![রিমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনে মৃত প্রাণীর সংখ্যা বেড়ে ১৩৪](uploads/2024/06/03/sunderbon-111-1717391321.jpg)
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড সুন্দরবনে বন্যপ্রাণীর মৃতদেহের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
রবিবার (২ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত সুন্দরবনের অভ্যন্তরসহ বিভিন্ন নদ-নদী ও চর থেকে ১৩৪টি বন্যপ্রাণীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বনরক্ষীরা।
উদ্ধার করা মৃত এসব বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েছে ১৩০টি হরিণ ও চারটি শূকর। সুন্দরবনে একটানা ৩৬ ঘণ্টার অধিক সময় ধরে চলা এই ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে মারা যাওয়া এসব বন্যপ্রাণী উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বনরক্ষীরা।
উদ্ধার করা এসব বন্যপ্রাণীর দেহ বনের মধ্যে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো জানান, সুন্দরবনে ৩৬ ঘণ্টার অধিক সময় ধরে তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এ সময় ছয় থেকে আট ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় সুন্দরবন। দীর্ঘ সময় ধরে সুন্দরবনর জলমগ্ন থাকায় বন্যপ্রাণীর হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে বন্যপ্রাণীর মৃত্যু বেশি হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় শেষ হওয়ার পর গত পাঁচ দিনে সুন্দরবনের কটকা, কচিখালী, দুবলা, ডিমের চর, পক্ষীর চর, শেলার চর, নীল কমল, নারিকেলবাড়িয়া ও জ্ঞানপাড়াসহ বনের বিভিন্ন এলাকা থেকে এই মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ১৮টি হরিণ ও একটি অজগর। এগুলোকে চিকিৎসা দিয়ে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। বনের অভ্যন্তরে মৃত প্রাণীর সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তাছাড়া প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে অনেক বন্যপ্রাণী ভেসে গেছে।
মিহির কুমার দো আরও জানান, মাছ আহরণে বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকায় সাগরে ভেসে যাওয়া ও গহীন অরণ্যে মরে থাকা প্রাণী উদ্ধার সম্ভব হবে না। সে কারণে মারা যাওয়া প্রাণীর সঠিক হিসাব পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
রিফাত আল-মাহামুদ/জোবাইদা/অমিয়/