ঢাকা ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪

বিএসইসি-সিএসই এর উদ্যোগে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
আপডেট: ২৯ মে ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
বিএসইসি-সিএসই এর উদ্যোগে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ছবি: বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (সিএসই)-র উদ্যোগে একদিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

রবিবার (২৬ মে) সিএসইর চট্টগ্রামের প্রধান কার্যালয়ে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ (এএমএল অ্যান্ড সিএফটি) বিষয়ক এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। 

সিএসইর এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এক্সচেঞ্জের সংশ্লিষ্ট সকল স্টক ব্রোকার ও স্টক ডিলাররা উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএসইসি-র এক্সিকিউটিভ ‍ডিরেক্টর (ইডি) মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম। 

এ ছাড়াও কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন এডিশনাল ডিরেক্টর মোহাম্মাদ সিদ্দিকুর রহমান, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মিথুন চন্দ্র নাথ এবং সিএসইর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এম সাইফুর রাহমান মজুমদার, এফসিএ, এফসিএমএ, চীফ রেগুলেটরী অফিসার (সিআরও) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, সিএফএ। 

এ ছাড়াও সিএসইর বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরাও উপস্থিত ছিলেন।

সিএসই-র ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এম সাইফুর রাহমান মজুমদার, এফসিএ, এফসিএমএ,  তার উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেন, ‘মানিলন্ডারিং ও টেররিস্ট ফিনান্সিং হচ্ছে জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে জড়িত একটি বিষয়। এর কারণ হচ্ছে এক দেশ থেকে আরেক দেশে যে লেনদেনসমূহ হয় তার একটি নির্দিষ্ট মানদণ্ড থাকে, আর কোনো দেশের আইনগত কাঠামো কত স্বচ্ছ তার উপর ঐ দেশের কান্ট্রি গ্রেডিং নির্ভর করে। এক্ষেত্রে এটাও দেখা হয় যে সংশ্লিষ্টরা কতখানি নিয়ম কানুন পরিপালন করে এবং সঠিকভাবে করে কিনা।’

তিনি আরও বলেন, ‘হতে পারে আমরা অনেক ধরণের সংকটের মধ্যে থাকতে পারি, কিন্তু আমাদের লক্ষ্য হবে সব সময় রুটিন কার্যক্রমগুলো পালন করা, এক সঙ্গে এটাও বিবেচনা করতে হবে যে সামান্য অনিয়ম ও বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। রিপোটিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই আইন পরিপালনকে বারডেন হিসেবে না দেখে নিজেকে সব সময় প্রস্তুত রাখতে হবে এবং নিয়মিত ট্রেনিং এর মাধ্যমে নিজেকে উন্নত করতে হবে। রেগুলেটরি কাঠামোর মধ্যে থেকে এই ব্যাপারগুলোকে এড়িয়ে না গিয়ে আমাদের সম্মুখীন হতে হবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা যে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই সংযুক্ত থাকি না কেন, মনে রাখতে হবে CAMLCO বা BAMLCO-র কাজগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আমাদের সরকারের মৌলিক নীতির মধ্যে আছে যে, বাংলাদেশ মানিলন্ডারিং পছন্দ করে না এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। জিরো টলারেন্স ও টেরোরিস্ট ফিনান্সিং এই দুটো বিষয়কে যেহেতু সরকার আইন করে নিষিদ্ধ করেছে তাই আমাদেরও প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে যে, আমরা সঠিকভাবে সব সময় সচেষ্ট থাকবো কোনোভাবেই যেন আমাদের কারণে আমাদের প্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের মানিলন্ডারিং এবং সন্ত্রাসী অর্থায়নের কার্যক্রম সংঘটিত না হয় এর জন্য আমরা কিভাবে ভূমিকা রাখবো সেটি হলো আজকের প্রতিপাদ্য বিষয়।’

তিনি বলেন, ‘এখানে অনেক বিষয়ের মধ্যে দুটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো-মনিটরিং এবং এনফোর্সমেন্ট। যদি এই দুটি বিষয়কে আমরা যথাযথভাবে পালন করতে পারি তবে একজন ক্যামেলকো/ বামেলকো হিসেবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারব। খেয়াল রাখতে হবে যে, যে কোনো বিষয় শুরুতেই সূক্ষ্ম বিবেচনায় নিয়ে দেখতে হবে। প্রতিটি বিষয় এমনভাবে দেখতে হবে যেন একটি ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর মনে না হয় যে পূর্বেই আরও ভালোভাবে দেখলে অমন হত না। তাই আমাদেরকে কিছুটা সন্ধিৎসু হতে হবে, সন্ধিৎসু এই অর্থে যেন আপাত দৃষ্টিতে যা স্বাভাবিক মনে হচ্ছে কিন্তু সূক্ষ্ম বিবেচনায় তা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এ ছাড়া অনুসন্ধান করেই থেমে থাকা যাবে না, এর প্রয়োজনীয় প্রতিকার মানে ব্যবস্থা নিতে হবে। মানিলন্ডারিংকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। কেননা এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সমাজের সাধারণ মানুষ। তাই আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে আপানার কাজ হচ্ছে ছাড় না দেওয়া। যদি ছাড় দেন তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে যার ফলাফল হবে আর্থিক সিস্টেমের ক্ষতি।’

তিনি আরও বলেন, ‘অপরদিকে, আপনার নেওয়া একটি পদক্ষেপ হতে পারে অন্যদের জন্য উৎসাহের উদাহারন। তবে আপনাদেরকে আরেকটি বিষয়েও যত্নবান হতে হবে তা হল, রিপোটিং লেখা। রিপোটিং লেখাও গুরুত্বপূর্ণ কেননা এর উপরেও নির্ভর করে ব্যবস্থাগ্রহণ। প্রয়োজন হলে এই বিষয়ে সঠিক এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণসমূহ গ্রহণ করতে হবে। আপনাদের সূক্ষ্ম মনিটরিং, স্বচ্ছ রিপোটিং এবং উপযুক্ত ব্যবস্থাগ্রহণ আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সহায়তা করবে।’

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি কমিশনের এক্সকিউিটভি ডিরেক্টর মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘মানিলন্ডারিং ও টেররিস্ট ফিনান্সিং যে কোন দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য মারাত্মক বিপর্যয় টেনে আনে। মানিলন্ডারিং এমন একটি পদ্ধতি যা অসৎ ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে অবৈধ অর্থ উপার্জনের উপায় সৃষ্টিতে মূল ভূমিকা পালন করে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসইসি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা ও পুঁজিবাজারের উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণের বিষয়ে সর্বদা সচেষ্ট এবং যে সকল ক্যাপিটাল মার্কেট ইন্টারমিডিয়ারিস রিপোটিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০১৩ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তাদের রেজিস্ট্রেশন প্রদান ও তাদের কার্যক্রম তদারকি করে আসছে।’

তিনি বলেন, ‘এই দুই আইন অনুযায়ী রিপোটিং প্রতিষ্ঠানের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন, তদারকিকরণ বিএসইসির উপর ন্যস্ত করা হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বিএসইসি গত ২০১৪ সালে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়নে প্রতিরোধবিষয়ক এএমএল সিএফটি উইং প্রতিষ্ঠা করেছে এবং আমরা সে অনুযায়ী নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা, সেমিনার, ওয়ার্ক শপ ইতাদি আয়োজন করছি। আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে আমরা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে এই আইনগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যবহার করতে পারবো।’

এডিশনাল ডিরেক্টর মোহাম্মাদ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘বিএসইসির কাজ হচ্ছে বিনিয়োগকারীর স্বার্থ রক্ষা করা এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়ন এবং এই সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করা। আজকের আলোচ্য আইন দুটি সম্পর্কে ভালোভাবে শুনবো, জানবো এবং বাস্তবক্ষেত্রে এর সঠিক প্রয়োগ করতে পারি, তবেই আমাদের এই কর্মশালা সার্থক হবে। মনে রাখতে হবে যে, আইন দুটির ভুল ব্যবহার বা অজ্ঞতা দেশের অর্থনীতিকে বাধাগ্রস্ত করবে এবং মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে। তাই বিএসইসি মানিলন্ডারিং ও টেররিস্ট ফিনান্সিং এর প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে।’

এরপর কমিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ও মিথুন চন্দ্র নাথ  মানিলন্ডারিং ও  টেররিস্ট ফিনান্সিং এর উপর বিশদ উপস্থাপনা প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে সিএসই-র চীফ রেগুলেটরী অফিসার মেহেদী হাসান, সিএফএ বলেন, ‘যে বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া উচিত সেটি হলো know your customers/clients বা KYC বা আপনার ক্লায়েন্টকে জানুন। একটি ক্লায়েন্ট সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকা একটি কার্যকরী পদ্ধতি, যার দ্বারা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং তাদের কর্মকর্তরা চিনতে সক্ষম হবেন অর্থ পাচারের প্রচেষ্টাকে বা কারা জড়িত তাদেরকে।’ 

তিনি উপস্থিত সকলকে কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লষ্টি সকল নিয়মাবলী মেনে পুজিঁবাজারের ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ জানান। 

তিনি প্রশিক্ষণে উপস্থিত থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানটি শেষ করেন।

বিজ্ঞপ্তি/সাদিয়া নাহারা/অমিয়/

কনকর্ড এন্টারটেইন্টমেন্ট ও আবুল খায়ের কনডেন্স মিল্ক এন্ড বেভারেজের মধ্যে চুক্তি

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম
কনকর্ড এন্টারটেইন্টমেন্ট ও আবুল খায়ের কনডেন্স মিল্ক এন্ড বেভারেজের মধ্যে চুক্তি
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

সম্পতি কনকর্ড এন্টারটেইন্টমেন্ট কো. লি. এবং আবুল খায়ের কনডেন্স মিল্ক লি. এর মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় উভয় প্রতিষ্ঠান নিজেদের পণ্য প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। ফয়'স লেক অ্যামিউজমেন্ট ওর্য়াল্ডে আগত দর্শনার্থীরা স্টারশিপ বেভারেজ পণ্য, অ্যামা কফি, মার্কস মিল্ক পণ্যগুলো সুলভ মূল্যে গ্রহণ করতে পারবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে কনকর্ড এন্টারটেইন্টমেন্ট কো. লি. এর পক্ষে অনুপ কুমার সরকার, চীফ মাকেটিং অফিসার, কনকর্ড গ্রুপ এবং আবুল খায়ের কনডেন্স মিল্ক লি. এর পক্ষে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহীদুল্লাহ চৌধুরী এনডিসি (অব.), নির্বাহী পরিচালক এই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। 

কনকর্ড গ্রুপের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা অনুপ কুমার সরকার এই সহযোগিতামূলক চুক্তিটি স্বাক্ষর প্রসঙ্গে বলেন, ফয়'স লেক কনকর্ড অ্যামিউজমেন্ট ওয়ার্ল্ডে আমাদের লক্ষ্য হল আগত দর্শকদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি তৈরি করা। পার্কের রোমাঞ্চকর রাইড, বিনোদনমূলক শো ও নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি দর্শকরা এখন থেকে স্টারশিপ জুস এবং অ্যামা কফিসহ অন্যান্য পণ্য গ্রহণের সুযোগ পাবে।

আবুল খায়ের গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদুল্লাহ চৌধুরী এনডিসি (অব.) বলেন, এই কৌশলগত ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা সহজেই কাঙ্খিত কাস্টমারের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেজর এনামুল করিম (অব.), মহাব্যবস্থাপক, উজ্জল কুমার বসাক, উপ মহাব্যবস্থাপক-বিপণন, মনোয়ার হোসেন রনি, সহকারী মহাব্যবস্থাপক-বিক্রয়, অভিজিৎ পাল, উপ ব্যবস্থাপক-বিপণন, কনকর্ড এন্টারটেইন্টমেন্ট কো. লি. এবং আরশাদ উর রহমান, ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার; ইশফাক মিরাজ- সহকারী ম্যানেজার (ব্র্যান্ড মার্কেটিং); জসিম উদ্দিন- সিনিয়ার অফিসার (অর্থ), এস এম রিজভী হাসান- সিনিয়ার অফিসার (ব্র্যান্ড মার্কেটিং), আবুল খায়ের কনডেন্স মিল্ক লি. সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি   

প্লাস্টিক দূষণরোধে বিদ্যানন্দের সঙ্গে কাজ করবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম
প্লাস্টিক দূষণরোধে বিদ্যানন্দের সঙ্গে কাজ করবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড
ছবি : বিজ্ঞপ্তি

দেশের অন্যতম বেসরকারি ব্যাংক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ ও সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে শুরু হচ্ছে ‘প্লাস্টিক বিনিময় কর্মসূচি’, যার মাধ্যমে সহায়তা পাবেন প্রায় ৮২ হাজার মানুষ।

প্রকল্পের অংশ হিসেবে ৬৫টি ‘প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ ক্যাম্প’ স্থাপনে যৌথভাবে কাজ করবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। এসব নির্দিষ্ট ক্যাম্পে মানুষ তাদের প্লাস্টিক বর্জ্য জমা দেওয়ার বিনিময়ে চাল, তেল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহ করতে পারবে। এর ফলে শুধু প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হবে না বরং যারা ব্যবহৃত প্লাস্টিক ফেরত দিবে তারা সরাসরি উপকৃতও হবে।

পাশাপাশি এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে সংগৃহীত প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার করে রিসাইকেলড পলিথিন টেরেফথালেট বোতল তৈরিতে ব্যবহার করা হবে। 

প্রকল্পে অর্থায়ন করবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। প্রকল্প বাস্তবায়নে সার্বিক দায়িত্বে থাকবে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। সংগৃহীত প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে যে ফান্ড তৈরি হবে তা ক্যাম্প পরিচালনার জন্য ব্যবহার করা হবে।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটসের প্রধান মুহিত রহমান বলেন, ‘২০২০ সালে ৯ লাখ ৭৭ হাজার টন প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে, যার মাত্র ৩১ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা হয়েছে। এর মানে প্রায় ৭০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশের ও সমাজের মানুষের ক্ষতি করছে। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে পরিচালিত এ যৌথ উদ্যোগটি টেকসই পরিবেশ গঠন ও সামাজিক সহায়তার প্রতি ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। পুনর্ব্যবহারকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে আমরা শুধুমাত্র প্লাস্টিক বর্জ্যের জটিল সমস্যার সমাধানই করছি না, বরং চক্রায়ন অর্থনীতি তুলে ধরে হাজার হাজার মানুষকে কার্যকরী সহায়তা দিচ্ছি।’

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাস বলেন, ‘বর্জ্য ও প্লাস্টিক রিসাইকেল করার ব্যবস্থা না নিয়ে শহুরে জীবন দূষণমুক্ত করা এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের হুমকি এড়ানোর কোনো উপায় নেই। শুধু সরকারের ওপর নির্ভর করে থাকলে এ লক্ষ্য অর্জন করা কখনই সম্ভব নয়। দেশের সব প্রান্তের মানুষকে প্লাস্টিক রিসাইক্লিং প্রকল্পে যুক্ত করার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের এ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। বিশেষত, এই প্রকল্পে পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিক পুনঃব্যবহারের মাধ্যমে প্রকল্পটিকে টেকসই করার যে প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে তা প্রশংসনীয়।’

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/

রূপালী ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা অর্জনের সাফল্য উদযাপন

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৭:২১ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৭:২১ পিএম
রূপালী ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা অর্জনের সাফল্য উদযাপন
ছবি : বিজ্ঞপ্তি

চলতি বছরের অর্ধবার্ষিক (জানুয়ারি-জুন) হিসাব সমাপনীতে মুনাফায় অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক পিএলসি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এবারই প্রথম অর্ধবার্ষিকীতে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করেছে ব্যাংকটি।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে ব্যাংকের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেক কেটে এই সাফল্য উদযাপন করেন।

অনুষ্ঠানে ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পারসুমা আলম, হাসান তানভীর ও মো. হারুনুর রশীদ। 

এ ছাড়া ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক, উপ-মহাব্যবস্থাপক, রূপালী ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতাসহ ব্যাংকের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/

‘রত্নগর্ভা তাহমিনা রহমান বৃত্তি’ পেলেন ইউআইটিএস'র ২৮ শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৮ পিএম
‘রত্নগর্ভা তাহমিনা রহমান বৃত্তি’ পেলেন ইউআইটিএস'র ২৮ শিক্ষার্থী
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)-এর মেধাবী শিক্ষার্থীদের ‘রত্নগর্ভা তাহমিনা রহমান বৃত্তি’ প্রদান করা হয়েছে।

ইউআইটিএস-এর উদ্যোগে মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রত্নগর্ভা তাহমিনা রহমান মাল্টিপারপাস হলে বসন্তকালীন সেমিস্টার  ২০২৪-এর ২৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি প্রদান করা হয়।

ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)-এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এবং পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান, একুশে পদকপ্রাপ্ত আলহাজ্ব সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সহধর্মিণী ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত সদস্য মিসেস তাহমিনা রহমানের নামে গঠিত ‘রত্নগর্ভা তাহমিনা রহমান বৃত্তি তহবিল’ এর অধীনে ইউআইটিএস-এর প্রতিটি বিভাগের কমপক্ষে একজন ছাত্রীসহ তিনজন করে শিক্ষার্থীকে প্রতি সেমিস্টারে রত্নগর্ভা তাহমিনা রহমান বৃত্তি দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু হাসান ভূঁইয়া। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, এটি কোন সাধারণ বৃত্তি নয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে মাত্র ত্রিশ জন শিক্ষার্থীকে তাদের মেধা ও নৈতিকতার ভিত্তিতে এই বৃত্তি দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, ইউআইটিএস-এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এবং পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান, আলহাজ্ব সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের প্রত্যাশিত মানুষ হতে হবে, যে মানুষ ও সমাজের জন্য কাজ করে। আমরা তার এই লক্ষকে বাস্তবায়ন করার জন্যই কাজ করে যাচ্ছি, যেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব ও দেশের মুখ উজ্জল করতে পারে।

উপাচার্য উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ ও বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদেরকে শুভেচ্ছো জানান। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আ ন ম শরীফ, সায়েন্স অ্যান্ড ইজ্ঞিনিয়ারিং অনুষদের ডিন, অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল ইসলাম, লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সস অনুষদের ডিন, সৈয়দা আফসানা ফেরদৌসী, বিজনেস অনুষদের ডিন, ড. ফারুক হোসেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক ও ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কের অতিরিক্ত পরিচালক, শুভ দাস। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

জাল নোট শনাক্তকরণ ও প্রচলন প্রতিরোধে আইএফআইসি ব্যাংকের কর্মশালা

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৮ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৮ পিএম
জাল নোট শনাক্তকরণ ও প্রচলন প্রতিরোধে আইএফআইসি ব্যাংকের কর্মশালা
ছবি : বিজ্ঞপ্তি

বরিশালে আইএফআইসি ব্যাংকের উদ্যোগে দিনব্যাপী ‘জাল নোট শনাক্তকরণ এবং এর প্রচলন প্রতিরোধ’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার (১ জুলাই) জেলার একটি স্থানীয় মিলনায়তনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক বরিশাল অফিসের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল মান্নান।

রিসোর্স পারসন হিসেবে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক মো. ফারুক হোসেন এবং সহকারী পরিচালক মো. আতিকুর রহমান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন আইএফআইসি ব্যাংকের হেড কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট উইলিয়াম চৌধুরী ও বরিশাল শাখার ব্যবস্থাপক মো. জোবায়ের হোসেন।

কর্মশালায় বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার আইএফআইসি ব্যাংকের শাখা-উপশাখাগুলোর ১২১ কর্মকর্তা অংশ নেন।

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/