![গাজায় শরণার্থী শিবিরে হামলা](uploads/2023/12/20/1703037630.gaza.jpg)
গাজার উত্তরের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ঘটনায় অন্তত ১৩ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও ৭৫ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
অন্যদিকে গাজার দক্ষিণে রাফায় তিন আবাসিক ভবনে হামলা চালানো হয়েছে। এতে অন্তত ১৯ জন মারা গেছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন আরও অনেকে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজায় আরও দুই সেনা মারা গেছেন।
সাত অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৯ হাজার ৪৫৩ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। অন্যদিকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের চালানো আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছিল ১২০০ ইসরায়েলি।
এদিকে কট্টর ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে ফ্রান্স। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথেরিন কোলোনা জানিয়েছেন এ ব্যাপারে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে বৈঠকের পর প্যারিসে এ ব্যাপারে ঘোষণা দেন তিনি।
কোলোনো বলেন, ‘ফ্রান্স কিছু সুনির্দিষ্ট কট্টর ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি নিজের চোখে এই বসতি স্থাপনকারীদের সংঘটিত কিছু সহিংসতা দেখেছি। এটি অগ্রহণযোগ্য।’
প্রসঙ্গত ফরাসী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল সফর করে এসেছেন সম্প্রতি। তিনি অধিকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চলও ঘুরে দেখেছেন। ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা গাজা যুদ্ধের এ সময়টিতে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। দুই মাস সময়ে তিন শরও বেশি আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সম্প্রতি এ ধরনের আক্রমণের ঘটনা কমাতে এরই মধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে। চলতি মাসের শুরুতেই পশ্চিম তীরে হামলার ঘটনায় জড়িত কয়েক জন ইসরায়েলি কট্টরপন্থির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এদিকে যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলে কম যাচ্ছে মানুষ। এ কারণে ছয় শ বিমানবন্দর কর্মীকে বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠিয়েছেন ইসরায়েল। এক হাজারেরও বেশি বিমানবন্দর কর্মী যোগ দিয়েছে সামরিক বাহিনীতে। সূত্র: আল-জাজিরা