![দেশে অনলাইন ব্যবসার ৬ চ্যালেঞ্জ](uploads/2024/06/04/bitr-1717497414.jpg)
একটা সময় বাজার বলতে আমরা গ্রাম কিংবা শহরের মাঝে ক্রেতা-বিক্রেতায় ভরপুর হট্টগোলে ভরা জায়গাকেই বুঝতাম। কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে। এখন বাজার বলে কোনো নির্দিষ্ট জায়গা নেই– বাজার আছে সবখানেই। প্রযুক্তির কল্যাণে আজ ঘরে বসেই বাজার করতে পারছে মানুষ। দিন দিন বাড়ছে অনলাইনে ব্যবসার প্রসার। কিন্তু তারপরও এ খাতে অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বাংলাদেশে অনলাইন ব্যবসার ৬টি চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো-
ব্যবসার ক্ষেত্র ও সম্ভাবনা
অন্যান্য ব্যবসার মতো ইন্টারনেটেও ব্যবসার ক্ষেত্র নির্ধারণ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আপনি যদি কাঁচা শাকসবজি সরবরাহের ব্যবসা করেন, তবে তা ফ্যাশনপণ্য সরবরাহের থেকে কম অনলাইন-নির্ভর হবে। আবার আপনার যদি রেস্টুরেন্টের ব্যবসা থাকে তাহলে ইন্টারনেটে আপনার নিয়মিত উপস্থিতি দরকার, যাতে করে আপনি খাবার ডেলিভারির সার্ভিস দিতে পারেন। ইন্টারনেটে ব্যবসার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ব্যবসার সম্ভাবনাগুলো নিয়ে সূক্ষ্মভাবে ভাবতে হবে।
রেজিস্ট্রেশন ও ট্রেড লাইসেন্স
আপনি যদি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ব্যবসা করতে যান, তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন ও ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন। একই সঙ্গে দরকার হয় ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার। এটি অনলাইন-অফলাইন দুই ধরনের ব্যবসার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যারা নতুন ব্যবসা শুরু করেন, তাদের অনেকে এসব ব্যাপারে অনভিজ্ঞ হয়ে থাকেন। এ ছাড়া কাজগুলো বেশ সময়সাপেক্ষ।
ওয়েবসাইট তৈরি
অনলাইন বিজনেস করতে গেলে আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকা জরুরি। আপনি যদি প্রযুক্তি বিষয়ে অনভিজ্ঞ হয়ে থাকেন, তাহলে ওয়েবসাইট তৈরি ও আপডেট করা আপনার জন্য অনেকটাই কষ্টকর ও ব্যয়বহুল। অবশ্য বর্তমানে গুগলের মাই বিজনেস সার্ভিসের কারণে এ কাজ কিছুটা সহজ হয়েছে।
মার্কেটিং
ইন্টারনেটে ব্যবসার প্রচলন দেশে দিনকে দিন বাড়ছেই। একই সঙ্গে বাড়ছে নতুন কাস্টমার। নতুন কাস্টমার খোঁজার জন্য আপনার অনলাইন মার্কেটিংয়ের পরিকল্পনা ভালো হতে হবে। এক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে ফেসবুক পোস্ট – বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করতে হবে আপনাকে।
অনলাইন লেনদেনের ব্যবস্থা
লেনদেনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা অনলাইন ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি ডিজিটাল অর্থ লেনদেনের সাহায্য নিলে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আর কোন কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লেনদেন নিশ্চিত করবেন তা ঠিক করা – এসব ব্যাপারে আপনাকে যথেষ্ট সচেতন হতে হবে।
সরবরাহ
ক্রেতাদের কাছে পণ্য কীভাবে সরবরাহ করবেন, সেটি আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, ঠিকমতো পণ্য সরবরাহ করতে না পারলে আপনাকে কাস্টমার হারাতে হতে পারে। আর তাই আপনার প্রতিষ্ঠানকেই পণ্য সরবরাহের দায়িত্ব নিতে হবে; নাহলে কোনো ডেলিভারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করতে হবে। অন্যদিকে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করে থাকলে কাস্টমসসংক্রান্ত বিষয় নিয়েও আলাদা প্রস্তুতি প্রয়োজন।
কলি