নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের কামরায় জানালার পাশে দাঁড়ানো নিয়ে এক যাত্রীর কিলঘুষিতে অপর যাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা মেইলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যাত্রী ঝুমুর কান্তি বাউল ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালেও তিনি ঢাকায় যাচ্ছিলেন।
এ ঘটনায় মনজুরুল ইসলাম (৫৫) নামে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করেছে কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশ।
বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ হিরু জানান, নিহত ঝুমুর কান্তি বাউল নরসিংদী পৌর শহরের ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার মৃত প্রদীপ কুমার বাউলের ছেলে। তার মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ট্রেনযাত্রীরা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী ঢাকা মেইল ট্রেনটি ছেড়ে আসে। পরে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ২৫ মিনিটের দিকে ট্রেনটি নরসিংদী রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। এ সময় ঝুমুর কান্তি বাউল নরসিংদী থেকে ট্রেনের পিছনে বগিতে ওঠেন। ট্রেনে উঠে তিনি জানালার পাশে দাঁড়াতে চাইলে সিটে থাকা মনজুর নামে আরেক যাত্রী তাকে সেখানে দাঁড়াতে বাধা দেয়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সিটে বসা মনজুর ঝুমুর বাউলকে জানালার পাশ থেকে সরিয়ে দিতে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। ঝুমুর বাউল উঠে দাঁড়িয়ে ধাক্কা মারলে সে কথা জানতে চাইলে মনজুর ক্ষেপে গিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন ঝুমুর বাউল।
পরে অন্য যাত্রীরা তাকে উদ্ধার করে ট্রেন থেকে নামিয়ে দিলে রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকজন তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ট্রেনটি সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে নরসিংদী রেলস্টেশন ছেড়ে এলে অভিযুক্ত যাত্রীও সেই ট্রেনে চড়ে কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছায়। এর আগেই যাত্রীরা বিভিন্ন গ্রুপে অভিযুক্ত ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করলে তা কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশের নজরে আসে। পরে ট্রেনের ভেতর থেকে সকাল সাড়ে ৮টায় তাকে গ্রেপ্তার করে রেলওয়ে পুলিশ।
নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার এটিএম মূছা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
শাওন খন্দকার/ইসরাত চৈতী/অমিয়/
