গাজায় দুর্ভিক্ষ এড়াতে ইসরায়েল যাতে বাধাহীনভাবে সেখানে সহায়তা ঢুকতে দেয়, সে নির্দেশ দিয়েছেন জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত। গত বৃহস্পতিবার সর্বসম্মতিক্রমে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে) এ সিদ্ধান্ত জানান। আইসিজের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইসরায়েলের এ কাজে দেরি করা চলবে না। জরুরি ভিত্তিতে মৌলিক সেবা ও মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিতে হবে।
গাজায় কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দুর্ভিক্ষ আঘাত হানতে পারে, এমন সতর্কবার্তা সামনে আসার পর এলো এই নির্দেশনা। সহায়তা আটকে রাখার অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে ইসরায়েল এর দায় শুরু থেকেই সহায়তা সংস্থাগুলোর ওপর চাপিয়ে আসছে।
আদালতের নির্দেশের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা গাজায় স্থল, জল, আকাশপথে সহায়তা ঢুকতে দেওয়ার নতুন উদ্যোগের প্রচার চালানো ও বিদ্যমান উদ্যোগের ব্যাপ্তি বৃদ্ধির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানানো হয়, বর্তমান পরিস্থিতি ও গাজায় যুদ্ধ শুরুর জন্য হামাস দায়ী।
এর আগে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতকে গাজায় গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড থামানোর জন্য সব জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সে সময় দেশটি বলেছিল, জাতিসংঘের ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী হিসেবে তাদের দায়িত্ব রয়েছে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ার। বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান নিয়ে শুরু থেকেই সমালোচনা করে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
আইসিজের আদেশ বৈধ হলেও তা মানতে বাধ্য করা বা সেগুলো প্রয়োগ করার মতো ক্ষমতা নেই আদালতটির। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদই শুধু এ ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে।
গত সপ্তাহে ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেস ক্লাসিফিকেশন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার পরিস্থিতি বিপর্যয়কর। সেখানকার ২২ লাখ মানুষ তীব্র মাত্রার খাদ্য অনিরাপত্তায় ভুগছে। মে মাস শেষ হওয়ার আগেই অবরুদ্ধ উপত্যকাটির উত্তরে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। সূত্র: বিবিসি