ঢাকা ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

আখরোট খাওয়ার ১৩ উপকারিতা

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১১ পিএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৮ পিএম
আখরোট খাওয়ার ১৩ উপকারিতা
আখরোটের উপকারিতা অনেক

স্বাস্থ্য উপাদানের কথা চিন্তা করলে বাদাম জাতীয় খাবার, অন্য সকল ড্রাই ফুডের চেয়ে উন্নত এবং অধিক পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ। কারণ বাদাম জাতীয় খাবারে একাধারে ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট এবং শর্করা থেকে শুরু করে অন্যান্য আরো অনেক উপকারী পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। প্রকৃতিতে পাওয়া যায় এমন অনেক বাদামের মধ্যে আখরোট অন্যতম যা ওয়ালনাট হিসেবেও পরিচিত। 

 

আখরোট খাওয়ার উপকারিতা

আখরোট খাওয়ার নানামুখী উপকারিতা রয়েছে। নিচে বিস্তারিতভাবে উপকারিতাগুলো আলোচনা করা হয়েছে।

 

ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমায়

আখরোট রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষ করে রক্তে থাকা ক্ষতিকর শর্করা প্রতিরোধ করে এবং রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। যেহেতু রক্তে থাকা শর্করা ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ সেহেতু আখরোট পরোক্ষভাবে এর ঝুঁকি কমায়। অর্থাৎ নিয়মিত ওয়ালনাট খেলে তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি তা প্রতিরোধ করে।

 

ওজন কমায়

আখরোটে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাট থাকার কারণে অনেকেই মনে করে এটি খেলে ওজন বৃদ্ধি পাবে। তবে এতে থাকা ওমেগা-৩, প্রোটিন ও ফাইবার দেহের পুষ্টি উপাদান নিয়ন্ত্রণ করে ওজন ঠিক রাখে। তবে কখনোই আখরোট বেশি খাওয়া যাবে না। কারণ এতে দেহে অতিরিক্ত ফ্যাট জমা হবে যা স্থূলতা বৃদ্ধি করে।

 

আখরোট গাছ

 

 

হৃদরোগ প্রতিরোধ করে

হৃদরোগের জন্য সব থেকে বেশি দায়ী হল ক্ষতিকর কোলেস্টরেল, ফ্যাট এবং রক্তে থাকা শর্করা। এগুলো প্রতিরোধ করার জন্য আখরোট অনেক ভালো কাজ করে। কারণ আখরোটে আছে ওমেগা-৩, ভিটামিন, ফাইবার, এন্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি উপাদান। এগুলো দেহের সকল পুষ্টিগুণ স্বাভাবিক রাখে এবং রক্ত চলাচল বাধামুক্ত রাখে। এতে হৃৎপিণ্ড সচল থাকে এবং এর পারিপার্শ্বিক পেশীগুলো কর্মক্ষম থাকে। এই কারণে সম্ভাব্য হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ হয়।

 

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে

দেহের কর্মক্ষমতা স্বাভাবিক রাখার জন্য কোলেস্টেরেলের প্রয়োজন হয়। তবে ক্ষতিকারক এলডিএল কোলেস্টরেল উপকারের থেকে ক্ষতি বেশি করে। বিশেষ করে হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করার জন্য এই এলডিএল কোলেস্টরেল দায়ী। নিয়মিত আখরোট বা ওয়ালনাট খেলে তা রক্তে থাকা এই ক্ষতিকারক উপাদান দূর করে এবং শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমার সাথে সাথে অন্যান্য সমস্যা নির্মূল হয়।

 

শিশুদের বিকাশে সাহায্য করে

শিশুর শারীরিক ও মানুষিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য যে যে স্বাস্থ্য উপাদান প্রয়োজন তার প্রায় সব গুলই আখরোটে পাওয়া যায়। বিশেষ করে ওমেগা-৩, ভিটামিন, খনিজ, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি উপাদান, যা শিশুর শরীর সুগঠিত হতে সাহায্য করে। এতে শিশুর অপুষ্টি সমস্যার সমাধান হয়। এ সকল দিক বিবেচনা করে দেখা যায় প্রকৃতি থেকে পাওয়া আখরোট শিশুর স্বাস্থ্য বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।

 

আখরোটে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড

 

 

মস্তিষ্ক ভালো রাখে

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডকে একটি সর্বজনীন উপকারী পুষ্টি উপাদান বলা হয়। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড প্রাকৃতিক ভাবে পাওয়া যায় এমন খাবারের মধ্যে আখরোট অন্যতম। অন্যদিকে ওমেগা থ্রি এন্টিঅক্সিডেন্ট বৃদ্ধি করার পাশাপাশি মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। অর্থাৎ নিয়মিত আখরোট খেলে তা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

 

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

আখরোটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, পলিফেনলস এবং ইউরোলিথিন থাকে যাদের ক্যানসার প্রতিরোধী উপাদান বলে। এই কারণে বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়, নিয়মিত আখরোট খেতে কারণ এতে থাকা পুষ্টি উপাদান সব ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। বিশেষ করে স্তন, প্রটেস্ট এবং কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করার প্রয়োজনীয় উপাদান ওয়ালনাটে বিদ্যমান।

 

হাড় শক্ত করে

আখরোটে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে। হাড় শক্ত ও মজবুত করার জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন পরে। নিয়মিত আখরোট খেলে তা শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে যা অস্থিমজ্জা শক্তিশালী করার পাশাপাশি হাড়ের গঠন সুগঠিত করে।

 

শুক্রাণুর মান বৃদ্ধি করে

বীর্যে স্বাস্থ্যবান শুক্রাণু না থাকলে তা থেকে সন্তান উৎপাদন হয় না। প্রাকৃতিক উপায়ে শুক্রাণুর মান বৃদ্ধি করার যে যে খাবার আছে আখরোট তাদের মধ্যে অন্যতম। নিয়মিত মধুর সাথে আখরোট মিশিয়ে খেলে তা যৌন স্বাস্থ্য উন্নত করার সাথে সাথে শুক্রাণুর মান বৃদ্ধি করে।

 

চুলের উপকার করে

চুলের জন্য উপকারী উপাদান যেমন পটাশিয়াম, ওমেগা থ্রি, ওমেগা সিক্স ও ওমেগা নাইন ইত্যাদি আখরোটে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। এই কারণে নিয়মিত আখরোট খেলে তা চুল শক্ত করে, উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, চুলের গোঁড়া মজবুত করে। এতে চুল হয় ঘন, কালো, লম্বা এবং স্বাস্থ্য উজ্জ্বল।

 

আখরোট চুলের জন্য উপকারী

 

 

ভালো ঘুমের সহায়ক

ভালো ঘুমের জন্য প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন এই আখরোট। আখরোটে থাকা মেলাটোনিল, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, আমাদের রক্ত চাপ কমাতে এবং স্ট্রেস উপশম করতে সাহায্য করে। যা ভালো ঘুমের সহায়ক।

 

গর্ভাবস্থায় উপকারী

আমরা জানি আখরোটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি, ফোলেট, রাইবোফ্লাভিন, থিয়ামিন এবং ফলিক অ্যাসিড থাকে যা গর্ভবতী মা এবং অনাগত সন্তানের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ আখরোট খেলে তা গর্ভাবস্থায় উপকারী হিসেবে কাজ করে।

 

ডার্ক সার্কল দূর করে

আমরা জানি ডার্ক সার্কেল তৈরি হয় অনিদ্রা, দুশ্চিন্তার কারণে। নিয়মিত আখরোট খেলে তা মানষিক অবসাদ দূর করে। এতে স্ট্রেস দূর হয় এবং স্বাস্থ্যসম্মত ঘুম হয়। অন্যদিকে এতে থাকা ফাইবার, আলফা লাইনলেনিক অ্যাসিড এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট চোখের নিচে ফোলাভাব দূর করে এবং চেহারার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

 

মেহেদী

সুপার ফুড কলার ১৮ উপকারিতা সম্পর্কে জানেন?

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৮ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৪ পিএম
সুপার ফুড কলার ১৮ উপকারিতা সম্পর্কে জানেন?
কলাতে থাকা ফাইবার হজমশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করে

কলা এমন একটি ফল, যা সারা বছরই পাওয়া যায়। ছোট-বড় সবাই কলা খেতে পছন্দ করে। ফলটি নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল বলা হয়। একটি জরিপে দেখা গেছে, সকালের নাশতায় সবচেয়ে বেশি খাওয়া খাবারের মধ্যে ডিমের পরই কলার অবস্থান। আমেরিকায় একজন মানুষ বছরে গড়ে ৯০টি কলা খেয়ে থাকে, যা কমলা ও আপেলের মোট সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থানীয় এই ফল এখন বিশ্বের সব উষ্ণমণ্ডলীয় দেশে চাষ করা হয়। চলুন দেখে নিই কলা খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়।

১. কিডনি সুস্থ রাখে
কলায় পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি কিডনির কার্যকারিতা বাড়ায় এবং কিডনি রোগের ঝুঁকি কমায়। এটিতে পটাশিয়ামের ধারাবাহিক উপস্থিতি দেওয়ার জন্য কিডনির কার্যকারিতা বাড়ায় এবং কিডনি রোগের ঝুঁকি কমিয়ে তোলে। কলার মাধ্যমে পটাশিয়ামের স্বাভাবিক স্তর বজায় রাখা যায়, যা কিডনির স্বাস্থ্যকে ধারণ করে সাহায্য করে।

২. কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য উপকারী
পটাসিয়াম ও আয়রনের উৎস হলো কলা। এ ছাড়া ভিটামিন-সি, বি-৬ এবং ফাইবার সমৃদ্ধ ফল এটি। কোষ্ঠকাঠিন্য প্রশমন করতে ও আয়রনের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে কলা। তাই গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন কলা খাওয়া উচিত। 

কিডনি রোগের ঝুঁকি কমিয়ে তোলে কলা

৩. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
কলায় উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের অন্যতম কারণ। নিয়মিত কলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

৪. শক্তির উৎস
ন্যাচারাল সুগার, সলিউবল ফাইবার ও পটাশিয়াম থাকার কারণে যেকোনো ধরনের এনার্জি ড্রিংক, এনার্জি বুস্টারের থেকে অনেক বেশি শক্তি জোগায় কলা। তাই এক্সারসাইজের আগে ও পরে অবশ্যই কলা খান। অ্যাথলিট, টেনিস প্লেয়াররাও এনার্জির জন্য সবচেয়ে বেশি কলার ওপরই ভরসা রাখেন।

৫. চুলের যত্ন করে
কলার পেস্ট চুলে লাগালে চুল মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়। কলায় থাকা পটাশিয়াম এবং ভিটামিন চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।

এক্সারসাইজের আগে ও পরে কলা খাওয়া ভালো

৬. রক্তস্বল্পতা দূর করে
কলায় থাকা আয়রন রক্তস্বল্পতা দূর করে। আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদন বাড়ায়, যা রক্তস্বল্পতা দূর করে। অ্যানিমিয়া হলে শরীরে ক্লান্তির অনুভূতি হতে পারে। হতে পারে শ্বাসকষ্ট। কলায় প্রচুর আয়রন রয়েছে। আয়রন রক্তে লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সাহায্য করে। ফলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়।

৭. চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
কলায় ভিটামিন এ আছে। এটি সুস্থ চোখ বজায় রাখতে এবং দৃষ্টিশক্তিকে ভালো রাখতে কাজ করে। 

৮. পেশিতে টান পড়া রোধ করে
কখনো কি মাঝরাতে পেশির টানে ঘুম ভেঙেছে? এ সমস্যা সমাধান করতে পারে কলা। কলা উচ্চ পটাশিয়াম সমৃদ্ধ, যা পেশির টানের সমস্যা দূর করে।

কলা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে কাজ করে

৯. মেজাজ ভালো রাখে
কলায় থাকে ট্রিপটোফ্যান নামক একটি উপাদান, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন হরমোনের উৎপাদন বাড়ায়। সেরোটোনিন হরমোন মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং বিষণ্নতা দূর করে। এ ছাড়া প্রতিটি কলায় গড়ে ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে, যা মন ভালো রাখতে এবং ভালো ঘুম পাওয়ার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

১০. ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক
কলায় থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন শরীরে ফ্রি রেডিক্যাল দূর করে, যা ক্যানসার সৃষ্টির অন্যতম কারণ। বিশেষ করে কলায় থাকা ভিটামিন সি এবং ফ্ল্যাভোনয়েড ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক।

ভিটামিন ঘাটতি পূরণ করে কলা

১১. ভিটামিনের ঘটতি পূরণ করে
ভিটামিন ঘাটতি পূরণ করে কলা। গড়ে একটি কলা আমাদের দৈনন্দিন ভিটামিন বি৬ চাহিদার ৫ শতাংশ পূরণ করতে পারে। এটি শরীরের সুস্থ কোষ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ইনসুলিন, হিমোগ্লোবিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড গঠনে সাহায্য করে। এ ছাড়া ভিটামিন সি দৈনন্দিন চাহিদা ১৫ শতাংশ কলা পূরণ করে।

১২. হজমে উন্নতি করে
কলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করে। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়ার মতো হজমের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়া কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে, যা পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

১৩. ডায়রিয়া জন্য উপযোগী 
কলায় অবস্থিত এক ধরনের প্রতিরোধী স্টার্চ, যা পরিপাকের প্রক্রিয়াকে সচল করে এবং বৃহদন্ত্রে গিয়ে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া খাদ্যে পরিণত হতে পারে। ফলে যখন ডায়রিয়া হয় তখন স্বাস্থ্য ফেরাতে কলা বেশ উপকার করে। 

কলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে

১৪. স্মৃতিশক্তি বাড়ায়
কলায় থাকা ভিটামিন বি৬ এবং ম্যাগনেসিয়াম মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। তাই পড়াশোনার সময় বা যেকোনো মানসিক কাজে কলা খাওয়া উচিত।

১৫. হাড়ের শক্তি বাড়ায়
কলায় ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। নিয়মিত কলা খেলে হাড় মজবুত হয় এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমে।

১৬. ওজন কমাতে সহায়ক
কলায় ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি। ফলে এটি খেলে পেট ভরে যায় এবং ক্ষুধা কম লাগে। তাই যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য কলা একটি আদর্শ ফল।

একটি মাঝারি আকারের কলাতে দৈনিক চাহিদার ১৩ শতাংশ ম্যাঙ্গানিজ থাকে

১৭. ত্বকের উন্নতি করে
একটি মাঝারি আকারের কলাতে দৈনিক চাহিদার ১৩ শতাংশ ম্যাঙ্গানিজ থাকে। ম্যাঙ্গানিজ আমাদের ত্বক উন্নত করতে সাহায্য করে। ম্যাঙ্গানিজ কোলাজেন তৈরির গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা তারুণ্য ধরে রাখে এবং উন্মুক্ত রেডিক্যাল থেকে হওয়া ত্বকের ক্ষতি ও বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে।

১৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
কলাতে পাওয়া আরেকটি প্রাকৃতিক পদার্থ ফ্রুক্টুলিগোস্যাকারাইডস প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। এর কারণে কলা শরীরের ক্যালসিয়াম শোষণ করার ক্ষমতা বাড়ায় এবং ভালো প্রোবায়োটিক সরবরাহ করে, যা হজমের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।

নিয়মিত কলা খেলে হাড় মজবুত হয়

রাতে ঘুম আসে না? এই ১০টি কৌশল এনে দেবে প্রশান্তির ঘুম

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৪ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬ এএম
রাতে ঘুম আসে না? এই ১০টি কৌশল এনে দেবে প্রশান্তির ঘুম
শরীর ও মনকে কার্যকর রাখতে ভালো ঘুম দরকার

সুস্থ জীবনযাপনের জন্য পরিমিত ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মন-মেজাজ ভালো রাখার পাশাপাশি শরীর ও মনকে কার্যকর রাখতে ভালো ঘুম দরকার। তবে অনেকেই ঘুমের সমস্যায় ভোগেন। অপর্যাপ্ত ঘুম ব্যক্তির স্মৃতি, চেতনা, আবেগ, সংবেদনশীলতা ও মস্তিষ্ক ও দেহের বহু প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়। যদি কারও ঘুমের সমস্যা হয়, তবে এই ১০টি কৌশলের ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

১. দিনের বেলা ঘুম নয়
অনেকেই দিনের বেলা ঘুমাতে পছন্দ করেন। তবে দিনে ঘুমালে রাতে ঘুম আসতে চায় না। কারণ, এটি দেহের প্রাকৃতিক ঘুমের চক্র বা সার্কাডিয়ান রিদমকে ব্যাহত করে। তাই রাতে ভালো ঘুম চাইলে দিনে ঘুমানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

দিনে ঘুমালে রাতে ঘুম আসতে চায় না

২. নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম
একদিন ৯টায়, পরের দিন ১০টায় তো তারপর ১২টায়- এভাবে ঘুমাতে গেলে ঘুমের স্বাভাবিক ছন্দে বেঘাত ঘটে। ফলে ঘুম আসতে চায় না। সেজন্য ভালো ঘুম চাইলে প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

৩. শরীর ও মনকে শিথিল করুন
বিছানায় শুয়ে শরীর ও মনকে শিথিল করে ফেলুন। সব চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত করুন। ঘুমানোর আগে হালকা ব্যায়াম বা যোগব্যায়াম করতে পারেন। তবে ভারী ব্যায়াম একেবারে করা যাবে না। এ সময় ধ্যান বা শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন করতে পারেন।

শোয়ার ঘরটি ঠাণ্ডা থাকে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে

৪. চাই শীতল পরিবেশ
শোয়ার ঘরটি ঠাণ্ডা থাকে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। শীতল পরিবেশে দ্রুত ঘুম আসে। শুধু কী তাই! শীতল পরিবেশে ঘুম গাড় হয়।

৫. ঘুমের অনুষঙ্গ
বিছানায় সুতির চাদর ব্যবহার করতে হবে। বালিশ যাতে আরামদায়ক হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। চাইলে কোলবালিশ ব্যবহার করতে পারেন। মোটকথা নিজের জন্য সবচেয়ে আরামদায়ক ঘুমের পদ্ধতি খুঁজে বের করে সেভাবেই ঘুমান। 

৬. প্রয়োজনীয় পানি পান করুন
সারা দিন ঘন ঘন পানি পান করুন। তবে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একসঙ্গে বেশি পরিমাণে পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন। শরীরে পানির অভাব থাকলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

ঘুমানোর অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করুন

৭. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
ঘুমানোর অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করুন। ক্যাফেইন (যেমন চা, কফি, চকলেট) এবং চিনি জাতীয় খাবার সন্ধ্যার পর এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে ঘুমানোর আগে চা কফি কঠোরভাবে এড়িয়ে চলুন।

৮. ইলেকট্রনিক ডিভাইস এড়িয়ে চলুন
ঘুমানোর ১ ঘণ্টা আগে মোবাইল, ল্যাপটপ বা টিভি ব্যবহার বন্ধ করুন। এই ডিভাইসের নীল আলো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। চাইলে ঘুমানোর আগে বই পড়া বা নরম সুরের সংগীত শোনা যেতে পারে।

৯. শরীরচর্চা করুন
দিনের বেলা নিয়মিত ব্যায়াম করলে রাতের ঘুম ভালো হয়। সেজন্য চাইলে প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাটতে পারেন। চাইলে জিম জয়েন করতে পারেন। তবে ঘুমের ঠিক আগে ভারী ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন।

মাঝে মাঝে হালকা ম্যাসাজ করিয়ে নিন

১০. ম্যাসাজ
২০১৫ সালের এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, হালকা ম্যাসাজ করলে নিদ্রাহীনতা ছাড়াও হতাশা ও মানসিক চাপের থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই মাঝে মাঝে হালকা ম্যাসাজ করিয়ে নিন।

এরপরও যদি ঘুমের সমস্যা না কাটে, তবে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মনে রাখবেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোনো ধরনের ঘুমের ওষুধ সেবন করা যাবে না।

মেছতা দূর করার ৭ ঘরোয়া উপায়

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০১ পিএম
আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ এএম
মেছতা দূর করার ৭ ঘরোয়া উপায়
মেছতা হলে মুখ, থুতনি, কপালে ও গালে হালকা বাদামি, কালো বা লালচে ছোপ দেখা যায়

মেছতা বা মেলাসমা একধরনের চর্মরোগ। মেছতা হলে মুখ, থুতনি, কপালে ও গালে হালকা বাদামি, কালো বা লালচে ছোপ দেখা যায়। নারীদের রোগটি বেশি হয়। বিশেষ করে চল্লিশোর্ধ্ব নারীরা মেছতায় বেশি আক্রান্ত হন। মুখ ছাড়াও কারও কারও চিবুক ও বাহুর উপরিভাগেও মেছতার কালো ছোপ পড়তে পারে। মূলত ত্বকের রঞ্জক পদার্থ মেলানিনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াই এর কারণ। দিন যত যায়, তত গাঢ় হয় এই রং।

কেন হয়
গর্ভধারণের সময় হরমোনের প্রভাবে অনেক সময় মুখে মেছতা দেখা দিতে পারে। এজন্য রোগটিকে অনেকে বলেন, ‘মাস্ক অব প্রেগনেন্সি’। এ ছাড়া বংশগতির প্রভাব, অতিরিক্ত সূর্যালোক, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। হরমোনের সমস্যা, যেমন থাইরয়েড বা ডিম্বাশয়ের সমস্যায় এটা হতে পারে। মেনোপজের পর এটি বেশি হতে দেখা যায়, তার পেছনেও হরমোনের কারণই দায়ী। আবার অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে মেছতা হতে পারে, ডাক্তারি ভাষায় একে বলে ‘মেলাজমা কসমেটিকা’। যকৃতের জটিলতার কারণে যে মেছতা হয়, তাকে বলা হয় ‘মেলাজমা হেপাটিকা’। এবার আসুন দেখে নেই মেছতা দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়।

১. চন্দন গুঁড়া
ত্বকের দাগ হালকা করে- এমন উপাদানগুলোর মধ্যে খুব ভালো হলো চন্দন। এটি ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। সমপরিমাণ চন্দন গুঁড়া, দুধ, লেবুর রস আর হলুদ মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মেছতায় আক্রান্ত স্থানে মাখুন। এবার শুকাতে দিন। শুকিয়ে গেলে পানির ঝাপটা দিয়ে মাস্কটা নরম করে সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন করে করুন, যত দিন না কোনো উপকার পাচ্ছেন।

চন্দন

২. লেবুর রস
লেবুর রস ত্বক ব্লিচ করে। এ ছাড়া ত্বকের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। লেবু কেটে রস বের করে মুখের মেছতায় আক্রান্ত স্থানে সরাসরি মাখুন। এরপর ২০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই দিন করে তিন সপ্তাহ লাগিয়ে দেখুন, মেছতা ঠিক হবে।

লেবু

৩. হলুদ
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ন্যাচারাল স্কিন টোনার হিসেবে হলুদ পরিচিত। হলুদের মধ্যে থাকা নানা গুণাগুণ ত্বকের মেলানিন কমিয়ে মেছতা হালকা করতে সাহায্য করে। ১ চা চামচ হলুদের মধ্যে ৫ চা চামচ তরল দুধ দিন। এর মধ্যে দিন দুই চামচ বেসন। এবার পেস্টটি মেছতায় আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। প্রতিদিন একবার করে ব্যবহার করুন।

হলুদ

৪. ওটমিল
ওটমিল ত্বকের বাদামি দাগ ও মরা চামড়া দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করে। দুই চা চামচ ওটমিল, দুই চা চামচ দুধ এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে ত্বকের যে স্থান মেছতায় আক্রান্ত, সে জায়গায় লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর পানি দিয়ে হালকা ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। 

ওটমিল

৫. কাঠবাদাম
কাঠবাদামে থাকা হাইপ্রোটিন ও ভিটামিন সি ত্বক মসৃণ করে। এ ছাড়া ত্বকে পুষ্টি জুগিয়ে ত্বক উজ্জ্বল করে। ২ চামচ বাদাম বাটা অথবা গুঁড়ার সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে মেছতার ওপর লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে মুছুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন করুন, যতক্ষণ না কোনো উপকার পাচ্ছেন। 

কাঠবাদাম

৬. পেঁপে
পেঁপেতে থাকা পেপেইন এনজাইম প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে সারিয়ে তোলে ও মৃত কোষ দূর করে। আধা কাপ পাকা পেঁপে থেঁতলে নিন। এবার দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে ২০ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার করে কয়েক মাস ব্যবহার করতে হবে।

পেঁপে

৭. অ্যালোভেরা জেল
তাজা অ্যালোভেরা পাতা কেটে ভেতর থেকে জেলটুকু বের করে নিন। এবার জেলটুকু মুখে লাগিয়ে হালকা হাতে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন দুবার করে টানা এক মাস করতে হবে।

অ্যালোভেরা


মনে রাখবেন
মেছতা থাকলে বাইরে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবার খান।
দিনে ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করুন।

শীতকালীন শ্বাসকষ্টের ১০ ঘরোয়া সমাধান

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫১ পিএম
আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৭ পিএম
শীতকালীন শ্বাসকষ্টের ১০ ঘরোয়া সমাধান
বিভিন্ন কারণে শীতকালে শ্বাসকষ্ট বাড়ে

বিভিন্ন কারণে শীতকালে শ্বাসকষ্ট বাড়ে। যেমন- বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ এই সময়ে অনেকটা কমে যায়। ফলে বাড়ে ধুলোর পরিমাণ। সেগুলোই ফুসফুসে ঢুকে শ্বাসের সমস্যা বাড়ায়। অন্যদিকে বাতাসে ফুলের রেণুও এই সময় প্রচুর পরিমাণে ওড়ে। ফুসফুসে ঢুকে সেগুলোও অ্যালার্জির সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। শ্বাসকষ্ট বাড়ে। তা ছাড়া বায়ুদূষণ শ্বাসকষ্টের সবচেয়ে বড় কারণ। শীতকালে বায়ুদূষণ বাড়ে বলে শ্বাসকষ্টও বাড়ে।

যা করতে হবে
শীতকালে বাড়ির বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। বিশেষ করে যাদের আগে থেকেই শ্বাসের সমস্যা রয়েছে, তারা এ সময়ে মাস্ক ব্যবহার করলে এ সমস্যা কিছুটা কমতে পারে।
শুধু বাড়ির বাইরে নয়, ঘরের ভেতরও পরিষ্কার রাখা উচিত এ সময়ে। না হলে ঘরের ধুলোও শ্বাসকষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। ঘরের ধুলোর মধ্যে বড় অংশই হলো শুষ্ক ত্বকের গুঁড়ো। শীতকালে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার মাখলে ত্বকের শুষ্কতা কমবে। ফলে ধুলোর পরিমাণও কিছুটা কমবে। শ্বাসকষ্টও বাড়বে না।
ধূমপানের কারণে শ্বাসকষ্ট হয়। শীতকালে অবশ্যই ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। যাদের আগে থেকেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে, তারা যদি শীতে ধূমপান করেন- তাদের ফুসফুসের ওপর চাপ পড়ে। তাই ধূমপানের অভ্যাস এ সময়ে ছাড়তেই হবে।

ঘরোয়া সমাধান


১. তুলসি
আয়ুর্বেদের একটি জনপ্রিয় ভেষজ উপাদান তুলসী। এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। যা কেবল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে না, বরং শরীরের শ্বাসযন্ত্রের শক্তিতেও সাহায্য করে। 

তুলসি চা

২. আদা
আদা শ্বাসনালির প্রদাহ কমিয়ে অক্সিজেনের প্রবেশ স্বাভাবিক রাখে। আদা-চা বা আদার রস ও মধু মিশিয়ে খান। 

আদা চা

৩. ডুমুর
ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়াতে উপকারী ডুমুর। কয়েকটি ডুমুর সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে পানি ও ডুমুর খেয়ে ফেলুন। বাজারে শুকনো ডুমুর কিনতে পাওয়া যায়।

ডুমুর

৪. ল্যাভেন্ডার তেল
গরম জলের মধ্যে ৫-৬ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল ছেড়ে দিন। এ বার ধীরে ধীরে ভেপার নিন। ম্যাজিকের মতো কাজ হবে।

ল্যাভেন্ডার তেল

৫. পেঁয়াজ
আমরা নিয়মিত পেঁয়াজ খাই। তবে খাবারের সঙ্গে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। শ্বাসকষ্ট কমাতে আধা কাপ কুসুম গরম পানিতে এক টেবিল-চামচ পেঁয়াজ কুচি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে পান করুন।

পেঁয়াজ

৬. লেবু
লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এক গ্লাস পানির মধ্যে লেবুর রস এবং সামান্য চিনি দিয়ে রোজ খেয়ে দেখতে পারেন। হাপানির কষ্ট অনেক কম হবে।

লেবু

৭. কফি
কড়া এক কাপ কফি পান করলে শ্বাসনালি খুলে যায়। বেশি খারাপ লাগলে দিনে তিন কাপ পর্যন্ত কফি পান করতে পারেন।

কফি

৮. মধু
এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চামচ করে মধু মিশিয়ে পান করুন। নিয়মিত এই পানীয় পানে শুধু শ্বাসকষ্ট নয়, মেদও কমে।

মধু

৯. রসুন
এক কাপ দুধের মধ্যে ৩-৪ কোয়া রসুন ফেলে ফুটিয়ে সেই মিশ্রণ পান করুন। ফুসফুসের যে কোনও রোগ নিরাময়ে রসুনের রস খুবই উপকারি।

রসুন

১০. সরিষার তেল 
সরিষার তেল হালকা গরম করে বুকে-পিঠে, গলায় ভালো করে ম্যাসাজ করুন, শ্বাসকষ্ট কমে যাবে। ফুসফুস ঠিকমতো কাজ করলেই শ্বাস-প্রশ্বাসও স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

সরিষার তেল 

 

মনে রাখবেন, যেকোনো ধরনের ওষুধ খাওয়া বা ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

পিরিয়ডের দিনগুলোয় ব্যথা কমানোর ১২ ঘরোয়া উপায়

প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪০ পিএম
আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৪ পিএম
পিরিয়ডের দিনগুলোয় ব্যথা কমানোর ১২ ঘরোয়া উপায়
সংগৃহীত

পিরিয়ড বা মাসিকের দিনগুলোয় হরমোনের ওঠানামা হয় দ্রুত। তাই মুড সুইং বা মেজাজ পরিবর্তনের পরিস্থিতি দেখা যায়। এ সময় অনেকের পেট ও কোমরে ব্যথা হয়। সঙ্গে থাকে ক্লান্তি ও বমির প্রবণতা। এসব কারণে সেই সময়টা আরও কষ্টকর হয়ে ওঠে। তবে পিরিয়ডের ব্যথা বিভিন্ন নারীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হয়। সবার শরীরের একই জায়গায় ব্যথা হয় না, আবার ব্যথার তীব্রতাও সবার একই রকম হয় না।

পিরিয়ডের সময় ব্যথা হয় কেন?
ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী ও প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষক ড. কেটি ভিনসেন্ট পিরিয়ডের ব্যথা নিয়ে গবেষণা করে বলেন, ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ নারীর ঋতুস্রাব যন্ত্রণাদায়ক হয়। এর মধ্যে অনেকের যন্ত্রণা এত বেশি হয় যে তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন বাধাগ্রস্ত হয়। জরায়ু গঠনকারী টিস্যু থেকে এ সময় এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়, যার কারণে ব্যথা হয়। পিরিয়ডের সময় প্রোস্টাগ্ল্যানডিনস নামে এক ধরনের পদার্থ জরায়ুর পেশিকে সংকুচিত করে এবং প্রদাহ তৈরি করে। ফলে এই সময় ব্যথা হয়। পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে ঘরোয়া কিছু উপায় চলুন জেনে নিই।

১. ভেষজ চা
কিছু ভেষজ চায়ে এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা পিরিয়ড ক্র্যাম্প এবং পেটের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। ভেষজ চা যেমন ক্যামোমাইল চায়ের প্রদাহবিরোধী গুণ রয়েছে এবং এটি পেশি শিথিল করতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। পেপারমিন্ট চা ফুলে যাওয়া এবং পেট ব্যথাতেও সহায়তা করতে পারে। আরাম পেতে দিনে দুবার এই চা খেতে পারেন।

ভেষজ চা

২. গরম পানির সেঁক
পিরিয়ডের ব্যথায় গরম পানির সেঁক খুব উপকারী। হট ব্যাগের মধ্যে গরম পানি নিয়ে পেটে সেঁক দিতে পারেন। আবার গরম পানি দিয়ে গোসল করলেও ব্যথা কমে কিছুটা স্বস্তি মেলে।

৩. আদার রস খাওয়া যায়
পিরিয়ডের সময় পেটের ব্যথা কমাতে আদার রস বেশ উপকারী। এ সময় আদা চা পান করলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। আদার সঙ্গে মধু, চিনি ও গরম পানি যোগ করে তিন-চারবার পান করলে ব্যথা কমে যায়।

আদার রস

৪. পেঁপে খেতে পারেন
পিরিয়ডের ব্যথা রোধের জন্য পেঁপে খাওয়া বেশ কার্যকর। পিরিয়ডের সময় নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেলে পিরিয়ডের ব্যথা কমে যেতে পারে।

৫. জোয়ান
জোয়ানে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফাইবার রয়েছে, যা পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এই সময় অনেকের হজম ক্ষমতা কম থাকে, তাই হজম ক্ষমতা ঠিক রাখার জন্য, কিছুটা জোয়ান গরম পানিতে সেদ্ধ করে নিন। তারপর পানি খেয়ে নিন উপশম পাবেন।

৬. ল্যাভেন্ডার তেল
পিরিয়ডের ব্যথার সময় পেটে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল মালিশ করলে ব্যথা উপশম হয়। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে ব্যথা কমতে সাহায্য করে।

ল্যাভেন্ডার তেল

৭. অ্যালোভেরা 
অ্যালোভেরা রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে পিরিয়ডের ব্যথা কমতে শুরু করে। পাতা থেকে অ্যালোভেরা জেল বেরি করে নিতে হবে। তাতে মধু মিশিয়ে পান করতে হবে।

৮. নারিকেল তেল
নারকেল বা তিলের তেলের মালিশ- আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, নারকেল বা তিলের তেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণ ও লিনোলিক অ্যাসিড থাকে। পিরিয়ডের সময় তলপেটে নারকেল বা তিলের তেলে ম্যাসাজ করলে মাংসপেশির মোচড় কমানো যায়। ফলে ব্যথা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।

নারিকেল তেল

৯. পানি
পিরিয়ডের সময় প্রচুর পরিমাণ পানি খেতে হবে। কেননা এ সময় শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তাই বেশি পরিমাণে পানি পান করা পিরিয়ডের ব্যথা কমিয়ে দেয়।

১০. হালকা ব্যায়াম 
পিরিয়ডের ব্যথার কমাতে হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। সহজ-সরল যোগব্যায়াম অথবা হাঁটাচলা করতে পারেন। তবে এ সময় ভারী কোনো কাজ করা উচিত নয়। ব্যায়াম করার ফলে পেশির মোচড় কমতে প্রাকৃতিক ওষুধের কাজ করে।

ব্যায়াম

১১. শ্বাসের ব্যায়াম
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য শ্বাসের ব্যায়াম একটি দারুণ উপায়। এ ব্যায়াম করতে হলে আপনাকে বুকের ওপর একহাত ও পেটের ওপর আরেক হাত রেখে নাক দিয়ে বড় করে শ্বাস নিতে হবে। এমনভাবে শ্বাস নেবেন যেন বাতাস বুকের গভীরে ঢুকে এবং পেট ফুলে যায়। এরপর এমনভাবে শ্বাস ছাড়ুন যেন আপনি একটি মোমবাতি নেভাচ্ছেন।

১২. খাবার
ভিটামিন ই, বি১, বি৬, সি-জাতীয় খাবার, যেমন- চীনাবাদাম, পোস্তবাদাম, আম, কলা, আপেল, মাছ, ডিম, গম, সবুজ সবজি এই খাবারগুলো মাংসপেশির সংকোচন কমিয়ে ব্যথা কমাবে।