ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

‘কোরবানির শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একযোগে কাজ করতে হবে’

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০২:২৮ পিএম
‘কোরবানির শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একযোগে কাজ করতে হবে’
ছবি: খবরের কাগজ

কোরবানির প্রকৃত শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

বুধবার (৩ জুলাই) রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের পল্লবী মধ্য থানা আয়োজিত এক ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সরকারের অগণতান্ত্রিক মনোভাবে, অপশাসন-দুঃশাসন ও লাগামহীন মূল্যস্ফীতির কারণেই এবারের ঈদ সবার জন্য আনন্দঘন হয়ে ওঠেনি। তাই আগামী দিনের ঈদকে অর্থবহ ও ফলপ্রসূ করতে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।’

দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র ও অপশাসনমুক্ত করতে সব পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

থানা আমির আবুল কালাম পাঠানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জুবায়ের হোসাইন রাজনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও গুলশান জোন পরিচালক মুহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত, পল্লবী দক্ষিণের আমির আশরাফুল আলম ও পল্লবী উত্তরের আমির সাইফুল কাদের প্রমুখ।

তা ছাড়া, মিরপুর পশ্চিম থানা জামায়াতের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন থানা আমির এম আব্দুল্লাহ।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরার সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, থানা নায়েবে আমির আ. রহমান, সেক্রেটারি আশিকুর রহমানসহ সহস্রাধিক নেতাকর্মী।

শফিকুল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী সমঝোতা প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ: গণতন্ত্র মঞ্চ

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৯:১২ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৯:১২ পিএম
ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী সমঝোতা প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ: গণতন্ত্র মঞ্চ
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে একতরফা দেশ স্বার্থ বিরোধী সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছে ৬ দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। জোটের শীর্ষ নেতারা বলেন, বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকার বিনিময় হিসেবে এইসব সমঝোতায় স্বাক্ষর করে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। 

শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে ‘ভারতের সাথে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী ও নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টিকারী সমঝোতা স্বাক্ষরের  প্রতিবাদে’ বিক্ষোভ সমাবেশ নেতারা এসব কথা বলেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন নেতাকর্মীরা। 

ভাসানী অনুসারী পরষিদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে এবং দলের সদস্য সচিব আবু ইউসুফ সেলিম পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সিনিয়র সহ সভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ। 

সমাবেশের নেতৃবৃন্দ বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে ট্রানজিটের নামে রেল করিডোর প্রদান, বন্দর ব্যবহার, যৌথ স্যাটেলাইট, সামরিক খাতে সহযোগিতাসহ সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে তা বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বা বাংলাদেশের অগ্রাধিকার নয়। এসব একপেশে ও ভারসাম্যহীন সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রের পরিচালনায় ভারতের কর্তৃত্ব আরও বাড়িয়ে তুলবে। মূলত ‘ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কি হচ্ছে’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তারা বলেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থের প্রতিনিধিত্বের সক্ষমতা হারিয়ে কেবল গদি রক্ষার স্বার্থে সবকিছুতে রাজি হচ্ছে সরকার। সেজন্যে আজ বাংলাদেশের স্বার্থ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়, সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যা বন্ধ কিংবা বিপুল বাণিজ্য ঘাটতিতে অশুল্ক বাধা দূর করার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ কোনটিই যথার্থ কোন আলোচনার বিষয় হয়ে উঠে না। 

'বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে ভারতের কোন আপত্তি নেই' পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন প্রসঙ্গে নেতৃবৃন্দ বলেন, একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের প্রধানমন্ত্রী কোন দেশ সফর করবেন, সেটা অন্য দেশের অনুমতির অপেক্ষা রাখে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্য দেশের সার্বভৌম মর্যাদার বাস্তব পরিণতি কোথায় দাঁড়িয়েছে সে গোমর ফাঁস করে দিয়েছে। ভোটবিহীন এই সরকারের কাছে বাংলাদেশের সার্বভৌম মর্যাদা যে বিপর্যস্ত সেটা আবার নতুন করে সামনে এল।

কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান ছাত্রদের আন্দোলন এবং বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানান নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে দাবি মেনে নেওয়া আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, অবৈধ সরকার যে কোন আন্দোলনে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। আন্দোলনকে বিরোধীদলের ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করা সরকারের প্রলাপ বকা ছাড়া আর কিছুই নয়।

সমাবেশে বক্তাগণ স্পষ্ট করে বলেন, বাংলাদেশ টিকে থাকতে হলে এই রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর দরকার। বিদ্যমান ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায়ের মধ্য দিয়েই বর্তমান শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন হতে হবে। আর এর প্রথম পদক্ষেপ হলো জনসম্মতিহীন অবৈধ ডামি সরকারের বিদায় ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন। নেতৃবৃন্দ স্বৈরতন্ত্র হটিয়ে সেই পথে বাংলাদেশের জনগণের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামকে বিজয়ী করতে জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণে ওলামা দলের নতুন কমিটি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৬:৩৮ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৬:৩৮ পিএম
ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণে ওলামা দলের নতুন কমিটি
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার তিনদিনের মাথায় ঘোষণা করা হয়েছে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নতুন আংশিক আহ্বায়ক কমিটি। ১১ সদস্যবিশিষ্ট এই দুই কমিটি ঘোষণা করা হয় শুক্রবার। মহানগর দক্ষিণে মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন খলিলীকে আহ্বায়ক ও মাওলানা মো. ফারুক হোসাইনকে (রুদ্র) সদস্য সচিব করা হয়েছে। আর উত্তরে হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও হাফেজ মাওলানা মো. সাইফুল ইসলামকে সদস্য সচিব ঘোষণা করা হয়েছে।  

শুক্রবার (৫ জুলাই) ওলামা দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মাওলানা কাজী মো. সেলিম রেজা এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা কাজী মোহাম্মদ আবুল হোসেন সংগঠনের মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের এই কমিটি অনুমোদন করেছেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণে নেতৃত্বে যারা

আহ্বায়ক: মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন খলিলী, সদস্য সচিব: মাওলানা মো. ফারুক হোসাইন (রুদ্র)। সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক: মাওলানা মো. শফিকুল ইসলাম সজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক: মাওলানা গাজী আবু বকর শিবলী, মাওলানা মো. মাহফুজুর রহমান, মাওলানা আবদুস সোবহান, মাওলানা মো. নুরে আলম সিদ্দিকী, মাওলানা মো. শহিদুল ইসলাম শাওন, মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেন (আলতু), মাওলানা মো. মিজানুর রহমান ও মাওলানা মো. হাবিবুর রহমান।

ঢাকা মহানগর উত্তরে নেতৃত্বে যারা 

আহ্বায়ক: হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী, সদস্য সচিব: হাফেজ মাওলানা মো. সাইফুল ইসলাম। সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক: এম এম আশরাফুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক: মাওলানা মো. হিজবুল্লাহ ফরহাদ, হাফেজ মাওলানা মো. আনিছুর রহমান, হাফেজ মাওলানা মো. নেয়ামত উল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মো. ওয়ালী উল্লাহ, হাফেজ মো. আবু লাইচ, মাওলানা মো. মিজানুর রহমান, মাওলানা মো. মোরতাজ ও মাওলানা মো. জামাল উদ্দিন চাকলাদার।

সবুজ/এমএ/

ভারতকে রেল করিডোর দেওয়া সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত : খেলাফত মজলিস

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:০০ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:০০ পিএম
ভারতকে রেল করিডোর দেওয়া সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত : খেলাফত মজলিস
ছবি : সংগৃহীত

ভারতকে ট্রানজিটের নামে রেল করিডোর দেওয়া বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর চরম আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ। 

শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর পল্টনে ফেনী সমিতি মিলনায়তনে দলের সদস্য প্রার্থীদের নিয়ে আয়োজিত তরবিয়তী মজলিসে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খেলাফত মজলিসের আমির। 

তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে রেল ট্রানজিটসহ ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী সব চুক্তি-স্মারক বাতিল করতে হবে। অন্যথায় দেশপ্রেমিক জনগণ রাজপথে দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দাবি আদায় করে ছাড়বে।’  

মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেন, ‘বাংলাদেশকে অবক্ষয়ের হাত থেকে উদ্ধার করতে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ময়দানে আরও ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে হবে।’

খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলমের পরিচালনায় আলোচনায় অংশ নেন নায়েবে আমির অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এবিএম সিরাজুল মামুন, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাওলানা শায়খুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, আলহাজ নুর হোসেন, আবুল হোসেন প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

ভারত সফরে বাংলাদেশের সব স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েছে সরকার : মান্না

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০২:৫৬ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৭ পিএম
ভারত সফরে বাংলাদেশের সব স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েছে সরকার : মান্না
ছবি : খবরের কাগজ

এবারের ভারত সফরে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সব স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। 

তিনি বলেন, ‘দেশের নিরাপত্তা ভারতের হাতে চলে গেছে। ভারত তথাকথিত নিরাপত্তার নামে বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়, মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়, বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকশিত হতে দেয় না।’

শুক্রবার (৫ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী ও নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টিকারী সমঝোতা স্মারকের’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন মান্না। 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘১৫ বছর ধরে গায়ের জোরে এই সরকার ক্ষমতায় বসে আছে। আর ভারত এই সরকারকে ক্ষমতায় রাখার চেষ্টা করে। আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে চাই কিন্তু ভারত আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করছে না। তারা বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার বন্ধ করে দিয়েছে।’  

তিনি বলেন, ‘সরকার এখন ভারতের সঙ্গে স্যাটেলাইট চুক্তি করেছে। ভারতের স্যাটেলাইট এখন বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় তদন্ত তদারকি করতে পারবে। সরকার তো ভারতকে রেল ট্রানজিট দেয়নি, সরকার সরাসরি করিডোর দিয়ে দিয়েছে। ভারতের ট্রেন বাংলাদেশে আসবে, এই ট্রেন মালবাহী ট্রেনও হতে পারে। ট্রেনের মধ্যে কী থাকবে আমরা সেটা জানি না।’ 

মান্না আরও বলেন, ‘যদি কোনো দেশ মনে করে এই মালবাহী ট্রেনের মধ্যে অস্ত্র আছে এবং তারা যদি বলে আমরা এই ট্রেনকে বাধা দেব; তার মানে হচ্ছে বাংলাদেশকে আপনারা (আওয়ামী সরকার) একদিকে ভারত ও চীনের যে সমস্যা চলছে তার জায়গা তৈরি করেছেন। ট্রানজিটের পাশাপাশি যেরকমভাবে স্যাটেলাইট সৃষ্টি করা হয়েছে এতে দেশের সমস্ত গোপন তথ্য ভারতের কাছে চলে যাবে। ভারতের সঙ্গে যে সমঝোতা স্মারক-চুক্তি করা হয়েছে, এগুলো তাড়াতাড়ি বাতিল করেন। তা না হলে পরিণতি খারাপ হবে।’ 

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

শফিকুল/সালমান/

এবার টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলল বিএনপি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৮ এএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৮ এএম
এবার টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলল বিএনপি
ছবি: সংগৃহীত

এবার টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলল জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। মূলত তরুণদের কাছে দলের বার্তা, দলীয় ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পৌঁছে দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত বুধবার রাত ১২টার দিকে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ-সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির টিকটক অ্যাকাউন্টে ফলো দিয়ে সঙ্গে থাকুন।’

বিএনপির এই টিকটক অ্যাকাউন্টটি দলের তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তর পরিচালনা করবে।

জানা গেছে, বিএনপির মিডিয়া সেলেরও একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘টিকটকের বেশি ভিউয়ার হচ্ছে দেশের তরুণ ও টিএনজাররা। তাদের কাছে বিএনপির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ অ্যাকাউন্টটা করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশ এবং বিদেশে অবস্থানরত নেতা-কর্মীদের কাছে দলীয় ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেও ব্যবহার করছে দলটি।’