![মৌলভীবাজারে পানি কমলেও হাওরাঞ্চলে ধীরগতি](uploads/2024/06/25/flood2-1719308559.jpg)
মৌলভীবাজারে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সদরের বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও হাওরাঞ্চলে পানি কমছে ধীরগতিতে। জেলার সাতটি উপজেলার প্রায় তিন লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দি।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে বড়লেখা উপজেলার হাকালুকি হাওরপাড়ের গ্রামগুলোতে দেখা যায়, বাড়িঘর তলিয়ে আছে পানিতে। ছোট-বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে এসব বাড়িতে।
বড়লেখার তালিমপুর ইউনিয়নের হাকালুকি হাওরপাড়ের মুর্শিবাদকুরা, বড় ময়দান, দুর্গাই, শ্রীরামপুরসহ বেশিরভাগ এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বন্যায় হাওরপাড়ের বাসিন্দারা ঢেউয়ের আতঙ্কে থাকেন বেশি। ঝড়ের সময় বাতাস হলে কিংবা হাওরে ইঞ্জিনের নৌকা চলাচলের সময় হাওরে ঢেউ সৃষ্টি হয়। তখন ভিটা রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে। বাড়িতে থাকতে না পেরে কেউ চলে গেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে কেউবা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে। তবে ঝুঁকি জেনেও পানির মধ্যেই রয়ে গেছেন বেশিরভাগ মানুষ।
হাকালুকি হাওরপাড়ের মানুষ ক্ষোভ ও আক্ষেপ করে বলেন, যারা আশ্রয়কেন্দ্রে গেছেন, তারা সহায়তা পাচ্ছেন। তবে যারা বাড়িতে আছি, কেউই সহযোগিতা পাচ্ছি না।
তারা জানান, জরুরি প্রয়োজনে যারা ঘরের বাইরে গেছেন সবারই আসা-যাওয়ার পথ ও ঘরে পানি। প্রতিবার বন্যায় তাদের ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবারও হয়েছে। তবে কোনো সরকারি সাহায্য পাননি কখনও।
মুর্শিবাদকুরা গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ্ব আছমা বেগম পানিবন্দী জীবনযাপন করছেন। তিনি আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি।
আছমা বেগম বলেন, গরু-বাছুর আছে ছয়টা। তাদের নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে থাকা খুব কষ্ট।
শ্রীরামপুর এলাকার জেলে সাহেদ মিয়া বলেন, ‘মাছ ধরে কোনোভাবে সংসার চালাই। ঘর ভাঙলে আমাদের জন্য ঠিক করা কত কষ্টের, তা গরীব মানুষ ছাড়া আর কেউ বুঝবে না।’
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজরাতুন নাঈম খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। কোনো পানিবন্দি মানুষ যেন ত্রাণসামগ্রী থেকে বাদ না পড়ে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে।’
পুলক পুরকায়স্থ/পপি/অমিয়/