অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায় সপ্তম দিনের মতো সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েলি সেনারা। এরই মধ্যে সেনাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি নারীদের ধর্ষণ, অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
আল-শিফা হাসপাতালের কাছের ভবনে আটকেপড়া নারী জামিলা আল-হিসসি আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘তারা নারীদের ধর্ষণ করেছে, নারীদের অপহরণ করেছে, নারীদের হত্যা করেছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে মরদেহ টেনে বের করে কুকুর লেলিয়ে দিয়েছে। এর চেয়ে খারাপ কিছু আছে কী?’
তিনি আরও দাবি করেন, সাহায্যের জন্য নারীরা চিৎকার করছিল। কিন্তু কোনোভাবেই তাদের কাছে যাওয়ার উপায় ছিল না। যখন সাহায্য করতে কেউ যাওয়ার চেষ্টা করতেন; ইসরায়েলি সেনারা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ত।
ইসরায়েলি বাহিনী অবরোধ দেওয়ায় জামিলা হাসপাতালের কাছের একটি ভবনে ছয় দিন আটকা ছিলেন।
এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তাদের দাবি ছিল, আল-শিফায় লুকিয়ে থাকা হামাস যোদ্ধাদের নিষ্ক্রিয় করাই তাদের লক্ষ্য। রবিবারও হাসপাতালটির আশপাশে ব্যাপক বিমান হামলা ও গোলা ছুড়েছে ইসরায়েলি সেনারা। যদিও হামাস দাবি করেছে, সেখানে তাদের কোনো যোদ্ধা নেই।
একই দিনে রাফা শহরেও ইসরায়েলি বিমানবাহিনী হামলা চালিয়েছে। এতে একই পরিবারের ৬ জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে আল-শিফার পর খান ইউনিস শহরের নাসের হাসপাতালের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
আল-জাজিরার সংবাদদাতা হানি মোহাম্মদ জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনারা হাসপাতাল ঘিরে থাকা আবাসিক ভবনগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের অবস্থান হাসপাতালের প্রধান দরজা থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে।
হানি মোহাম্মদ আরও জানিয়েছেন, রাফা থেকে নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের আশপাশের গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। যদিও ইসরায়েলি বাহিনী নাসের হাসপাতালের আশপাশে এই অভিযানের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করেনি। সূত্র: আল-জাজিরা