![৩ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, সিলেটে আবারও বন্যা আতঙ্ক](uploads/2024/07/01/Sylhet_River-1719831153.jpg)
ভারতের চেরাপুঞ্জি ও সিলেটে চলমান বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার সব নদ-নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে তিন নদীর চার পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এতে জেলায় তৃতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের তথ্যমতে, সোমবার (১ জুলাই) সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশিদ পয়েন্ট বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় (রবিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার। আজ সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৬৫ মিলিমিটার। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৭ মিলিমিটার এবং বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় (রবিবার সকাল ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৩১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গত শনিবার সকাল ৯টা থেকে রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৮৬ মিলিমিটার এবং গত শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত চেরাপুঞ্জিতে ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। ফলে সিলেটের সবকটি নদ-নদীর পানি আবারও দ্রুতগতিতে বাড়তে শুরু করে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন জানান, দেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় সিলেটে গতকাল বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। ভারী বর্ষণের কারণে সিলেটের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে বৃষ্টিপাতের কারণে পানি বেড়ে যাওয়ায় বন্যা আতঙ্কে দিনযাপন করছে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ। দ্বিতীয় দফা বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর বাড়িতে ফিরেছিলেন তারা। কিন্তু তৃতীয় দফা বন্যার আশঙ্কায় বাড়ি ছাড়ার আতঙ্কে আছেন।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস খবরের কাগজকে বলেন, ‘ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের কারণে আমাদের নদীগুলোতে ঢলের পরিমাণ বেড়েছে। এ ছাড়া সিলেটে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তাই নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। ইতোমধ্যে জেলার তিনটি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। তাই সবাইকে সর্তক থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবারের বন্যা আমাদের জন্য বিপজ্জনক হবে। কারণ নিম্নাঞ্চলে পানি নামার জায়গা নেই। দুই দফা বন্যায় সব হাওর-বাওর ও নদী ইতোমধ্যে পানিতে ভরে গেছে।’
শাকিলা ববি/সালমান/