![গাইবান্ধায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে](uploads/2024/06/20/Gaibandha-flood-1718859355.jpg)
থেমে থেমে বৃষ্টি ও উজানের ঢলে গাইবান্ধার সব নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এ ছাড়া জেলার ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বাড়তে থাকলেও এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) গাইবান্ধা পাউবোর নিয়ন্ত্রণকক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলাসংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি ৩৬ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ ঘাট পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৩৭ সেন্টিমিটার, করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল ৯টা পর্যন্ত এ হিসাব করা হয়েছে। তা ছাড়া জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক মোবাইল ফোনে বলেন, উজানের ঢলে ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর পানি বেড়েছে। তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। তবে করতোয়া, ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার অনেক নিচে। পানি বাড়তে থাকলে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, হরিপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে ঢুকতে শুরু করেছে। হাজারো মানুষ চরাঞ্চলে পানিবন্দি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
নদীর পানি বাড়ার কারণে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, ঘাগোয়া, ফুলছড়ি উপজেলার এরান্ডাবাড়ি, ফজলুপুরের নিম্নাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বেলকা ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ গ্রামের আমজাদ আলী বলেন, নিচু চরগুলোতে পানি ঢুকেছে। এখনো অনেক চরে পাট, বাদাম, মরিচসহ কৃষিপণ্য রয়েছে। যদিও বাদাম ও মরিচ প্রায় মাড়াই শেষ। তবে পাট রয়েছে গেছে।
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পূর্বপ্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমরা সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি।
রফিক খন্দকার/অমিয়/