![রিমালে হাতিয়ায় ৩০ হাজার পরিবার ক্ষতির শিকার](uploads/2024/05/28/Hatiya-1716872175.jpg)
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের নয়টি গ্রামসহ ১৬টি গ্রাম এবং কয়েকটি চর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের প্রধান সড়ক ও বাজার এবং চর গাসিয়া, ঢাল চর, দমার চরসহ বেশ কয়েকটি চরের রাস্তাঘাট ও দোকানপাট প্লাবিত রয়েছে।
রবিবার (২৬ মে) রাতে নিঝুম দ্বীপের পুরো এলাকা ৫ থেকে ৭ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়ে যায়। বেড়িবাঁধ না থাকায় অস্বাভাবিক সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস হয়েছে দ্বীপজুড়ে।
জোয়ার ও বাতাসে অধিকাংশ কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় নিঝুম দ্বীপের প্রায় ১০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমাল উপকূল অতিক্রম করলেও সোমবার ভোর রাত থেকে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। এতে হাতিয়ার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গত তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে হাতিয়ার সঙ্গে নৌ-যোগাযোগ।
হাতিয়া আবহাওয়া অফিসসূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়াও বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪৮ নটিকেল মাইল।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, ‘দ্বিতীয় দিনেও জোয়ারের পানিতে অনেকগুলো ওয়ার্ডের ২০ হাজার মানুষের বসতঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রান্না করা খুবই কষ্টের হয়ে পড়েছে। ফলে অনেককেই অর্ধাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে।’
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশীষ চাকমা জানান, জোয়ার ও বৃষ্টিতে হাতিয়ায় এখন পর্যন্ত আট হাজার হেক্টর জমির বোরো ও রবি ফসল নষ্ট হয়েছে। ৩০ হাজার পরিবার ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।
হানিফ উদ্দিন/ইসরাত চৈতী/অমিয়/