![ক্ষমতায় রাখার প্রতিদান হিসেবে ভারতকে রেল ট্রানজিট: চরমোনাই পীর](uploads/2024/07/03/Charmonai-Pir-1719999308.jpg)
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার পেছনে ভারতের অবদানের প্রতিদান হিসেবে তাদের রেল ট্রানজিট দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম চরমোনাই পীর।
বুধবার (৩ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত জাতীয় সংকট নিরসনে জাতীয় সংলাপে সূচনা বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ট্রানজিট দেওয়ার বিনিময়ে বাংলাদেশ কোনো কিছু আদায় করতে পারেনি; বরং বিনাশর্তে এমনকি প্রায় বিনা মাশুলে ট্রানজিট দিয়েছে। ট্রানজিট প্রদান আমাদের ভাবিয়ে তোলে। নিজেদের সার্বভৌমত্বের ওপরে থাকা অধিকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।’
ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আতাউর রহমান গাজীর সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবদিন, এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণ-অধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, গণফোরামের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।
চরমোনাই পীর বলেন, “বাংলাদেশ বরাবরই বিশ্ব মোড়লদের জিও পলিটিক্সের বাইরে নিরাপদ অবস্থান নিয়ে এসেছে। ইন্দো-প্যাসিফিক ইনিশিয়েটিভে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ দেশকে বিপজ্জনক ‘জিওপলিটিক্যাল’ রাজনীতিতে ফেলে দিতে পারে।”
তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান সরকারের সৃষ্ট নানাবিধ সংকটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ ভারত সফর সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে। যে চুক্তিগুলো করা হয়েছে, তাতে আওয়ামী লীগের ও বাংলাদেশের স্বার্থ দেখাতে পারছে না। কানেক্টিভিটির নামে যা করা হয়েছে, তার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায় পরিষ্কার হয়েছে; ‘বাজার-টাজার করতে যাওয়া ও ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া’ এর মূল লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী যখন সীমানাবিহীন ইউরোপের দৃষ্টান্ত দেখান তখন সীমানা ও স্বাধীনতা নিয়ে আমরা শঙ্কিত না হয়ে পারি না।’’
রেজাউল করিম বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতের পরিকল্পনাহীনতা, স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও খামখেয়ালিপনার সর্বশেষ দেখা গেল নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনার চুক্তি থেকে। ভারতের গ্রিড ব্যবহার, ভারতকে দুই ধরনের মাশুল দিয়ে আনায় বিদ্যুৎ খাতকে অনিরাপদ ও ভারত নির্ভর করবে। কম দামের যুক্তি দিয়ে বিদ্যুৎ আনা হচ্ছে, অথচ সবার আপত্তি উপেক্ষা করে দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল। কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের নামে যে যুক্তিতে, যেভাবে ও যে পরিমাণ ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হয় তাকে মগের মুল্লুক ছাড়া আর কিছু বলার নেই।’
শফিকুল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/অমিয়/