ঢাকা ২২ আষাঢ় ১৪৩১, শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪

ক্ষমতায় রাখার প্রতিদান হিসেবে ভারতকে রেল ট্রানজিট: চরমোনাই পীর

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫২ পিএম
ক্ষমতায় রাখার প্রতিদান হিসেবে ভারতকে রেল ট্রানজিট: চরমোনাই পীর
ছবি: খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার পেছনে ভারতের অবদানের প্রতিদান হিসেবে তাদের রেল ট্রানজিট দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম চরমোনাই পীর।

বুধবার (৩ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত জাতীয় সংকট নিরসনে জাতীয় সংলাপে সূচনা বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ট্রানজিট দেওয়ার বিনিময়ে বাংলাদেশ কোনো কিছু আদায় করতে পারেনি; বরং বিনাশর্তে এমনকি প্রায় বিনা মাশুলে ট্রানজিট দিয়েছে। ট্রানজিট প্রদান আমাদের ভাবিয়ে তোলে। নিজেদের সার্বভৌমত্বের ওপরে থাকা অধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।’

ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আতাউর রহমান গাজীর সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবদিন, এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণ-অধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, গণফোরামের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।

চরমোনাই পীর বলেন, “বাংলাদেশ বরাবরই বিশ্ব মোড়লদের জিও পলিটিক্সের বাইরে নিরাপদ অবস্থান নিয়ে এসেছে। ইন্দো-প্যাসিফিক ইনিশিয়েটিভে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ দেশকে বিপজ্জনক ‘জিওপলিটিক্যাল’ রাজনীতিতে ফেলে দিতে পারে।”

তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান সরকারের সৃষ্ট নানাবিধ সংকটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ ভারত সফর সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে। যে চুক্তিগুলো করা হয়েছে, তাতে আওয়ামী লীগের ও বাংলাদেশের স্বার্থ দেখাতে পারছে না। কানেক্টিভিটির নামে যা করা হয়েছে, তার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায় পরিষ্কার হয়েছে; ‘বাজার-টাজার করতে যাওয়া ও ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া’ এর মূল লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী যখন সীমানাবিহীন ইউরোপের দৃষ্টান্ত দেখান তখন সীমানা ও স্বাধীনতা নিয়ে আমরা শঙ্কিত না হয়ে পারি না।’’

রেজাউল করিম বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতের পরিকল্পনাহীনতা, স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও খামখেয়ালিপনার সর্বশেষ দেখা গেল নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনার চুক্তি থেকে। ভারতের গ্রিড ব্যবহার, ভারতকে দুই ধরনের মাশুল দিয়ে আনায় বিদ্যুৎ খাতকে অনিরাপদ ও ভারত নির্ভর করবে। কম দামের যুক্তি দিয়ে বিদ্যুৎ আনা হচ্ছে, অথচ সবার আপত্তি উপেক্ষা করে দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল। কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের নামে যে যুক্তিতে, যেভাবে ও যে পরিমাণ ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হয় তাকে মগের মুল্লুক ছাড়া আর কিছু বলার নেই।’

শফিকুল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

হাছান মাহমুদের বক্তব্যের জবাবে রিজভী ভারতের সার্টিফিকেট নিয়ে চীন যেতে হলে স্বাধীনতা কোথায়

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১২:১২ এএম
আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১২:১২ এএম
ভারতের সার্টিফিকেট নিয়ে চীন যেতে হলে স্বাধীনতা কোথায়
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরাই বলছেন- শেখ হাসিনা চীনে যাচ্ছেন তাতে ভারতের কোনো আপত্তি নেই। প্রধানমন্ত্রীকে চীন যেতে ভারতের সার্টিফিকেট নিতে হয়। দিল্লির অনাপত্তিপত্র নিয়ে চীন যাচ্ছেন তিনি। তাহলে কোথায় আজ স্বাধীনতা? যে স্বাধীনতার পতাকা এ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের রক্ত দিয়ে অর্জন করেছিলেন সেটা আজ কোথায়? আজকে ভারতের অনুমতি নিয়ে শেখ হাসিনাকে চীন যেতে হয়। এই লজ্জা আজকে এই জাতির। এই কাজ বেগম খালেদা জিয়া করেননি। 

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, শ্রমিকদল নেতা সুমন ভূঁইয়াসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে তিনি এসব কথা বলেন। 

রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে ২০ বিলিয়ন ডলার চাচ্ছেন। তিনি যাচ্ছেন ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে।’ বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তারা শুধু মুজিব কোট পরে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে আজকে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। জনগণের পেটে লাথি মেরে শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তাদের সুযোগ করে দিয়েছেন লুটপাটের। বেনজীর-আজিজদের শুধু এক-দুই কোটি টাকা নয়, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছেন।’  

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আজ কাঁচা মরিচের দাম ৩২০ টাকা, শাকসবজির দাম সেঞ্চুরি পার হয়ে গেছে। শ্রমিকরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনতে পারছেন না। আজ প্রতিটি ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার কৌশল ব্যর্থ হয়েছে। হামলা-মামলা-গ্রেপ্তার-নির্যাতন করে নেতা-কর্মীদের দমন করা যাবে না।’ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, ‘আপনার ময়ূর সিংহাসন লুটেপুটে ভেঙে চুরমার করে দিবে জনগণ। একনায়কতন্ত্র কায়েম করে হিটলার-মুসোলিনিরা রেহাই পাননি, আপনিও পাবেন না।’  

শ্রমিকদল ঢাকা মহানগরের বিক্ষোভ মিছিলটি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল-ফকিরাপুল মোড় হয়ে আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়। 

সবুজ/এমএ/

শেখ হাসিনার কমিটমেন্টের সোনালি ফসল পদ্মা সেতু: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১১:৩২ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১১:৩২ পিএম
শেখ হাসিনার কমিটমেন্টের সোনালি ফসল পদ্মা সেতু: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কমিটমেন্টের সোনালি ফসল আজকের এই পদ্মা সেতু। তার সাহস ও দূরদর্শিতা আমাদের বিশাল সম্পদ। সংকটেও তিনি অকুতোভয়ে এগিয়ে যান।  শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন না করতে চাইলে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব টাকায় পদ্মা সেতু করার ঘোষণা দেন। ২০১৭ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতুতে প্রথম স্প্যান বসানোর সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছিলেন। প্রথম স্প্যান বসাতে তার জন্য অপেক্ষা করতে চাইলে তিনি সেদিন বলেছিলেন, ‘আমার জন্য পদ্মা সেতুর কাজ এক মিনিটের জন্যও বন্ধ থাকবে না।’ প্রবল স্রোতে পদ্মার ভাঙনের সময়ও ভাঙন প্রতিরোধে দূরদর্শী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।”

ওবায়দুল কাদের বলেন, “পদ্মা সেতুর নাম ‘শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু’ করতে চেয়েছিলাম, সংসদেও দাবি উঠেছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমি কোনোভাবেই আমার নাম ব্যবহার করব না। সেতুর নাম পদ্মা নদীর নামেই হবে।’ পদ্মা সেতুর সঙ্গে শেখ হাসিনা নাম মিশে গেছে। যতদিন পদ্মা সেতু আছে, ততদিন শেখ হাসিনার নামও উচ্চারিত হবে স্বগৌরবে।”

ইসলামী আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ভারতের রেল করিডোর স্বপ্ন জনগণ রুখে দেবে

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১১:০১ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১১:০১ পিএম
ভারতের রেল করিডোর স্বপ্ন জনগণ রুখে দেবে
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের বুকের উপর দিয়ে ভারতের রেল করিডোরের স্বপ্ন পূরণ করতে দেওয়া হবে না, যেকোনো মূল্যে এই সিদ্ধান্ত রুখে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বাদ জুমা রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা জেলা দক্ষিণের উদ্যোগে ‘ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী সব চুক্তি বাতিল এবং দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে এ হুশিয়ারি দেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারত সফরে দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে বিভিন্ন চুক্তি করা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রেল করিডোর। এটি দেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। পুলিশ বাহিনী ও সেনাবাহিনীকে ভারত ট্রেনিং দিয়ে মগজ ধোলাই করার চুক্তি করা হয়েছে। তাই রেল করিডোরসহ ১০টি অসম চুক্তি বাতিল করতে হবে। না হয় সারাদেশে দল-মত নির্বিশেষে এ ব্যাপারে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

গাজী আতাউর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় বসিয়েছে ভারত। তাই শেখ হাসিনার সরকার ভারতের স্বার্থে সবকিছু করছে। প্রধানমন্ত্রী ভারতকে সবকিছু উজাড় করে দিতে পেরেই আত্মতৃপ্ত ও খুশি। কিন্তু দেশের জন্য কিছু নিয়ে আসতে না পারাও তার জন্য ব্যর্থতা এটা বুঝতে পারছেন না। তাই এদেরকে এখনই বিদায় করে দেশপ্রেমিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। 

কোটা প্রসঙ্গে দলের মুখপাত্র বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে কোটাপ্রথা বাতিল করা হয়েছিল ২০১৮ সালে। এখন বর্তমান আদালতের উপর ছেড়ে দিয়ে পুনরায় কোটাপ্রথা বহাল করে মেধাহীন প্রশাসন তৈরি করছে। আর এরাই দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে দেউলিয়া করে দিচ্ছে।

ঢাকা জেলা দক্ষিণ সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা জহিরুল ইসলামের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদল কাইয়ূম, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফেজ এম হাছিবুল ইসলাম প্রমুখ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, বর্তমান সরকার জনগণ বর্জিত সরকার। দেশের প্রতি তাদের ন্যুনতম দায়বদ্ধতা থাকলে ভারতের সঙ্গে অসম চুক্তি করতে পারে না।

কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসূচি ঢাকা জেলা উত্তর, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর মহানগর ও জেলা, গোপালগঞ্জ, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর, ময়মনসিংহ মহানগর ও উত্তর, রাজশাহী মহানগর ও জেলা, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা, কুমিল্লা জেলা ও মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পালন করেছে দলটি। 

শফিক/এমএ/

ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী সমঝোতা প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ: গণতন্ত্র মঞ্চ

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৯:১২ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৯:১২ পিএম
ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী সমঝোতা প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ: গণতন্ত্র মঞ্চ
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে একতরফা দেশ স্বার্থ বিরোধী সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছে ৬ দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। জোটের শীর্ষ নেতারা বলেন, বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকার বিনিময় হিসেবে এইসব সমঝোতায় স্বাক্ষর করে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। 

শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে ‘ভারতের সাথে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী ও নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টিকারী সমঝোতা স্বাক্ষরের  প্রতিবাদে’ বিক্ষোভ সমাবেশ নেতারা এসব কথা বলেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন নেতাকর্মীরা। 

ভাসানী অনুসারী পরষিদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে এবং দলের সদস্য সচিব আবু ইউসুফ সেলিম পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সিনিয়র সহ সভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ। 

সমাবেশের নেতৃবৃন্দ বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে ট্রানজিটের নামে রেল করিডোর প্রদান, বন্দর ব্যবহার, যৌথ স্যাটেলাইট, সামরিক খাতে সহযোগিতাসহ সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে তা বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বা বাংলাদেশের অগ্রাধিকার নয়। এসব একপেশে ও ভারসাম্যহীন সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রের পরিচালনায় ভারতের কর্তৃত্ব আরও বাড়িয়ে তুলবে। মূলত ‘ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কি হচ্ছে’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তারা বলেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থের প্রতিনিধিত্বের সক্ষমতা হারিয়ে কেবল গদি রক্ষার স্বার্থে সবকিছুতে রাজি হচ্ছে সরকার। সেজন্যে আজ বাংলাদেশের স্বার্থ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়, সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যা বন্ধ কিংবা বিপুল বাণিজ্য ঘাটতিতে অশুল্ক বাধা দূর করার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ কোনটিই যথার্থ কোন আলোচনার বিষয় হয়ে উঠে না। 

'বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে ভারতের কোন আপত্তি নেই' পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন প্রসঙ্গে নেতৃবৃন্দ বলেন, একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের প্রধানমন্ত্রী কোন দেশ সফর করবেন, সেটা অন্য দেশের অনুমতির অপেক্ষা রাখে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্য দেশের সার্বভৌম মর্যাদার বাস্তব পরিণতি কোথায় দাঁড়িয়েছে সে গোমর ফাঁস করে দিয়েছে। ভোটবিহীন এই সরকারের কাছে বাংলাদেশের সার্বভৌম মর্যাদা যে বিপর্যস্ত সেটা আবার নতুন করে সামনে এল।

কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান ছাত্রদের আন্দোলন এবং বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানান নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে দাবি মেনে নেওয়া আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, অবৈধ সরকার যে কোন আন্দোলনে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। আন্দোলনকে বিরোধীদলের ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করা সরকারের প্রলাপ বকা ছাড়া আর কিছুই নয়।

সমাবেশে বক্তাগণ স্পষ্ট করে বলেন, বাংলাদেশ টিকে থাকতে হলে এই রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর দরকার। বিদ্যমান ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায়ের মধ্য দিয়েই বর্তমান শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন হতে হবে। আর এর প্রথম পদক্ষেপ হলো জনসম্মতিহীন অবৈধ ডামি সরকারের বিদায় ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন। নেতৃবৃন্দ স্বৈরতন্ত্র হটিয়ে সেই পথে বাংলাদেশের জনগণের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামকে বিজয়ী করতে জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণে ওলামা দলের নতুন কমিটি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৬:৩৮ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৬:৩৮ পিএম
ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণে ওলামা দলের নতুন কমিটি
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার তিনদিনের মাথায় ঘোষণা করা হয়েছে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নতুন আংশিক আহ্বায়ক কমিটি। ১১ সদস্যবিশিষ্ট এই দুই কমিটি ঘোষণা করা হয় শুক্রবার। মহানগর দক্ষিণে মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন খলিলীকে আহ্বায়ক ও মাওলানা মো. ফারুক হোসাইনকে (রুদ্র) সদস্য সচিব করা হয়েছে। আর উত্তরে হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও হাফেজ মাওলানা মো. সাইফুল ইসলামকে সদস্য সচিব ঘোষণা করা হয়েছে।  

শুক্রবার (৫ জুলাই) ওলামা দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মাওলানা কাজী মো. সেলিম রেজা এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা কাজী মোহাম্মদ আবুল হোসেন সংগঠনের মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের এই কমিটি অনুমোদন করেছেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণে নেতৃত্বে যারা

আহ্বায়ক: মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন খলিলী, সদস্য সচিব: মাওলানা মো. ফারুক হোসাইন (রুদ্র)। সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক: মাওলানা মো. শফিকুল ইসলাম সজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক: মাওলানা গাজী আবু বকর শিবলী, মাওলানা মো. মাহফুজুর রহমান, মাওলানা আবদুস সোবহান, মাওলানা মো. নুরে আলম সিদ্দিকী, মাওলানা মো. শহিদুল ইসলাম শাওন, মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেন (আলতু), মাওলানা মো. মিজানুর রহমান ও মাওলানা মো. হাবিবুর রহমান।

ঢাকা মহানগর উত্তরে নেতৃত্বে যারা 

আহ্বায়ক: হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী, সদস্য সচিব: হাফেজ মাওলানা মো. সাইফুল ইসলাম। সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক: এম এম আশরাফুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক: মাওলানা মো. হিজবুল্লাহ ফরহাদ, হাফেজ মাওলানা মো. আনিছুর রহমান, হাফেজ মাওলানা মো. নেয়ামত উল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মো. ওয়ালী উল্লাহ, হাফেজ মো. আবু লাইচ, মাওলানা মো. মিজানুর রহমান, মাওলানা মো. মোরতাজ ও মাওলানা মো. জামাল উদ্দিন চাকলাদার।

সবুজ/এমএ/