ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

আল-শিফায় ইসরায়েলি অভিযান: ধর্ষণ, অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ

প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৪ এএম
আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৪ এএম
আল-শিফায় ইসরায়েলি অভিযান: ধর্ষণ, অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ
ছবি : সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায় সপ্তম দিনের মতো সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েলি সেনারা। এরই মধ্যে সেনাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি নারীদের ধর্ষণ, অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

আল-শিফা হাসপাতালের কাছের ভবনে আটকেপড়া নারী জামিলা আল-হিসসি আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘তারা নারীদের ধর্ষণ করেছে, নারীদের অপহরণ করেছে, নারীদের হত্যা করেছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে মরদেহ টেনে বের করে কুকুর লেলিয়ে দিয়েছে। এর চেয়ে খারাপ কিছু আছে কী?’ 

তিনি আরও দাবি করেন, সাহায্যের জন্য নারীরা চিৎকার করছিল। কিন্তু কোনোভাবেই তাদের কাছে যাওয়ার উপায় ছিল না। যখন সাহায্য করতে কেউ যাওয়ার চেষ্টা করতেন; ইসরায়েলি সেনারা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ত। 

ইসরায়েলি বাহিনী অবরোধ দেওয়ায় জামিলা হাসপাতালের কাছের একটি ভবনে ছয় দিন আটকা ছিলেন। 

এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তাদের দাবি ছিল, আল-শিফায় লুকিয়ে থাকা হামাস যোদ্ধাদের নিষ্ক্রিয় করাই তাদের লক্ষ্য। রবিবারও হাসপাতালটির আশপাশে ব্যাপক বিমান হামলা ও গোলা ছুড়েছে ইসরায়েলি সেনারা। যদিও হামাস দাবি করেছে, সেখানে তাদের কোনো যোদ্ধা নেই।  

একই দিনে রাফা শহরেও ইসরায়েলি বিমানবাহিনী হামলা চালিয়েছে। এতে একই পরিবারের ৬ জন নিহত হয়েছেন।

এদিকে আল-শিফার পর খান ইউনিস শহরের নাসের হাসপাতালের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনারা। 

আল-জাজিরার সংবাদদাতা হানি মোহাম্মদ জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনারা হাসপাতাল ঘিরে থাকা আবাসিক ভবনগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের অবস্থান হাসপাতালের প্রধান দরজা থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে।

হানি মোহাম্মদ আরও জানিয়েছেন, রাফা থেকে নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের আশপাশের গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। যদিও ইসরায়েলি বাহিনী নাসের হাসপাতালের আশপাশে এই অভিযানের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করেনি। সূত্র: আল-জাজিরা

গাজায় জাতিসংঘের স্কুলে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১৬

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০১:২৯ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০২:১৪ পিএম
গাজায় জাতিসংঘের স্কুলে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১৬
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি।

শনিবার (৬ জুলাই) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আল-নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘের বিদ্যালয়ে হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত এবং ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ এই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, গাজার মধ্যাঞ্চলে নুসাইরাতের আল জাওনি স্কুলে হামলা চালানো হয়েছে। কারণ এখান থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছিল।

তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে জঘন্য হত্যাকাণ্ড হিসেবে বর্ণনা করেছে। 

গাজার সিভিল ইমার্জেন্সি সার্ভিসের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। স্কুলে হামলার ঘটনা প্রমাণ করে, বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলোর জন্য কোনো জায়গাই নিরাপদ নয়। সূত্র: বিবিসি

পপি/অমিয়/

ইউক্রেনে লরি-বাস সংঘর্ষে নিহত ১৪

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ১২:২১ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০২:১৬ পিএম
ইউক্রেনে লরি-বাস সংঘর্ষে নিহত ১৪
ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলে তেলবাহী লরির সঙ্গে একটি মিনিবাসের সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ছয় বছর বয়সী একটি শিশুও রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির জরুরি পরিষেবা বিভাগ।

স্থানীয় সময় শনিবার (৬ জুলাই) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে রিভনে অঞ্চলের ভার্খিভ গ্রামের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের প্রধান ওলেক্সান্ডার কোভাল তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে এ তথ্য জানান।

আঞ্চলিক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, গাড়ি চলাচলের সময় হঠাৎ একটি তেলবাহী লরি রাস্তায় ঢুকে গেলে একটি মিনিবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে।

কর্মকর্তারা জানান, সড়ক দুর্ঘটায় ছয় বছর বয়সী একটি শিশুসহ ১২ যাত্রী এবং দুই চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় ফৌজদারি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

দেশটির জরুরি মন্ত্রণালয়ের পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, একটি মাঠে গাড়ির ধ্বংসাবশেষ এবং একটি শিশুর খেলনা পড়ে রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি সন্ধ্যায় এক ভিডিও ভাষণে নিহত এবং তাদের প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। সূত্র: বিবিসি

পপি/অমিয়/

একমাত্র ঈশ্বরই আমাকে সরতে রাজি করাতে পারবেন: বাইডেন

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৫ এএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৫ এএম
একমাত্র ঈশ্বরই আমাকে সরতে রাজি করাতে পারবেন: বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম টেলিভিশন বিতর্কে ভরাডুবির পর দলের ভেতরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এসব সমালোচনা ছাপিয়ে ভোটের মাঠ ছাড়বেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বাইডেন। 

বলেছেন, ‘একমাত্র সর্বশক্তিমান ঈশ্বরই আমাকে নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়াতে রাজি করাতে পারেন।’

গত শুক্রবার উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন একথা বলেছেন। 

এর আগে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেও তিনি বলেছিলেন, ‘আমি কোথাও যাচ্ছি না।’ খবর বিবিসির। 

নির্বাচনি বিতর্কের পর থেকে বাইডেনের বয়স ও শারীরিকভাবে তার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা নিয়ে খোদ ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে বেশ উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। দলটির একটি অংশ প্রকাশ্যেই বাইডেনকে আগামী নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে যেতে বলছে।

৮১ বছর বয়সী বাইডেন নিজেও তার বয়সের বিষয়টি স্বীকার করলেও তিনি দল, অর্থদাতা, সমর্থক ও ভোটারদের বোঝাতে চাইছেন; আরও চার বছর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের পথে বয়স কোনো বাধা নয়। নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে তাই সরে দাঁড়ানোর কোনো ইচ্ছা তার নেই।

শুক্রবার ওই সাক্ষাৎকারে বাইডেন মনঃসংযোগ কতটা ধরে রাখতে পারেন, সে বিষয়ে একটি পরীক্ষা (কগনিটিভ টেস্ট) দিতেও অস্বীকৃতি জানান তিনি। 

আরও এক মেয়াদে দায়িত্ব পালনে বাইডেন কতটা সক্ষম, তা প্রমাণে তার মনঃসংযোগ ধরে রাখার পরীক্ষা দেওয়া ও ভোটারদের আশ্বস্ত করতে সেই ফল প্রকাশের দাবি উঠেছে। এ বিষয়ে বাইডেন বলেন, ‘আমাকে প্রতিদিনই মনঃসংযোগ ধরে রাখার পরীক্ষা দিতে হয়। প্রতিদিনই আমার ওই পরীক্ষা হয়...আমি যা যা করি, তার সবই পরীক্ষা।’

২২ মিনিটের ওই সাক্ষাৎকারজুড়ে জর্জ স্টেফানোপোলোস স্বাস্থ্য ও সক্ষমতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন করেছেন বাইডেনকে। এ সময় ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের সময়ের চেয়ে অনেক বেশি স্পষ্ট করে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। তবে এদিনও তার গলার স্বর দুর্বল ছিল ও মাঝে মধ্যে তা কর্কশ শুনিয়েছে।

তবে সব প্রশ্ন ছাপিয়ে বাইডেন বলেন, ‘আমার মনে হয় না, এবারের নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্ট হতে আমার চেয়ে যোগ্য আর কেউ আছে।’

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রথম নির্বাচনি বিতর্কে ভালো না করার কারণ হিসেবে তিনি ক্লান্তি ও ঠাণ্ডা লাগাকে দায়ী করেছেন। সূত্র: বিবিসি

অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন ভোলেবাবা

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩১ এএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩১ এএম
অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন ভোলেবাবা
নারায়ণ হরি ওরফে ভোলেবাবা

ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাসে গত ২ জুলাই সৎসঙ্গ চলাকালীন পদদলিত হয়ে ১১০ জন নারীসহ ১২১ জনের মৃত্যু হয়। স্বঘোষিত গুরু বাবা নারায়ণ হরি ওরফে ভোলেবাবার সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানে এমন মর্মান্তিক ঘটনার পর থেকে তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না- পুলিশের এমন দাবির পরেই ভিডিও বার্তায় হাজির হয়েছেন ভোলে বাবা।

ভিডিওতে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘পদপিষ্টের ঘটনায় আমি গভীরভাবে ব্যথিত।’ 

বিবৃতিতে ভোলে বাবা বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তা এমন কষ্ট সহ্য করার শক্তি আমাদের দিন। দয়া করে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি বিশ্বাস রাখুন। আমার বিশ্বাস যারা ওই অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা করেছেন তাদের কেউ রেহাই পাবেন না। আমার আইনজীবী এপি সিংয়ের মাধ্যমে আমি কমিটির সদস্যদের শোকসন্তপ্ত পরিবার ও আহতদের পাশে দাঁড়াতে ও তাদের সারা জীবন সাহায্যের অনুরোধ করেছি।’ 

ভোলেবাবার সৎসঙ্গের ওই অনুষ্ঠানে আড়াই লাখের বেশি অনুসারীর সমাগম হয়েছিল। 

অন্যদিকে সৎসঙ্গের মুখ্য সেবাদার দেবপ্রকাশ মধুকরকে দিল্লিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাথরস জেলা পুলিশ। 

মধুকরের গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে এই মামলায় মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাতজনে।

উত্তর প্রদেশের পুরিতে ৩০ একর জমিতে ভোলেবাবার আশ্রম। কনৌজ, ইটাওয়া, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং উত্তরাখণ্ডেও তার বিশাল আশ্রম রয়েছে। তিনি দামী চশমা এবং সাদা স্যুট পরে একটি দামী গাড়িতে ভ্রমণ করেন। তার সঙ্গে থাকে ৩০টি গাড়ি ও ১৬টি মোটরসাইকেলের বহর। ভোলেবাবার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের ছয়টি মামলা করেছে পুলিশ। ২০০০ সালে আগ্রা পুলিশ একটি মরদেহ চুরির মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেছিল।

স্টারমারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৯ এএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৯ এএম
স্টারমারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক
ডাাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রী কির স্টারমার ও লেবার পার্টির নতুন মন্ত্রীদের গতকাল প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভা বৈঠক করেছেন সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে একটি ঐতিহাসিক ভূসিধস জয় পেয়েছে কির স্টারমারের দল লেবার পার্টি। ফলে দেশটি একটি নতুন সরকার ও একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে। দীর্ঘদিন রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার পরে দেশটি নতুন নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে পরিবর্তনের আশায় শনিবার (৬ জুলাই) একটি নতুন সকাল শুরু করেছে। সবার আশা ঘুরে দাঁড়াবে ব্রিটেন।

শনিবার স্থানীয় সময় সকালে প্রধানমন্ত্রী স্টারমার ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বামে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেনার ও ডানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাইমন কেস ছিলেন। 

স্টারমার কেবিনেট মেম্বারদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের সামনে প্রচুর কাজ রয়েছে। তাই এখনোই আমরা আমাদের কাজ শুরু করতে যাচ্ছি।’

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, পরিবর্তনের জন্য সরকারের প্রথম পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার জন্য স্টারমার মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন। যেখানে মূলত যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নের জন্য কঠোর নীতি প্রণয়ন, সরকারি মালিকানাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, নিউ হেল্থ সেক্রেটারি ওয়েস স্ট্রিটিংয়ে প্রতি সপ্তাহে নিয়োগ প্রদান, সীমান্ত নিরাপত্তা ও অভিবাসন ঠেকানো, অপরাধপ্রবণতা কমানোর জন্য আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা আরও জোরদারকরণ এবং প্রাইভেট স্কুলগুলোতে ট্যাক্স বাদ দেওয়ার মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। 

বৈঠক শেষে নতুন সরকারের প্রতিরক্ষা সচিব জন হিলি বলেছেন, ‘লেবার পার্টির লক্ষ্য হলো ব্রিটেনকে নিরাপদ দেশে পরিণত করা। বৈশ্বিকভাবে শক্তিশালী করা। প্রথমবারের মতো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে সম্বোধন করে হিলি ইউরোপে যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত, ক্রমবর্ধমান রুশ আগ্রাসনের মতো বিশ্বের সাম্প্রতিক সমস্যাগুলো তুলে ধরেন।’

তিনি বলেন, ‘ব্রিটেনের সশস্ত্র বাহিনী ১৪ বছর ধরে কম অর্থায়ন করেছে। কিন্তু লেবার সরকারের প্রতিরক্ষা ব্যয়, ন্যাটো, পারমাণবিক প্রতিরোধ ও ইউক্রেনের সমর্থনের জন্য জিডিপির ২.৫ শতাংশ ব্যয় করতে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ 

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্টারমারের প্রথম সংবাদ সম্মেলন
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে কির স্টারমার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তিনি ১০ মিনিট বক্তব্য রাখেন। স্টারমার নতুন সরকারের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বলে তার বক্তব্য শুরু করেন। 

তিনি বলেন, “নির্বাচনের পরে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার ‘ধূলিকণা জমাট’ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি স্পষ্ট যে, সরকারও এর ম্যান্ডেট থেকে দেশকে পরিবর্তনের প্রত্যাশা করে। নতুন সরকার ভিন্নভাবে কাজ করবে এটি সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা।”

তিনি তার মন্ত্রীদের কাছে মানদন্ড ও বিতরণের ক্ষেত্রে কী প্রত্যাশা করেন তা নির্ধারণ করতে প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠক করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন। প্রতিটি বিভাগ তার প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করছে কি না, তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নতুন ‘মিশন ডেলিভারি বোর্ড’-এর সভাপতিত্ব করবেন তিনি। 

এ ছাড়াও বিকেলে আরও বিভিন্ন পদে মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান কির স্টারমার। প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যে এমন কিছু কাজ করতে চান, যা সাম্প্রতিক বছরগুলো থেকে ভিন্ন হবে।

সংবাদ সম্মেলনে স্টারমার আগামী মঙ্গলবার ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে স্কটল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড ও ওয়েলস সফরে যাবেন বলে জানান। সূত্র: বিবিসি, গার্ডিয়ান