![বজ্রপাতে ৪ জেলায় ৫ জনের মৃত্যু](uploads/2024/04/17/1713324361.bajropat-photo.jpg)
দেশে বজ্রপাতে ৪ জেলায় অন্তত ৫ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে মাদারীপুরে ২ জন, নরসিংদীতে ১ জন ও ঝালকাঠিতে ১ জন ও ধামরাই উপজেলায় ১ জন মারা গেছেন।
মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় মারা গেছেন বহেরাতলা উত্তর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গজারিয়া গ্রামের আকমল ঢালীর স্ত্রী শারমিন আক্তার (৩০) এবং বাঁশকান্দি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ভাওরকান্দি এলাকার জেলাউদ্দিন মুন্সীর ছেলে মো. রাসেল মুন্সী (৩০)।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হলে বসোতারপাড় এলাকার আকমল ঢালীর স্ত্রী শারমিন আক্তার রান্নাঘর থেকে বসতঘরে যাওয়ার সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। অন্যদিকে ফসলের খেতে কাজ করার সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই বাঁশকান্দি ইউনিয়নের শেখপুর এলাকার মো. রাশেদ মুন্সী নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়।
এদিকে নরসিংদীর রায়পুরায় ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে মো. জাকির আলী (৪০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি মনোহরদী উপজেলার হাতিরদিয়া এলাকার আলীম উদ্দিনের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করে মরজাল ইউপি সদস্য সাব্বির আহমেদ তুহিন বলেন, জাকির আলী রাস্তার পাশে বসা ছিলেন। এ সময় ঝড়-বৃষ্টির সময় হঠাৎ বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে বারৈচা বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক জেলা হাসপাতালে পাঠায়। জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ঝড়ের সময় মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মো. শিহাব জমাদ্দার নামে এক যুবক মারা গেছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার পাটিখালঘাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কাঁঠালিয়া থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার জানান, শিহাব ঝড়ো বাতাসের সময় মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ছাড়া ঢাকার ধামরাইয়ে মাছ ধরতে গিয়ে আবুল কাশেম (৪৬) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উপজেলার সূতিপাড়া ইউনিয়নের নওগাঁও কিশোরী নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবুল কাশেম মো. সমেজ উদ্দিনের ছেলে।
সাবেক ইউপি মেম্বার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আবুল কাশেম মাছ ধরার জন্য কিশোরী নগর এলাকায় পুকুর সেচতে গিয়েছিলেন। সেখানেই বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।