ঢাকা ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

বজ্রপাতে ৪ জেলায় ৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৬ এএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৬ এএম
বজ্রপাতে ৪ জেলায় ৫ জনের মৃত্যু

দেশে বজ্রপাতে ৪ জেলায় অন্তত ৫ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে মাদারীপুরে ২ জন, নরসিংদীতে ১ জন ও ঝালকাঠিতে ১ জন ও ধামরাই উপজেলায় ১ জন মারা গেছেন। 

মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় মারা গেছেন বহেরাতলা উত্তর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গজারিয়া গ্রামের আকমল ঢালীর স্ত্রী শারমিন আক্তার (৩০) এবং বাঁশকান্দি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ভাওরকান্দি এলাকার জেলাউদ্দিন মুন্সীর ছেলে মো. রাসেল মুন্সী (৩০)।

 স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হলে বসোতারপাড় এলাকার আকমল ঢালীর স্ত্রী শারমিন আক্তার রান্নাঘর থেকে বসতঘরে যাওয়ার সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। অন্যদিকে ফসলের খেতে কাজ করার সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই বাঁশকান্দি ইউনিয়নের শেখপুর এলাকার মো. রাশেদ মুন্সী নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়।

এদিকে নরসিংদীর রায়পুরায় ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে মো. জাকির আলী (৪০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি মনোহরদী উপজেলার হাতিরদিয়া এলাকার আলীম উদ্দিনের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করে মরজাল ইউপি সদস্য সাব্বির আহমেদ তুহিন বলেন, জাকির আলী রাস্তার পাশে বসা ছিলেন। এ সময় ঝড়-বৃষ্টির সময় হঠাৎ বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে বারৈচা বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক জেলা হাসপাতালে পাঠায়। জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ঝড়ের সময় মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মো. শিহাব জমাদ্দার নামে এক যুবক মারা গেছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার পাটিখালঘাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কাঁঠালিয়া থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার জানান, শিহাব ঝড়ো বাতাসের সময় মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ছাড়া ঢাকার ধামরাইয়ে মাছ ধরতে গিয়ে আবুল কাশেম (৪৬) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উপজেলার সূতিপাড়া ইউনিয়নের নওগাঁও কিশোরী নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবুল কাশেম মো. সমেজ উদ্দিনের ছেলে। 

সাবেক ইউপি মেম্বার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আবুল কাশেম মাছ ধরার জন্য কিশোরী নগর এলাকায় পুকুর সেচতে গিয়েছিলেন। সেখানেই বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্কুল খোলার প্রথম দিনে শ্রেণিকক্ষে মিলল অজগর

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম
স্কুল খোলার প্রথম দিনে শ্রেণিকক্ষে মিলল অজগর
ছবি: খবরের কাগজ

রাজশাহীতে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন টানা ২০ দিনের ছুটি শেষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খোলার প্রথম দিনে শ্রেণিকক্ষে দেখা মিলেছে ইন্ডিয়ান পাইথনের। 

বুধবার (৩ জুন) সকালে বাগমারা উপজেলার মোহনগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির কক্ষ থেকে সাপটি দেখতে পায় শিক্ষকরা। পরে স্থানীয়রা সাপটিকে মেরে ফেলে।

জানা গেছে, মোহনগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বারনই নদীর তীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত। নদীতে ভেসে এসে এখানে আশ্রয় নেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। সকালে শ্রেণিকক্ষের তালা খুলে সাপটির দেখা মেলে। এর ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সাপ ও সরীসৃপ বিশেষজ্ঞ বোরহান বিশ্বাস রোমান বলেন, সাপটির ছবি দেখে বিরল ইন্ডিয়ান রক পাইথন মনে হচ্ছে। সাপটি মেরে ফেলা হলেও আমাদের গবেষণার কাজে লাগবে। তাই আমরা ওই বিদ্যালয়ে যাচ্ছি। সাপটি হাতে পেলে তার পরিচিতি নিশ্চিত হতে পারব।

তিনি আরও বলেন, বিরল প্রজাতির হওয়ায় ইন্ডিয়ান রক পাইথন সাধারণত দেখা যায় না। তবে এটি বাগমারায় কীভাবে আসলো সেটি বলা যাচ্ছে না।

মোহনগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনিকুজ্জামান মানিক খবরের কাগজকে বলেন, দীর্ঘ ছুটি শেষে বুধবার বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়। সকাল ৯টার দিকে স্কুলের পিয়ন রয়েল কারিগর শ্রেণিকক্ষের দরজা খুলে দেন। এরপর শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্লাসে গিয়ে বসে। পঞ্চম শ্রেণির কক্ষে হঠাৎ এক ছাত্র সাপটি দেখতে পায়। এতে আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা চিৎকার দিয়ে বাইরে বের হয়ে আসে। পরে স্থানীয়রা এসে সাপটি মেরে ফেলে।

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সাপ বিষয়ে সতর্ক থাকতে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বলা হবে। 

এনায়েত করিম/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

সিরাজগঞ্জে দ্রুত বাড়ছে যমুনার পানি, বন্যার আশঙ্কা

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫১ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম
সিরাজগঞ্জে দ্রুত বাড়ছে যমুনার পানি, বন্যার আশঙ্কা
সিরাজগঞ্জে নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করার সম্ভবনা রয়েছে। ছবি :খবরের কাগজ

সিরাজগঞ্জে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতে বেড়েই চলেছে যমুনা নদীর পানি। সেই সঙ্গে বাড়ছে অন্য নদ-নদীর পানিও। মাত্র দুদিনের ব্যবধানে যমুনার পানি কাজিপুর পয়েন্টে ৮০ সেন্টিমিটার ও সদর হার্ডপয়েন্টে ৭৬ সেন্টিমিটার বেড়েছে।

এদিকে যমুনার পানি বেড়ে যাওয়ায় সদর, কাজীপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুরে এই পাঁচটি উপজেলার চরাঞ্চলের গ্রামগুলোর ফসলি জমি প্লাবিত হতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল। ফলে চরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে বন্যাতঙ্ক বিরাজ করছে।

বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ৬টায় সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্টে যমুনার পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪৪ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ সেন্টিমিটার বেড়ে তা বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) এই পয়েন্টে যমুনার পানি বেড়েছে ৩৪ সেন্টিমিটার। দুদিনে বেড়েছে ৭৬ সেন্টিমিটার।

অন্যদিকে, কাজীপুর মেঘাই পয়েন্টে পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ১০ মিটার। এ পয়েন্টে নদীর পানি ২৪ ঘণ্টায় ৪০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার নিচ প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবারও ৪০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। আর দুদিনে বেড়েছে ৮০ সেন্টিমিটার।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, গত মাসের ৩ জুন থেকে অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়তে থাকে যমুনায়। এক সপ্তাহ পরই পানি কমতে শুরু করে। এরপর ১৮ জুন থেকে ফের বাড়তে থাকে যমুনার পানি। পাঁচ দিন বাড়ার পর পানি কমতে শুরু করে। ২৭ জুন স্থিতিশীল থাকার পর ২৮ জুন আবারও পানি বেড়েছে। ২৯ জুন আবার স্থিতিশীল হয়ে ৩০ জুন সামান্য কিছুটা কমে যমুনার পানি। 

এরপর ১ জুলাই থেকে আবারও যমুনার পানি বাড়তে থাকে, যা অব্যাহত থাকবে। সেক্ষেত্রে বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, ‘আরও কয়েকদিন যমুনা নদীর পানি বাড়বে। এতে বিপৎসীমা অতিক্রম করে ছোট থেকে মাঝারি বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। শাহজাদপুর উপজেলায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন রোধে ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও-টিউব ফেলা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নিয়েছে।’

সিরাজুল ইসলাম/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

মৌলভীবাজারে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বন্যার শঙ্কা

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৭ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৭ পিএম
মৌলভীবাজারে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বন্যার শঙ্কা
ছবি: খবরের কাগজ

মৌলভীবাজারে কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে আবারও নদ-নদীর পানি বাড়ছে। ফলে বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

বুধবার (৩ জুলাই) ভোরে জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলায় মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গেল দুদিন থেকে উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার মনু নদ, ধলই, জুড়ী ও কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়েছে।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর ১২টায় মনু নদের চাঁদনীঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার, জুড়ী নদীতে ১৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ধলই নদী রেলওয়ে ব্রিজে পানি ১৬৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে কমলগঞ্জের ইসলামপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এখানকার কয়েকটি স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছে।

স্থানীয়রা জানান, ইসলামপুর এলাকার প্রতিরক্ষা বাঁধের চার-পাঁচটি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ। এর আগেও নদীর বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে বন্যা হয়। এতে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিরক্ষা বাঁধের যেকোনো স্থান ভেঙে যেতে পারে। পাশাপাশি আগের বাঁধগুলোয় এখনো কাজ হয়নি। যদি পানি বাড়তে থাকে, তা হলে আগের বাঁধগুলোতে পানি ঢুকবে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল খবরের কাগজকে জানান, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় মনু, ধলই ও জুড়ী নদীর পানি বাড়ছে। ঝুঁকিপূর্ণ তীররক্ষা ও বাঁধের ভাঙন মেরামতে কাজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন স্থানের ভাঙা মেরামতের জন্য বালুভর্তি সিনথেটিকের বস্তা পাঠানো হয়েছে। জেলার নদ-নদীর পানি প্রবাহের দিকে নজর রাখা হচ্ছে।

পুলক পুরকায়স্থ/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

দামুড়হুদায় ২ আলমসাধুর সংঘর্ষে চালক নিহত

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৩ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫২ পিএম
দামুড়হুদায় ২ আলমসাধুর সংঘর্ষে চালক নিহত
ছবি : খবরের কাগজ

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় জয়রামপুরে শ্যালোইঞ্জিন চালিত দুটি আলমসাধুর মুখোমুখি সংঘর্ষে উজ্জল হোসেন (২৮) নামে এক চালক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অপর চালক ইব্রাহিম আলী (৪০)।

বুধবার (৩ জুলাই) সকালে চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা আঞ্চলিক সড়কের এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত উজ্জল হোসেন উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আমির আলীর ছেলে। আহত ইব্রাহিম হোসেন একই উপজেলার ভালাইপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে।

দামুড়হুদা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিয়াজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সদরের জয়রামপুর চৌধুরীপাড়ায় দুই আলমসাধুর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই চালকই আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের নিয়ে গেলে উজ্জ্বল হোসেনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাপলা খাতুন বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই উজ্জ্বল হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ইব্রাহিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তির রাখা হয়েছে।

আফজালুল হক/জোবাইদা/অমিয়/

লালমনিরহাটে তিস্তা-ধরলার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম
লালমনিরহাটে তিস্তা-ধরলার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী উত্তরাঞ্চলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারী এবং ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

বুধবার (৩ জুলাই) পাউবোর তথ্য অনুযায়ী, লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানির সমতল ৫১ দশমিক ৯৩ মিটার (বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার), যা বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে কাউনিয়া পয়েন্টে পানির সমতল ২৯ দশমিক ৩ মিটার (বিপৎসীমা ২৯ দশমিক ৩১ মিটার), যা বিপৎসীমার ২৮ সেন্টেমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্যদিকে ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে পানি সমতল ৩০ দশমিক ৭৭ মিটার (বিপৎসীমা ৩১ দশমিক ৯ মিটার), যা বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটারের নিচে প্রবাহিত হচ্ছে।

ভারী বা মাঝারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে ঢল নেমে এলে এসব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বৃষ্টি হলে নদীর পানি বাড়বে। আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি।

এমআই বকুল/জোবাইদা/অমিয়/