![কর্মক্ষেত্রের ৭ শর্টকাট](uploads/2024/05/27/kormo-j-1716789858.jpg)
কর্মক্ষেত্রে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়। কর্মক্ষেত্রের কঠিন পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে এখানে ৭টি পদ্ধতি তুলে ধরা হলো—
কাজের সময় কমিয়ে আনুন
বেশি সময় কাজ করলে বেশি কাজ শেষ করা যায়। আমরা সাধারণত এমনটাই জানি। তবে বাস্তবে তা সত্য নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, একজন মানুষ সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার পরিবর্তে ৬০ ঘণ্টা কাজ করলে বেশি কাজ সম্পাদন করতে পারে, তবে এ ক্ষমতা শুধু পরবর্তী তিন সপ্তাহের জন্য বলবৎ থাকে। এরপর অনেকেই কাজের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়ে, যে ভুল হওয়ার কথা না সেই ভুলগুলো করে বসে এবং কম কাজ করে থাকে।
কর্মক্ষেত্রে ঝামেলাকারীকে সামাল দিন
কেউ ঝামেলা করলে তাকে মানানোর চেষ্টা করুন। আর যদি আপনি নিজেই মেজাজ হারিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে সম্পর্কে ছেদ ঘটবে। তাই কর্মক্ষেত্রে পেশাদারি আচরণ ও কথা বলার ধরন বজায় রাখুন। যদি ঝামেলাকারী পিছু না হটে, তখন বলুন, ‘আপনার মাথা ঠাণ্ডা হয়ে এলে আমরা আবার এই ব্যাপারে কথা বলে নেব’ তারপর তার সামনে থেকে চলে যান এবং আপনার কাজে মন দিন।
ভুয়া পরিসংখ্যান চিহ্নিত করা
একটি পরিসংখ্যানকে তখনই বৈধ বলে ধরে নেওয়া যায় যদি এর পেছনের তথ্যগুলো সত্য হয়ে থাকে। যদি তথ্য এদিক-সেদিক করে প্রতিষ্ঠান কোনো সুবিধা করতে পারে, তাহলে ধরে নিতে হবে ওই প্রতিষ্ঠানের তথ্যগুলো শতভাগ নির্ভুল নয়। কাজেই পরিসংখ্যানের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
মিথ্যাবাদী চেনা
মানুষের চোখ দেখে অনেক সময় বলে দেওয়া যায় যে সে মিথ্যা বলছে কি না। তবে এ থিওরি সর্বদা সত্য নয়। যারা সচরাচর মিথ্যা বলে তাদের চোখ দেখে প্রায়ই বোঝার উপায় থাকে না যে আসলেই তারা মিথ্যা বলছে। তাই কারও কথা যদি আপনার কাছে মুখস্থবিদ্যার মতো শোনায় বা মুখে মুখে গিয়ে বদলে যায়, তাহলে সেই কথার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। অনেকেই দেখবেন প্রতিবার নিজের কথা সত্য বলে দাবি করে বসে কিন্তু দেখা যাবে যে সেই মিথ্যা বলছে।
সিভিকে সাজিয়ে নিন
একটি গতানুগতিক সিভি হলো একটি সেলস ব্রশিয়ারের মতো, যা সবাই প্রথমে দেখে কিন্তু তা তাদের আকর্ষণ করে না। আপনি যে পদে আবেদন করতে চাচ্ছেন সেই কাজের আদ্যোপান্ত জানুন এবং সেই কাজের চাহিদা অনুযায়ী আপনার সিভিকে সাজিয়ে নিন।
উল্টো দিক দিয়ে ই-মেইল লিখুন
যদি আপনি মনে করেন আপনার ই-মেইল দেখে প্রাপক সিদ্ধান্ত নেবে, তাহলে ই-মেইলের শেষাংশ দিয়ে শুরু করুন যেখানে আপনি প্রাপককে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তাগিদ দেবেন। ওই সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে ছোট ছোট যুক্তি লিখে নিন, তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রাপককে তাগিদ দিন বা পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জানিয়ে দিন। এরপর ই-মেইলের সাবজেক্ট লাইনে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে প্রাপকের যে সুবিধা হতে পারে সেটা তুলে ধরুন।
সব বস যা চায়
বেশির ভাগ বস সততা, ন্যায়পরায়ণতা, সবকিছুতে মনোযোগী ইত্যাদি গুণাবলি কদর করে থাকে। তবে আসল কথা হলো আপনার পদবী যা-ই হোক না কেন, আপনার বস সবসময় এটাই চায় যে আপনি কাজের মাধ্যমে তাকে সফল হতে সাহায্য করুন। এটাই সত্য।
কলি