![বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিসিআই পরিচালনা পর্ষদের সাক্ষাৎ](uploads/2024/03/04/1709527059.BCI.jpg)
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরীর (পারভেজ) নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।
রবিবার (৩ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় সচিবালয়ে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাতের শুরুতে প্রতিমন্ত্রীকে বিসিআই পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা এবং বিসিআই এর ‘আমার পণ্য আমার দেশ’ লোগো সম্বলিত একটি ফ্রেম উপহার দেওয়া হয়।
সাক্ষাতে বিসিআই সভাপতি বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় বিসিআই এর পক্ষ হতে আমরা আপনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং দেশের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আপনার দৃশ্যমান বিভিন্ন উদ্যোগের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনার নানামুখী উদ্যোগে সামনে রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বিসিআই সমগ্র বাংলাদেশভিত্তিক একক এবং একমাত্র জাতীয় শিল্প চেম্বার। বিসিআই স্থানীয় সকল শিল্পের উন্নয়নের পথে সর্বপ্রকার প্রতিবন্ধকতা নিরসনে কাজ করে চলেছে। দেশের শিল্পখাত বর্তমানে একটি চ্যালেঞ্জিং সময় অতিবাহিত করছে। উচ্চ মূদ্রাস্ফীতির কারণে পণ্যের চাহিদা কমায় সব প্রতিষ্ঠানের সেলস ড্রপ করেছে এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহ তার ৬০-৭০ শতাংশ সক্ষমতায় চলছে। গ্যাসের প্রেসার কম, ঋণের উচ্চ সুদহার আবার ব্যাংকসমূহ প্রপার সাপোর্ট দিতে পারছে না। সবকিছু মিলিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দেশীয় শিল্প।
সরকারের এখন প্রধান লক্ষ্য মূদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশে নিয়ে আসা। আমরা মনে করি মূদ্রাস্ফীতির সময় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কর্মসংস্থান ধরে রাখা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকোচন নীতির কারণে ব্যাংকসমূহ বন্ডে বিনিয়োগের দিকে উৎসাহিত হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দেবে। নতুন বিনিয়োগ আসবে না। সঙ্গে বেকারত্বের হার বাড়বে। আমাদের এখন বর্তমান শিল্পসমূহকে বাঁচিয়ে রাখা অত্যন্ত জরুরি। আমরা আপনার কাছে অনুরোধ করবো যে, দেশের শিল্পসমূহের ক্যাশফ্লো যেন স্বাভাবিক থাকে। আর একটা বিষয় হচ্ছে, ইপিবি এবং এনবিআরের রপ্তানি তথ্যের মধ্যে একটি গড়মিল আছে।’
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্ট জুনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। শিল্পের জন্য তারল্য সংকট যতটা ধারণা করা হচ্ছে ততটা থাকবে না। আমার রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য দেশের বাইরের ফান্ডে ৫ বিলিয়ন ডলারের একটা ফান্ড গঠন করার চেষ্টা করছি। আমরা পাইলট প্রকল্প হিসেবে ঢাকা এবং ঢাকার আশেপাশের শিল্প এলাকার শিল্প শ্রমিকদেরকে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় এনে টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে ৫-৬ টা নিত্যপণ্য দিতে চাই এ ক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা দরকার হবে।’
সভায় বিসিআই এর ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি প্রীতি চক্রবর্তী, সহসভাপতি মোহাম্মদ ইউনুস, পবিচালকরা, শহীদুল ইসলাম নিরু, ড. দেলোয়ার হোসেন রাজা, আবুল কালাম ভূঁইয়া, এবং তপন কান্তি ঘোষ, সিনিয়র সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তি/সাদিয়া নাহার/অমিয়/