![কাজ শেখার বিকল্প নেই](uploads/2024/06/04/birt-1717497709.jpg)
যখন আমাদের কাজ শেখার কথা আসে, তখন আমরা কিছু সমস্যায় ভুগি। কোন কাজ শেখা উচিত, কীভাবে শেখা উচিত- এই ছোট ছোট সমস্যার কারণে অনেক সময় আমাদের কিছু শেখাই হয় না। তবে একটা জিনিস আমাদের মনে রাখতে হবে- কাজ শেখার কোনো বিকল্প নেই।
একটা ইন্ডাস্ট্রিতে যখন আমরা কাজ করি, তখন আসলে আমরা অনেক কিছুই বুঝতে পারি- মনে হয় এটা তো খুব সহজ এবং সাধারণ জিনিস। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে নতুন যারা আছেন, তাদের এই জায়গাগুলোতেই কনফিউশন হবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা আসলে কোন কাজটা শিখব, এই জায়গাটাতে দুটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
আমি যে কাজটি করছি তার মার্কেট ডিমান্ড আছে কি না। আমরা শুরুর দিকে আসলে তাই করতে চাই, যা করতে আমাদের ভালো লাগে। অথবা আমার বন্ধু করে সফলতা পেয়েছে, তাই আমারও ওটা করতে হবে। এমন হতে পারে আপনার বন্ধু যখন সফলতা পেয়েছে তখন সেই কাজটার ডিমান্ড ছিল। কিন্তু এখন নেই। তাই আমাদের অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে মার্কেটে এখন কোন কাজের ডিমান্ড আছে।
আবার ডিমান্ড থাকা সব কাজই কিন্তু আমার জন্য নয়। অনেক কিছুই আছে যার ডিমান্ড আছে। কিন্তু আমি হয়তো অতটা ভালো করতে পারব না। অথবা আমি হয়তো ওই কাজগুলো করে মজা পাব না। আমার প্যাশনের জায়গাটাতে সেই কাজগুলো নেই। তাই আমাদের মার্কেট ডিমান্ডের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ভালো লাগার দিকটাও দেখতে হবে।
মার্কেট ডিমান্ড অনেকভাবেই আইডেন্টিফাই করা যায়। এর মধ্যে কয়েকটি হলো-
মার্কেট প্লেসগুলোতে একটু চোখ বুলাতে হবে। ওয়েবে অনেক পপুলার মার্কেট প্লেস আছে, যেমন- আপওয়ার্ক, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার, পিপল পার আওয়ার ইত্যাদি। সেই মার্কেট প্লেসগুলোতে একটু ভিজিট করুন। আপনি যে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে চাচ্ছেন, সেই ক্যাটাগরিতে দেখুন কী ধরনের জব পোস্ট হচ্ছে। তাদের প্রাইসিং, ওয়ার্ক ভলিউম, আনুমানিক সেলারের সংখ্যা ইত্যাদি। যত বেশি ডাটা কালেক্ট করা যাবে, তত ভালোভাবে আইডিয়া জেনারেট করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। এ ছাড়া আপনি লোকাল মার্কেটের জন্য নিয়োগসংক্রান্ত জব পোর্টাল সাইটগুলোও দেখতে পারেন, আপনার ইন্ডাস্ট্রি রিলেটেড কী পরিমাণ জব প্লেস হচ্ছে। এসব দেখে আইডিয়া পাবেন- আপনার কোন কাজটা শেখা উচিত। এসব একটা এক্সেল শিটে নোট ডাউন করে রাখুন।
শেখার প্ল্যান করুন
এবার শর্ট লিস্টেড টাস্কগুলো নিয়ে পরবর্তী প্ল্যান শুরু করুন, কীভাবে শেখা যায়। এখন যেহেতু আপনি ধারণা রাখেন- কী শিখতে চাচ্ছেন, তাই আপনি অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন। এখন আপনি আর অনেক ব্রড কোনো জায়গাতে ঘুরপাক খাচ্ছেন না। আপনি অনেকটাই ন্যারো ডাউন করে নিয়ে আসছেন।
এখন আপনি গুগল, ইউটিউব করে বেসিক ধারণা নিতে পারেন। এক্সপার্ট কারও সঙ্গে কথা বলে কাস্টমাইজড টিপস পেতে পারেন। পেইড কোর্স করে সময় বাঁচাতে পারেন। বই পড়া শুরু করতে পারেন। কারও মেন্টরশিপ সাপোর্ট নিয়ে শুরু করে দিতে পারেন।
নতুন স্কিল ডেভেলপ করুন
কাজ করতে করতে অ্যাডিশনাল স্কিল নিয়ে ভাবতে পারেন, একই ফরমুলাতে নতুন নতুন স্কিল ডেভেলপ করবেন। আইটি ইন্ডাস্ট্রি সবচেয়ে দ্রুত পরিবর্তন হয়। তাই থেমে থাকার কোনো সুযোগ নেই। থেমে গেলেই হেরে যাবেন।
কলি