাপাশি, হাসি সহকর্মীদের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতেও সাহায্য করে। মানুষ যখন একসঙ্গে হাসে, তখন তাদের মধ্যে বন্ধন এবং বন্ধুত্বের অনুভূতি তৈরি হয়। যা তাদের মধ্যে আরও ভালো যোগাযোগ ও সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরি করে। সেই সঙ্গে দলগতভাবে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করে দেয়। তাই কর্মক্ষেত্রে হাসিখুশি থাকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হাসিখুশি থাকার মাধ্যমে কর্মীদের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক তৈরি হয়, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়, সমস্যা সমাধান সহজ হয় এবং আরও ইতিবাচক কাজের পরিবেশ তৈরি হয়।

হাসির সঙ্গে সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনের সম্পর্ক রয়েছে। কর্মীর মানসিক অবস্থা ইতিবাচক এবং স্বস্তিদায়ক থাকলে বৃত্তের বাইরে চিন্তা করার এবং সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে। হাসি মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করতেও সাহায্য করে, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে এবং সামগ্রিক কাজের কর্মক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

নিয়োগকর্তারা কর্মক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক কাজের পরিবেশ তৈরি করে হাসিখুশি থাকাকে উৎসাহিত করতে পারে। সামাজিক ইভেন্ট, কর্মীদের কৃতিত্ব উদযাপন এবং কর্মীদের জোকস বা মজার গল্পগুলো ভাগাভাগি করে নেওয়ার অভ্যাস তৈরি করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে দলনেতাকেও হাসিখুশি থাকতে হবে। তাহলে কর্মীরাও মন খুলে হাসতে ভয় পাবেন না।

অফিসে কাজের চাপ থাকবে, এটা স্বাভাবিক। তাই বলে সারাক্ষণ কাজ নিয়েই থাকলেন, এটা ঠিক নয়। এতে কাজের চাপের পাশাপাশি মনের ওপর চাপ পড়বে। কর্মক্ষেত্রে যিনি সবচেয়ে বেশি হাসিখুশি তাকেই সবাই পছন্দ করেন বেশি। তাই বলে কেবল হাসলেই হবে না। সঙ্গে অফিসের কাজটাকেও গুছিয়ে করতে হবে। আর কর্মক্ষেত্রে হাসিখুশি থাকার কিছু কায়দাও আছে। কাজের ফাঁকে সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলুন, হাসুন, চা-কফি খান। পারলে একটু হাঁটাহাঁটি করুন। এতে মন যেমন ভালো থাকবে, তেমনি কাজও দ্রুত শেষ হবে।

 কলি

অফিসের জটিল পরিস্থিতি সামলাবেন যেভাবে

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:২৪ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:২৪ পিএম
অফিসের জটিল পরিস্থিতি সামলাবেন যেভাবে
কখনোই সহকর্মীর কড়া ভাষার উত্তর দিতে যাবেন না। কারণ এটি তর্ক বাড়িয়ে দেবে। মডেল: ফারজানা খান মিম ও পিউস গমেজ, ছবি: শরিফ মাহমুদ

অফিসে কাজের চাপ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। মাঝে মাঝে কাজের চাপ এতটাই বেশি হয় যে, তা সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। তখন মনের ওপরও চাপ পড়ে। কাজের চাপের সঙ্গে যদি আবার নতুন করে যোগ হয় অফিস পলিটিক্স, তাহলে তো কথাই নেই। এসব সামলাতে গিয়ে নিজেকে ভালো রাখাই কঠিন হয়ে পড়ে।

অফিসে কাজের ফাঁকে ফাঁকে সামান্য আড্ডা কিংবা গল্প হতেই পারে। কিন্তু তা কেবল কফির কাপের কফিটুকু ফুরোনো পর্যন্ত। এরপর আবার কাজের ভেতর ডুব। অফিসে কাজ করতে গিয়ে সব সময় যে আপনার পথ মসৃণ পাবেন, তা কিন্তু নয়। বরং বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় মোকাবিলা করতে হতে পারে। জেনে নিন কোন পরিস্থিতিতে কী করবেন-

কাজের ক্রেডিট অন্য কেউ নিলে
অনেক সময় দেখা যায়, আপনি খেটেখুটে একটি সফল প্রজেক্ট দাঁড় করিয়েছেন। কিন্তু সেই কাজের পুরো কৃতিত্বই বিভাগীয় প্রধান নিয়ে নিচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতিতে আপনি কী করবেন? 
আপনি বলবেন, ‘আমার পয়েন্ট স্পটলাইট করার জন্য ধন্যবাদ’। আপনি সংযমের সঙ্গে কথাগুলো বলুন। ভদ্রভাবে কথা বলে অনেককিছুই সহজ করা সম্ভব। এতে আপনাদের যিনি বস, তিনিও বুঝে যাবেন যে কাজটি আপনার। আপনি যে কাজটি করে দিয়েছেন, তার বিস্তারিত প্রমাণ নিজের কাছে রাখুন। যাতে করে পরবর্তীতে কোনো প্রশ্ন উঠলে সামাল দিতে পারেন।

অফিসে বেশি সময় থাকতে বললে
অনেক সময় দেখা যায়, সিনিয়ররা তার অধিনস্ত কর্মীদের বেশি সময় অফিসে থাকতে এক প্রকার বাধ্য করেন। এমন পরিস্থিতিতে রেগে গেলে চলবে না। মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে। বিনয়ের সঙ্গে বলুন, আপনার অন্য জায়গায় কাজ রয়েছে। আপনি যে এই কাজে অপারগ তা সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বের হয়ে আসুন। সেই সঙ্গে যখন আপনার সিনিয়রের মন ভালো থাকে তখন তার সঙ্গে বসে কাজের সময়ের সীমা নির্ধারণ করে ফেলুন।

কোনো সহকর্মী কড়া ভাষায় কথা বললে
আপনার কোনো সহকর্মী হয়তো আপনাকে কড়া ভাষায় কথা বলেছে। আপনিও মনে মনে চাচ্ছেন তার চেয়েও কড়া ভাষায় উত্তর দিতে। এমনটা যদি করেন তাহলে ভুল করবেন। সহকর্মীর কড়া ভাষার উত্তর দিতে যাবেন না। কারণ এটি তর্ক বাড়িয়ে দেবে। অফিসে শান্তি বজায় রাখার জন্য আপনি শান্ত থাকার চেষ্টা করুন। সহকর্মীটি যদি আপনার প্রিয় কেউ হন তবে তাকে বুঝতে চেষ্টা করুন। হতে পারে তিনি খুব বেশি কাজের চাপে এমনটা করছেন। মনে রাখবেন- তর্কে তর্ক বাড়ে।

সরাসরি ‘না’ বলবেন না
অফিসে কখনো কখনো এমন অনেক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে যখন আপনাকে না চাইলেও ‘না’ বলতে হবে। তবে এটি সরাসরি বলা যাবে না। বলতে হবে সঠিকভাবে কায়দা করে। যদি মনে করেন আপনার ওপর অতিরিক্ত কাজ বা দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তবে সুন্দরভাবে জানিয়ে দিন যে, আপনি একটি টিমের সঙ্গে কাজ করতে পারেন, আপনার পক্ষে একা এই কাজ করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে আপনাকে কৌশলী হতে হবে, অনুরোধটি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করবেন না। অনেক বসই ‘না’ শব্দটি সহ্য করতে পারেন না।
গুরুতর সমস্যা হলে
কোনো কাজের ক্ষেত্রে গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি হলে মনোবল হারানো চলবে না। নিজের মনোবল শক্ত করে অন্যদের ভরসা দিন। মনে রাখবেন- সব সমস্যার সমাধান আছে। সমস্যা গুরুতর হলে শান্তভাবে বসুন এবং চিন্তা করুন এটার সমাধান কীভাবে করবেন। একজন সিনিয়রের সঙ্গে কথা বলুন, যিনি সমস্যাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। সব কাজ মেইলের মাধ্যমে করুন। মৌখিক আলোচনা গুজবের জন্ম দিতে পারে। তাই কাজের প্রমাণ রাখুন।

খোলামেলা আলোচনা করুন
আপনার যুক্তিতে ‘সঠিক’, কিন্তু বসের মতে ‘বেঠিক’- অধিকাংশ সময় এরকম দোটানায় জড়িয়েই ‘বস’-এর সঙ্গে আপনার দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে। এরকম পরিস্থিতিকে কী করবেন? এমন পরিস্থিতিতে ব্যাপারটি নিয়ে আপনার বসের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন। দেখবেন সমাধান বের হয়ে আসছে।

সমালোচনাকে এড়িয়ে চলুন
অফিসের সব সহকর্মী এক ধরনের হয় না। কিছু কিছু সহকর্মী পাবেন যারা আপনাকে সবসময় দমিয়ে রাখার চেষ্টা করবে। আপনি যাই করেন না কেন তারা আপনার সমালোচনা করবে। এ ধরনের ‘বস’ আপনার নিজস্ব উন্নয়নের জন্য খুব বিপজ্জনক। পারলে সমালোচনাকে এড়িয়ে চলুন। এ ধরনের বসের সঙ্গে ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করুন। যদি মানিয়ে নিতে না পারেন তাহলে এ ধরনের কর্মকর্তার অধীনে কাজ না করাই শ্রেয়।

কলি