![আদালতে ট্রাম্প, শরীরে আগুন দিলেন যুবক](uploads/2024/04/20/1713609134.trump.jpg)
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাশ-মানি মামলার বিচার চলার সময় আদালতের বাইরে ম্যাক্সওয়েল আজারেল্লো (৩৭) নামে এক যুবক নিজ শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে ম্যানহাটনে শরীরে আগুন দেন তিনি। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।
ফ্লোরিডার বাসিন্দা আজারেল্লো এক সপ্তাহ আগে নিউইয়র্কে যান। সেখানে তার সম্পর্কে আগের অপরাধমূলক কোনো রেকর্ড নেই। আজারেল্লোর নিউইয়র্কে যাওয়ার খবর তার পরিবারের সদস্যরা জানতেন না।
ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন এল ব্র্যাগ ২০২৩ সালে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি অপরাধের অভিযোগ আনেন। এর মধ্যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারি গোপনে পর্ণ তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে অর্থ দেওয়ার বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত ছিল।
মামলার অভিযোগে অ্যালভিন এল ব্র্যাগ উল্লেখ করেন, ট্রাম্পের একসময়ের আইনজীবী ও মামলার আসামি মাইকেল কোহেন ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে, এক দশক আগে হওয়া যৌন সম্পর্ক ফাঁস না করার জন্য ট্রাম্পের পক্ষে ড্যানিয়েলসকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার দেন।
গোপনে অর্থ দেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত এ মামলাটিই ‘হাশ-মানি’ মামলা নামে পরিচিত।
শুক্রবার দুপুরে ম্যানহাটানের ওই আদালতে এ মামলার শুনানি চলার সময় উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্প। পরে আদালতের বাইরে আজারেল্লোর শরীরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় শুনানি স্থগিত করা হয়। ট্রাম্পও আদালত তেকে বেরিয়ে যান।
তবে এ ঘটনায় আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো ঝামেলা হয়নি। কয়েক ঘণ্টা স্থগিত থাকার পর বিকেলের দিকে আবার মামলার শুনানি কার্যক্রম শুরু করেন আদালত।
নিউইয়র্ক পুলিশের প্রধান জেফ্রি ম্যাডরে প্রত্যক্ষ্যদর্শীদের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার সকাল থেকে একটি ব্যাগ এবং রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা সম্পর্কিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে আদালত এবং সংলগ্ন পার্ক এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন আজারেল্লো। তারপর দুপুর দেড়টার দিকে আদালতের বাইরে ব্যাগ থেকে তরল দাহ্য পদার্থের বোতল বের করে নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন। ট্রাম্পের বিচার চলার কারণে আদালতে যথেষ্ট পুলিশের উপস্থিতি ছিল। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যেই কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার একটি হাসপাতালে পাঠান। সেখানে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
তার ব্যাগ থেকে তরল দাহ্য পদার্থ, ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্বনির্ভর’ এবং রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডামূলক প্রচারপত্র উদ্ধার করা হয়। যার মূল বক্তব্য ছিল ট্রাম্প ও বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রে ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েম করেছেন।
নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের ডেপুটি কমিশনার তারিক শেপার্ড এক সংবাদ সম্মেলনে, আজারেল্লোকে এক ‘ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ও বিবিসি
পপি/অমিয়/