![ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত তুরস্কের](uploads/2024/05/03/Turusk-israil-1714717429.jpg)
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ক্রমাগত আক্রমণকে মানবিক ট্র্যাজেডি উল্লেখ করে দেশটির সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করেছে তুরস্ক।
বৃহস্পতিবার (২ মে) তুরস্কের দুই কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে তুরস্ক জানিয়েছে, ‘বাণিজ্য স্থগিতাদেশের আওতায় থাকবে সব ধরনের পণ্য। ইসরায়েল সরকার গাজায় নিরবচ্ছিন্ন এবং পর্যাপ্ত মানবিক সাহায্য প্রবাহের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত তুরস্ক কঠোরভাবে নতুন এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করবে।’
তুরস্কের এমন সিদ্ধান্তের পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান স্বৈরশাসকের মতো আচরণ করছেন বলে উল্লেখ করেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাটজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেন, ‘এরদোগান তুর্কি জনগণ ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থকে উপেক্ষা করছেন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি উপেক্ষা করছেন।’
বাণিজ্যের জন্য বিকল্প খুঁজে বের করার এবং স্থানীয় উৎপাদন ও অন্যান্য দেশ থেকে আমদানির ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হবে বলেও জানান তিনি।
গত বছর দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ছিল প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার।
১৯৪৯ সালে তুরস্ক প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়। তবে সাম্প্রতিক দশকে দেশ দুটোর সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
২০১০ সালে ফিলিস্তিনপন্থি ১০ কর্মী ইসরায়েলি কমান্ডোর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হলে তুরস্ক ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
২০১৬ সালে দুই দেশের সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করা হয়, তবে গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে বিক্ষোভের মধ্যে ইসরায়েলের ফিলিস্তিনিদের হত্যার বিরোধে দুই বছর পর উভয় দেশ একে অপরের শীর্ষ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের প্রাণঘাতী হামলার পর থেকে এরদোগান ইসরায়েলের সমালোচনায় ক্রমশ কড়া হয়ে উঠেছেন। সূত্র: বিবিসি
ইসরাত চৈতী/