![হবিগঞ্জে বাঁধে ভাঙন, বিপৎসীমার ওপরে নদীর পানি](uploads/2024/06/19/Habiganj-1718805179.jpg)
হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠায় শহরের জালালাবাদ এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। তবে এটি অস্থায়ী বাঁধ হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পান সাধারণ মানুষ।
বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে শহরতলীর জালালাবাদ এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে ভারতের আসামে বৃষ্টিপাত কমে আসায় উজানেও পানি কমতে শুরু করেছে। তবে জেলার খোয়াই ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৮ জুন) দিনব্যাপী ভারতের ত্রিপুরা ও আসামে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে খোয়াই নদীর পানি বাড়তে থাকে। সকাল ৯টায় নদীর পানি চুনারুঘাটের বাল্লা পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩১ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে যায়। এ ছাড়া শহরের মাছুলিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে।
তবে আজ ভারতে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কমতে থাকে পানি। বেলা ১২টায় বাল্লা পয়েন্টে পানি কমে বিপৎসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইতে থাকে। তবে প্রবল বেগে পানি নামতে থাকায় চাপ পড়ে শহর এলাকায়। শহর অংশে ২০ সেন্টিমিটার বেড়ে ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ সময় জালালাবাদ অংশে নদী প্রতিরক্ষা বাঁধের কিছু অংশে ভাঙন দেখা দেয়। তবে এটি অস্থায়ী বাঁধ হওয়ায় ধীর গতিতে হাওরে পানি প্রবেশ করে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, ‘নদীর অস্থায়ী বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। উজানে পানি কমে আসছে, তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা যত দ্রুত সম্ভব এই বাঁধটি মেরামত করে ফেলব।পানি
তিনি আরও বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টায় নদীর পানি বাল্লা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং শহর অংশে ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এখন ধীরে ধীরে পানি নেমে যাচ্ছে।’
এদিকে, অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে কুশিয়ারা নদীর পানি। সকাল ৯টায় কুশিয়ারা নদী শেরপুর পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার, মার্কুলীতে ২১ সেন্টিমিটার এবং আজমিরীগঞ্জে ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিকেলে নদীর পানি বেড়ে শেরপুর পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার, মার্কুলীতে ৩২ সেন্টিমিটার এবং আজমিরীগঞ্জে ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে ভাটির জনপদে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
জেলা প্রশাসক জিলুফা সুলতানা জানান, বন্যা মোকাবিলায় জেলার ৯টি উপজেলায় ৮৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ৪২০ মেট্রিক টন চাল, ৭৮ বান্ডিল টিন ও ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বরাদ্দ হিসেবে রয়েছে।
কাজল সরকার/সালমান/