![রাঙামাটিতে পাহাড়ি ঢলে ৮ গ্রাম প্লাবিত, পাহাড়ধসে যান চলাচল বন্ধ](uploads/2024/05/29/rangamati111-1716955878.jpg)
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গত তিন দিন ধরে রাঙামাটিতে থেমে থেমে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির নিম্নাঞ্চলের ৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। এ ছাড়া মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কে পাহাড়ধসে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সড়ক যোগাযোগ সচল করতে কাজ করছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল থেকে কাচালং নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে বাঘাইছড়ি উপজেলা সদর, বারবিন্দু ঘাট, মাস্টারপাড়া, পশ্চিম মুসলিম ব্লক, লাইল্যা ঘোনা, এফ ব্লক, রূপকারী ও পুরাতন মারিশ্যা গ্রাম প্লাবিত হতে শুরু করে। এর আগে গত সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ায় এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। মোবাইল নেটওয়ার্ক সংযোগেও বিঘ্ন ঘটে।
এদিকে টানা পাহাড়ি বৃষ্টিতে বাঘাইছড়ি-দীঘিনালা সড়কের পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বাঘাইছড়ি থেকে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি। সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আহম্মেদ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যেভাবে পাহাড়ি ঢলের পানি আসতে শুরু করছে তাতে বাঘাইছড়ির নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। বিশেষ করে গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি, বয়স্ক ও রোগীদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।
রাঙামাটি আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার ক্যচিংনু মারমা বলেন, গত ২৭ মে সকাল ৬টা থেকে ২৮ মে সকাল ৬ পর্যন্ত ১৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড কর হয়েছে। আজও (বুধবার) মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে পাহাড়ধসের শঙ্কাও রয়েছে। সেজন্য আগে থেকেই পাহাড়ধসের সতকর্তা জারি করা হয়েছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার বলেন, ‘সরেজমিনে বেশ কিছু এলাকা ঘুরে এসেছি। পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক আছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী মজুত আছে।’
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা রয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা আছে। যে কেউ চাইলে কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করতে পারবেন। ইতোমধ্যে জেলায় ২৬৭টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা দুর্যোগ কমিটির কাছে ২৫০ টন চাল, নগদ ১৫ লাখ টাকা, ৫০০ বান্ডিল ঢেউ টিন, ৩০০টি কম্বল ও ২০০ তাঁবু মজুত রয়েছে।’