যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানি করা মাছের ট্রাক থেকে শাড়ি ও থ্রি-পিসের একটি চালান জব্দ করেছে কাস্টমস।
শনিবার (৯ মার্চ) রাতে বন্দরের ৩১ নম্বর শেড থেকে এই চালান জব্দ করা হয়।
চোরাচালান প্রতিরোধে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াতে স্থাপিত চারটি স্ক্যানিং মেশিনের মধ্যে চারটিই দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এ সুযোগে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে বৈধপথে আমদানি পণ্যের সঙ্গে চোরাচালান বেড়েছে।
জানা গেছে, পণ্যের চালানটির আমদানিকারক লাকি এন্টারপ্রাইজ। কাস্টমস থেকে চালানটি খালাসের চেষ্টা করছিলেন সোনালী সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্সি লিমিটেড। যার মালিক শান্ত। তার বাড়ি শার্শা উপজেলার বাগআচড়ায়।
মাছ বহনকারী ভারতীয় ট্রাকটির চালক আলমগীর খবরের কাগজকে বলেন, ‘ট্রাক থেকে শাড়ি, থ্রি-পিসের চালান উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কারা এসব উঠিয়েছে তা আমার জানা নেই। আমাকে মাছের কার্টন বুঝিয়ে দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে।’
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, স্ক্যানিং মেশিন নষ্টের সুযোগে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি বাণিজ্যের নামে চোরাচালানে অতিরিক্ত পণ্য নিয়ে আসছে দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা। এতে অপরাধ বাড়ছে ও সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। বাণিজ্য নিরাপদ রাখতে দ্রুত স্ক্যানিং কার্যক্রম চালু করা জরুরি।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম মালামাল আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্ক্যানিং ঠিক করতে আমরা কাস্টমসকে চিঠি দিয়েছি।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবীন্দ্র সিং বলেন, আটক মালামালের মূল্য ও কত টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছিল তা পরে জানা যাবে। এ ঘটনায় সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট ও আমদানিকারকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নজরুল/পপি/অমিয়/